শেখ হাসিনার পদলেহনেই ব্যস্ত কে এম নুরুল হুদা তা মাহবুব তালুকদার পদত্যাগের সিদ্ধান্তেই প্রমানিত – রিজভী

আপডেট: ফেব্রুয়ারি ১৬, ২০২১
0
file photo

বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহূর কবীর রিজবী বলেছেন , সুষ্ঠু ভোটের শত্রু প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও তার খয়ের খাঁ কতিপয় নির্বাচন কমিশনার। নির্বাচন কমিশনার জনাব মাহবুব তালুকদার, যিনি সুষ্ঠু নির্বাচনের পক্ষে রয়েছেন তিনি বিবেক যন্ত্রণায় ভুগতে ভুগতে এখন পদত্যাগের কথা বলছেন।”

আজ দুপুর সাড়ে ১২টায় নয়াপল্টন দলীয় কার্যালয়ে
আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে মাহবুব তালুকদারের পদত্যাগ প্রসঙ্গে তিনি এসব কথা বলেন।

রিজভী বলেন , গণতন্ত্রমনা বাংলাদেশীদের আত্মমর্যাদাকে ভুলুন্ঠিত করেছেন কে এম নুরুল হুদা। বর্তমান নির্বাচন কমিশনের অনাচার-দুর্নীতি ও লুটপাটের তথ্য সব ভালভাবেই সংরক্ষিত আছে। এদের অপকর্মের বিচার হবেই। আপনাদের নিশ্চয়ই মনে আছে-এই সেই নুরুল হুদা যিনি স্বেচ্ছাসমর্পণমূলক আত্মঘাতি সিদ্ধান্ত নিতে যাচ্ছিলেন। তার ওপর অর্পিত সাংবিধানিক দায়িত্ব তিনি সরকারের পদতলে অর্পণের সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন। গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ ১৯৭২ এর ৯১ ই-ধারা (১ ও ২ উপ-ধারা অনুযায়ী) নির্বাচনে কোন প্রার্থীর বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠলে তা তদন্ত করে এবং তদন্তে অভিযোগ প্রমাণিত হলে সংশ্লিষ্ট প্রার্থীর প্রার্থীতা বাতিল করার ক্ষমতা রয়েছে নির্বাচন কমিশনের হাতে।

অথচ কে এম নুরুল হুদার নেতৃত্বাধীন এই কমিশন তাদের সেই ক্ষমতা সরকারের কাছে বিলিয়ে দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল। ”

সুতরাং মাহবুব তালুকদারের পদত্যাগের সিদ্ধান্তে প্রমাণিত হয়-প্রধান নির্বাচন কমিশনার কমিশনের দায়িত্ব নিয়েছেন সুষ্ঠু ভোট করার জন্য নয়, বরং শেখ হাসিনার এজেন্ডা বাস্তবায়ন করা। বাংলাদেশের প্রচলিত আইনে সুষ্ঠু নির্বাচন করার জন্য যথেষ্ট শক্তিশালী বিধান রয়েছে। কিন্তু তারা তাদের নিজেদের ক্ষমতাকে প্রয়োগ না করে শেখ হাসিনার পদলেহনেই ব্যস্ত রয়েছেন। নির্বাচন কমিশন সব নির্বাচনে শেখ হাসিনার সিলেক্টেড প্রার্থীকে বিজয়ী ঘোষণা করে। ”