বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী যুবদল বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি)-এর যুব অঙ্গসংগঠন। জিয়াউর রহমান বিএনপি প্রতিষ্ঠার সাথে সাথে ১৯৭৮ সালের ২৭ অক্টোবর বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী যুবদল নামে বিএনপির যুব সংগঠন প্রতিষ্ঠা করেন। প্রতিষ্ঠাকালীন আহ্ববায়ক আবুল কাশেম যিনি পরবর্তীতে সভাপতি এবং সাইফুর রহমান প্রথম সাধারণ সম্পাদক ছিলেন।
–
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী যুবদল
সভাপতি
সাইফুল আলম নিরব
মহাসচিব
সুলতান সালাহউদ্দিন টুকু
প্রতিষ্ঠা
১৯৭৮
সদর দপ্তর
পল্টন, ঢাকা
ভাবাদর্শ
জাতীয়তাবাদ, অগ্রগতিশীল
মাতৃ সংগঠন
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল।
–
প্রতিষ্ঠার পর ১৯৮৭ সালের ২৩ মার্চ দ্বিতীয়, ১৯৯৩ সালের ৮ অক্টোবর তৃতীয়, ২০০২ সালে চতুর্থ, ২০১০ সালের ১ মার্চ পঞ্চম এবং ২০১৭ সালের ৩ জানুয়ারি সংগঠনটির সর্বশেষ ষষ্ঠ কাউন্সিল অনুষ্ঠিত হয়।[২] বর্তমানে সাইফুল আলম নীরব সভাপতি ও সুলতান সালাউদ্দিন টুকু সংগঠনটির সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করছেন।[৩] যুবদলের প্রধান কার্যালয় নতুন পল্টন, ঢাকায় অবস্থিত। ( এটুকু নিয়েছি হুবহু উইকি থেকে )
–
প্রিয় পাঠক ( যদি কারো পড়তে ইচ্ছে হয় ), আমি নিজেকে প্রকাশ্য রাজনীতিতে রেখে কথা বলছি। আমিও মনে প্রানে একজন যুবদল কর্মী। এর কোনো প্রমান বা স্বীকৃতি আমার নেই। যুবদল যদি বলে আমি ওদের কেউ না বরং লীগের এজেন্ট এদেশে সেটাও সত্যি হয়ে যেতে পারে। আসলেই তো, আমি কে? সত্য হল, আমি কেউ না। তাহলে যেচে কথা বলতে এসছি কেন ? এর উত্তর আমি জানি আর জানে মোর খোদা। এটা একটা নেশার মত। ছাত্রদল ছেড়েছি সেই ২০০৫-০৬ এ……….. তারপর থেকে আজতক ব্যাক্তি আমি নিজেকে কখনো স্বাধীন মানুষ ভাবার কোনো কারন খুজে পাইনি। দেশটা দম বন্ধ করা পরাধীন অবস্থায় আছে বলে মনে হয়। যেদিকে তাকাই সেদিকেই কেবল শুন্যতা আর শুন্যতা দেখি। আমরা যখন ছাত্রদল শুরু করি, তখন যে যুবদল দেখে এসছি সত্যি বলতে কি সেসব ছিল এক সময়ের বিগ ড্রিম যে আমি একদিন যুবদল হবো, যুব দলের হবো, বিএনপির হবো, সবচে বড় কথা দেশের মানুষের আপনজন হয়ে উঠব । যুবদলের শক্ত ভিত্তিতে কোন সরকার কখনো খুব বড় কোনো আঘাত করে পেরে উঠেনি। গয়েশ্বর দাদার কথা কি মনে আছে ? কোথায় সেই যুবদল ? বর্তমান যুবদলে নিরব ভাই, টুকু ভাই, বাদরু ভাই, নয়ন ভাই, মামুন ভাই, জাকির ভাইদের আত্মত্যাগ, জীবন যৌবন বলতে গেলে তো সবই তারা খুইয়েছেন। এমন কোন যন্ত্রনা আছে যা সহ্য তারা করেননি ? তাদের মত পোড় খাওয়া সম্মানিত যোগ্যতম নেতারা থাকতে আমরা কোন হতাশায় কাঁদছি ? আপনারা কি শুনতে পাচ্ছেন না ? আজকে আঠেরো সাল কুমিল্লায় পুর্নাংগ কমিটি নেই। পাচ বছর হলো নাকি তিন বছর হলো আমি গুলিয়ে ফেলছি যে, কেন্দ্রীয় কমিটি পুর্ন হয়েছে কিনা জানি না !
