শহীদ জিয়ার বিরুদ্ধে বিকৃত অপপ্রচার মানেই স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বের বিরুদ্ধে চক্রান্ত

আপডেট: সেপ্টেম্বর ২০, ২০২১
0
fakhrul

লুটপাটের ব্যবস্থা আরো দীর্ঘায়িত করতেই সরকার সংসদে ‘কুইক রেন্টাল’ বিদ্যুত কেন্দ্র আরো বছর রাখার বিল পাস করেছে বলে অভিযোগ করেছে বিএনপির।

জাতীয় স্থায়ী কমিটির বৈঠকের সিদ্ধান্ত জানাতে গিয়ে রোববার বিকালে এক সংবাদ সম্মেলনে দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এই অভিযোগ করেন।

তিনি বলের, ‘‘ স্থায়ী কমিটির সভা মনে করে, ভাড়াভিত্তিক বিদ্যুত কেন্দ্রগুলো স্থাপন করা হয়েছিলো শুধুমাত্র আওয়ামী শাসকগোষ্ঠির লুন্ঠনের স্বার্থে। এসব বিদ্যুত কেন্দ্র স্থাপনের সকল কর্মকান্ডকে ইনডেমিনিটি আইন পাস করে যথেচ্ছা দুর্নীতির সুযোগ সৃষ্টি করা হয়েছিলো এবং বিদ্যুত উতপাদন না করলেও ভাড়া প্রদানের ফলে জনগনের ট্যাক্সের টাকার বিশাল অংশ আওয়ামী দুর্নীতিবাজদের পকেটে গেছে জনগনের পকেট কেটে। প্রত্যেক বছর কয়েক দফা করে বিদ্যুতের দাম বাড়িয়ে জনগনের চরম আর্থিক লোকসান করা হয়েছে।”

‘‘ নতুন করে পাঁচ বছর এই বিশেষ আইনের মেয়াদ বাড়িয়ে লুটপাটের ব্যবস্থা দীর্ঘায়িত করা হলো। স্থায়ী কমিটির সভায় সংসদ এই বিল পাসের তীব্র প্রতিবাদ ও নিন্দা জানানো হয় এবং অবিলম্বে এই বিল বাতিলের করার আহবান জানানো হয়।”

গত বুধবার সংসদে বিদ্যুত ও জ্বালানির দ্রুত সরবারহ বৃদ্ধি (বিশেষ বিধান) (সংশোধন) বিল-২০২১ পাস হয়। ভাড়াভিত্তিক বিদ্যুত কেন্দ্রকে বৈধতা দিতে ২০১০ সালে এই আইনটি প্রণয়ন করা হয়। দুই বছরেরে জন্য এই আইন করা হলেও পরে কয়েক দফায় সময় বাড়ানো হয়।

গুলশানে চেয়ারপারসনের কার্যায়ে এই সংবাদ সম্মেলন হয়। শনিবার বিকালে দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সভাপতিত্বে স্থায়ী কমিটির সভা হয়।

দলের প্রতিষ্ঠাতা মুক্তিযুদ্ধের ঘোষক জিয়াউর রহমান ও তার সমাধি নিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাম্প্রতিক বিভিন্ন বক্তব্যের প্রতিবাদ জানিয়ে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ‘‘ জনগনকে বিভ্রান্ত করার লক্ষে অবৈধ মিথ্যা তথ্য সংসদে উপস্থাপন করে তিনি(শেখ হাসিনা) মূলত জনগনের গণতান্ত্রিক অধিকার ও গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের আন্দোলনের দৃষ্টি আড়ালে রাখার একটি ষড়যন্ত্র করছে। স্থায়ী কমিটির সভা মনে করে ইতিহাস বিকৃত করে জনগনকেত প্রতারনা করা হচ্ছে। শহীদ জিয়াউর রহমানের বিরুদ্ধে এই ধরনের বিকৃত অপপ্রচার স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বের বিরুদ্ধে চক্রান্ত ছাড়া আর কিছু নয়।”

ব্যক্তিগত তথ্য আইনের খসড়া সরকারি ওয়েব সাইটে প্রকাশে উদ্বেগ প্রকাশ করে তিনি বলেন, ‘‘ এই ধরনের আইন ব্যক্তিগত তথ্য সুরক্ষার কথা বলে নাগরিকের স্বাধীন মত প্রকাশের অধিকার হরণ করবার একটি চক্রান্ত। এটা গণতন্ত্রের জন্য একটি বড় ধরনের হুমকি হয়ে দাঁড়াবে।”

সাংবাদিক নেতাদের ব্যাংক হিসাব তলবের ঘটনার নিন্দা জানিয়ে বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘‘ আমরা ইতিমধ্যে কনডেম করে বিবৃতি দিয়েছি। আমরা মনে করি যে, মত প্রকাশের স্বাধীনতা, সংবাদপত্রের স্বাধীনতা এবং ফ্রিডম অব প্রেসকে দমন করবার জন্যে এটা আরেকটা কৌশল তারা (সরকার) নিয়েছে।”

নিউইয়র্কের বিএনপির সভার ঘটনার নিন্দা।

মির্জা ফখরুল বলেন, ‘‘ আপনারা দেখেছেন যে, নিউইয়র্কের জ্যাকসন হাইটসের সেখানে যারা বিএনপি সমর্থন করেন তাদের উপরে একটা আক্রমণ হয়েছে আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসীদের দ্বারা। আজকে আমি প্রেস কনফারেন্সের মাধ্যমে এই ঘটনার তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি।”

‘‘ মত প্রকাশের স্বাধীনতা সবখানে থাকা উচিত। আমেরিকাতে আরো বেশি আছে। সেখানে আপনার একটা শান্তিপূর্ণ যে মিটিং হচ্ছিল সেখানে তারা(আওয়ামী লীগ) আক্রমন করেছে। আমি এই ঘটনার প্রতিবাদ জানাচ্ছি।”