শহীদ তাজউদ্দীনে আজ (বৃহষ্পতিবার) হতে ফের করোনা পরীক্ষা শুরু

আপডেট: জুলাই ৭, ২০২১
0

গাজীপুর সংবাদদাতাঃ গাজীপুরে শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ১০দিন পর আজ (বৃহষ্পতিবার) হতে ফের করোনা পরীক্ষা শুরু হচ্ছে। এ হাসপাতালের একমাত্র পিসিআর মেশিন এর বাইওসেফটি কেবিনেট বিকল হওয়ায় করোনা পরীক্ষা বন্ধ ছিল।

গাজীপুরের জেলা প্রশাসক এসএম তরিকুল ইসলাম জানান, গত ২৮ জুন গাজীপুরস্থ শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে করোনা পরীক্ষার পিসিআর মেশিনটির বাইওসেফটি কেবিনেটের ল্যামিনার ফ্লু ও হেপা ফিল্টার যন্ত্রটি বিকল হয়ে পড়ে। ফলে ওইদিন থেকে এখানে করোনা পরীক্ষা বন্ধ থাকে। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ নতুন একটি পিসিআর মেশিন চেয়ে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের কাছে চিঠি দেয়। কিন্তু সরকারের কাছে এ যন্ত্রটি বর্তমানে মজুদ নেই। ফলে বিদেশ হতে আমদানি করে এ যন্ত্রটি দেশে আনতে কয়েক সপ্তাহ অর্থাৎ প্রায় দেড়মাস সময় লেগে যাবে। সেক্ষেত্রে আগামী আগস্টের আগে নতুন পিসিআর মেশিন স্থাপন করা সম্ভব নয় বলে জানায় স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। এ সময়ে জেলার করোনা পরীক্ষা ব্যাঘাত সৃষ্টি হবে। তাই এ যন্ত্রটি মেডিকেল কলেজকে সরবরাহের জন্য বিজিএমইএ-এর কাছে অনুরোধ জানালে তারা খুব শিগগিরই দেশের বাজার থেকে এ যন্ত্রটি কিনে মেডিকেল কলেজকে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেন। প্রতিশ্রুতি মোতাবেক তারা মঙ্গলবার বাইওসেফটি কেবিনেট এনে হস্তান্তর করেন। বিজিএমইএ ও জেলা প্রশাসকের যৌথ অর্থায়নে এ কেবিনেটটি সংগ্রহ করা হয়।

শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের অধ্যক্ষ ডা. আবদুল কাদের বলেন, করোনার স্যাম্পল সংগ্রহ করে প্রসেসের জন্য প্রথমে এই বাইওসেফটি কেবিনেটে রাখা হয়। এখানে বিভিন্ন প্রক্রিয়ায় ভাইরাস রোগের জীবানু ছড়ানোর এবং আক্রমনের ক্ষমতাকে ধ্বংস করা হয়। পরে আরএনএ পরীক্ষার মাধ্যমে সংগৃহীত স্যাম্পলটি করোনা পজেটিভ বা নেগেটিভ তা শনাক্ত করা হয়। গত ২৮ জুন এই কেবিনেটের ‘ল্যামিনার ফ্লু’ এবং ভাইরাস ফিল্টারের যন্ত্র ‘হেপা ফিল্টার’ বিকল হয়ে যায়। আইসিডিডিআরবি-এর চীফ মেডিকেল ইঞ্জিনিয়ার পরিদর্শণ করে জানান, ভাইরাস শনাক্তের জন্য গুরুত্বপূর্ণ কেবিনেট মেরামত যোগ্য না। ফলে পুরো কেবিনেটটি পরিবর্তন করতে হবে। বিষয়টি গাজীপুর জেলা করোনা প্রতিরোধ কমিটির সভাপতি জেলা প্রশাসক এসএম তরিকুল ইসলামকে জানানো হয়। জেলা প্রশাসকের উদ্যোগে ও বিজিএমইএ এর সহযোগিতায় মঙ্গলবার সকালে পিসিআর এর নতুন কেবিনেটটি হাসপাতালে এসে পৌঁছায়। যন্ত্রটি পাওয়ার পর পরই তা স্থাপনের কাজ শুরু করা হয়। সন্ধ্যা নাগাদ এ যন্ত্রটি স্থাপন সম্পন্ন হয়েছে। ট্রায়াল শেষে আগামী ৮ জুলাই (বৃহষ্পতিবার) হতে এখানে ফের করোনা ভাইরাসের পরীক্ষা শুরু করা সম্ভব হবে বলে আশা করছি।

গাজীপুরের সিভিল সার্জন ডাঃ মোঃ খায়রুজ্জামান জানান, গাজীপুরে প্রতিদিন গড়ে ৪শ’টির মত নমুনা পরীক্ষা হয়। শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মেশিন নষ্ট হওয়ায় শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব মেমোরিয়াল কেপিজে বিশেষায়িত হাসপাতাল ল্যাব ও ঢাকায় পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে।

###
মোঃ রেজাউল বারী বাবুল
গাজীপুর।