তুমি তো ভাই কুয়োর ব্যাং, তোমার অত খবর জেনে কাজ কি ?
যদি কেউ জিগেস করে আমার উত্তর একটাই। ওই যে, যুবদল হবার নেশায় মেতেছিলাম এতগুলো বছর। এখন আমাদের, আমাদের সংসার গুলোর অবস্থা কি ক’জনা জানে ? তৃনমুলে কত শত সংসার ধ্বংস হয়ে গেছে ! কত শত শত কর্মী স্রেফ ভিক্ষুক হয়ে গেছে জানে কয়জন? বলেই বা কয়জন!! আমরা আজ কাঁদছি।
–
আসুন আপনারাও সকলে আসুন। আমাদের কান্নায় শামিল হোন। যেসব নেতাদের নাম আগে গর্ব ভরে উচ্চারন করেছি, তাদেরকে অনুপ্রেরনা হিসেবে আমরাও জাতির সামনে তুলে ধরতে পারিনি। তৃনমুলে এত সংকট থেকেও কেউ কখনো কম্প্রোমাইজ করেনি। এদেরকে আমরা সম্পদ হিসেবে কাজে লাগাতে পারিনি। অথচ এ ত হলো সেই যুবদল যাদের ভয়ে পুরো রাম্বামেরা তটস্ত থাকত !! আবারও বলি, আমরা আমাদের তৃনমুলে যুবদলকে সঠিকভাবে রিপ্রেজেন্ট করতে পারিনি এ হল চরম সত্য। আবার কুমিল্লায় আঠারো বছরে একটা কমিটি পুর্ন হয় না, এ হতে পারেনা। এ অন্যায়!! আমরা আমাদের স্ত্রী সন্তান পিতা মাতাদের বিসর্জন দিয়েছি সে কবেই… আত্মীয় স্বজনেরা কি আমাদের পরিচয় আবার দেয় নাকি!! রাগ অভিমান হয়। ইচ্ছে করে বলি, মাঝে মাঝে প্রশ্ন ছুড়ে দেয়ার অধিকার আপনারা আমাদেরকে দিন। এটাই গনতন্ত্র এটাই সুশাসন। ‘নেতা ক্ষিপ্ত হতে পারে, আমরা এটা ভাবতে চাই না’ এগুলো বর্বর শাসকদের মানায়। যেমন মানায় এই সরকার কে। এসব মধ্যযুগীয় ব্যাপার। আবার দেশের এই অরাজকায় জাতির কি কোনো ভুমিকা ছিল না ? নিশ্চয়ই ছিল। ওরা তবে আসে না কেন। কারন এ জাতি সেলফিস, দেশপ্রেমহীন ( কদাচ লোক হয়ত আলাদা ) এবং নিজের পরিচয় সম্পর্কে নিশ্চিত না। এদের ইচ্ছাও হয়, বিশ্ব দরবারে নিজেদেরকে নির্দিষ্ট করে কি পরিচয় দিবে! আবার আমরা এরই অংশ। আমাদেরকে অবশ্যই সত্যাশ্রয়ী হয়ে হবে। রাজনীতি করতে হলে এইসব মানুষ গুলোর কল্যানেই কাজ করতে হবে। আমাদেরকে বহু রক্ত দিতে হবে। ত্যাগের মহিমান্বিত মানসিকতা নিয়ে বড় হতে হবে। মুলত: এসবের অভাবেই দিনে দিনে আমরা অদৃশ্য কোনো লতাগুল্মে যেন আটকে যাচ্ছি। আমরা প্রশিক্ষিত হচ্ছি না। এর মুলে রয়েছে আমাদের স্থবিরতা এবং আত্মত্যাগের মানসিকতা নিয়ে বড় হয়ে উঠতে না পারার অভাব। আমাদেরকে অবশ্যই সমন্বিত হতে হতে হবে। যোগ্য হয়ে উঠতে হবে। নতুনের জন্য স্পেস ছাড়তে হবে।
–
সব কিছুর পরেও আমি যুবদল। আমরা যুবদল।
আমরা করবো জয়,
আমরা করবো জয় নিশ্চয়,
ওহো বুকের গভীরে আছে প্রত্যয়,
আমরা করব জয় একদিন
আমরা করবো জয় একদিন’।
শুভ জন্মদিন যুবদল। অনেক অনেক সাফল্য কামনা করি।