শিশু সন্তানকে গলা কেটে হত্যা করে মায়ের আত্মহত্যার চেষ্টা!

আপডেট: সেপ্টেম্বর ২৭, ২০২১
0

লক্ষ্মীপুরে আয়ান রহমান নামে ৪ বছরের শিশু সন্তানকে জবাই করে হত্যার পর গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা চালিয়েছেন এক নারী। এ ঘটনায় রোববার (২৭ সেপ্টেম্বর) মধ্যরাতে অভিযুক্ত মা সাবিনা ইয়াসমিনকে আটক করে থানা হেফাজতে এবং শিশুটির মরদেহ উদ্ধার করে সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠিয়েছে পুলিশ।

এর আগে রোববার রাত ১১টার দিকে সদর উপজেলার লাহারকান্দি গ্রামে পারিবারিক কলহের জের ধরে শিশু হত্যার ঘটনা ঘটে। নিহত শিশু স্থানীয় তেওয়ারীগঞ্জ এলাকার সৌদি প্রবাসী আজগর রহমান আজীমের ছেলে।

পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, সৌদি প্রবাসী আজগর রহমানের স্ত্রী সাবিনা ও তার ৪ বছরের শিশু সন্তান আয়ানসহ যৌথ পরিবারে লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার লাহারকান্দি গ্রামের হাফিজ খাঁ এর বাড়িতে বাসা ভাড়া নিয়ে বসবাস করছিলেন। সম্প্রতিক তাদের সংসারে আর্থিক সংকটের পাশাপাশি স্বামী-স্ত্রীর সম্পর্কেও বিরোধ দেখা দেয়। সর্বশেষ রোববার সন্ধ্যায় মুঠোফোনে স্বামী-স্ত্রীর সঙ্গে ঝগড়া হয়। পরে রাতে পরিবারের সবাই ঘুমিয়ে পড়লে শিশুটিকে ধারালো বটি দিয়ে জবাই করে হত্যার পর নিজে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন সাবিনা।

সাবিনার শ্বশুর হুমায়ুন কবির ও দেবর আবির জানান, সাবিনার সঙ্গে তার স্বামী আজগরের সঙ্গে মুঠোফোনে বাকবিতণ্ডা হয়। আমরা তাকে শান্তনা দেওয়ার চেষ্টা করি। কিছুক্ষণ পর প্রতিদিনের মতো শিশু আয়ানকে নিয়ে নিজের শোবার রুমে গিয়ে দরজা বন্ধ করে দেন সাবিনা। এ সময় রুমের ভেতর বিকট শব্দ শুনতে পাই আমরা। এরপর আমরা দ্রুত দরজা ভেঙে ভেতরে গিয়ে দেখি সিলিং ফ্যানের সঙ্গে ওড়না পেঁচিয়ে সাবিনা আত্মহত্যার চেষ্টা করছেন। এছাড়া খাটের ওপর শিশু আয়ানের জবাই করা মরদেহ পড়ে রয়েছে।

খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে সাবিনাকে আটক করে থানা হেফাজতে নিয়ে যায়। শিশুর মরদেহ উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠায়।

স্থানীয় লাহারকান্দী ইউপি সদস্য মহব্বত জানান, পারিবারিক কলহের জের ধরে প্রবাসী স্বামীর সঙ্গে মুঠোফোনে সাবিনার বাকবিতণ্ডা হয়। একপর্যায়ে ডিভোর্স দেওয়ার কথা সইতে না পেরে সন্তানকে হত্যা করে মা নিজেও আত্মহত্যার চেষ্টা করে।

সদর থানার ওসি জসীম উদ্দিন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, পারিবারিক কলহের জের ধরে সন্তানকে হত্যা করেছে মা। শিশুর মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে। অভিযুক্ত মাকে আটক করে পুলিশ হেফাজতে নেওয়া হয়েছে। পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।