শেখ হাসিনা গায়ের জোরে ক্ষমতা দখল করে রয়েছে—খন্দকার মোশাররফ

আপডেট: সেপ্টেম্বর ২২, ২০২২
0

বিএনপির কর্মসূচিতে হামলাকারীদের চিহ্নিত করে রাখা হবে বলে হুশিয়ারি দিয়েছেন খন্দকার মোশাররফ হোসেন।
বৃহস্পতিবার বিকালে যাত্রাবাড়ীর সায়েদাবাদে এক সমাবেশে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য এই হুশিয়ারি উচ্চারন করেন।

তিনি বলেন, ‘‘ গত ১৫ বছরে বিএনপি বিরুদ্ধে অনেক হামলা-মামলা-গুম করে আমাদের দমাতে পারেননি। আমরা বলতে চাই এতো কিছুর পরেও যদি আপনারা বিএনপিকে এই পর্যন্ত দূর্বল করতে না পেরে থাকেন আর চেষ্টা কইরেন না।”

‘‘ আমি বলতে চাই, এভাবে হামলা করে আপনারা চিহ্নিত হচ্ছেন, জনগনের কাছে চিহ্নিত হচ্ছেন। জনগনের কথা আমরা যারা বলছি, তাদের বিরুদ্ধে আপনারা দাঁড়াচ্ছেন, আমাদেরকে লাঠি পেটা করছেন। জনগন আপনাদেরকে চিহ্নিত করে রাখছে। ইনশাল্লাহ বেশিদিন সময় নাই, আপনাদেরকে জনগনের সামনে জবাবদিহি করতে হবে, আপনাদের বিচার হবে।”

পুলিশ বাহিনীর উদ্দেশ্যে খন্দকার মোশাররফ বলেন, ‘‘ আমি পুলিশ ভাইদের বলতে চাই, আপনারা কোনো দলের কর্মকর্তা-কর্মচারি নন।আপনারা এদেশের মানুষের ট্যাক্সের পয়সায় প্রজাতন্ত্রের কর্মকর্তা-কর্মচারি। এভাবে হামলা করে আজকে আপনারা প্রজাতন্ত্রের কর্মচারি হিসেবে আপনারা নিজেদের শপথ ভঙ্গ করছেন।”

‘‘ আমরা বলতে চাই, অনেক হয়েছে, আর নয়। আর আমাদের নেতা-কর্মীদের ওপর আপনারা হামলা করবেন না।”

তিনি বলেন, ‘‘ সরকারের মেগা দুর্নীতির জন্য আজকে দেশে দূরাবস্থা, এই মেগা দুর্নীতির জন্য আজকে আমাদের রিজার্ভ কমে গেছে, আজকে ডলারের সংকট, আমদানি-রপ্তানি কমে গেছে…।ওরা শেয়ার বাজার লুট করেছে, রিজার্ভ লুট করেছে, ব্যাংকের অর্থ লুট করেছে।”

‘‘ এই দুরাবস্থা থেকে এদেশের মানুষকে মুক্ত করতে হলে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার করতে হবে। এই আওয়ামী লীগ পঁচাত্তরের গণতন্ত্র হত্যা করে বাকশাল প্রতিষ্ঠা করেছিলো। আবার শেখ হাসিনা গণতন্ত্র হত্যা করে গায়ের জোরে ক্ষমতা দথল করে আছে। গণতন্ত্র হত্যাকারীদের জনগন আর চায় না। আমাদের আজকে দায়িত্ব দেশের জনগনকে ঐক্যবদ্ধ করে, এদেশের সকল গণতান্ত্রিক দেশপ্রেমিক শক্তিকে ঐক্যবদ্ধ করে এই ফ্যাসিস্ট সরকারকে হটাতে হবে। এর কোনো বিকল্প নাই। আসুন আমরা সকলে মিলে এদেশকে মুক্ত করি, জনগনের দাবি, জনগনের সরকার প্রতিষ্ঠা করি।”

স্থায়ী কমিটির সদস্য আবদুল মঈন খান বলেন, ‘‘ আমরা গণতন্ত্রের ক্ষমতায় বিশ্বাস করি। জনগনে শুধু একটা ভোট দিতে চায়। আর কিছু চায় না।”

‘‘ এই সরকার কি করেছে? সেই ভোট চুরি করে নির্বাচনের আগের রাত্রে ব্যালেট ছিনতাই করে একটি ‍ভুয়া সংসদ তৈরি করেছে। এই ভুঁয়া সংসদ বাতিল করতে হবে, এই সরকারকে পদত্যাগ করতে হবে, একটি নিরপেক্ষ সরকার গঠন করতে হবে, একটি নিরপেক্ষ নির্বাচন কমিশন গঠন করতে হবে।”

ঢাকা মহানগর দক্ষিন জোন ৭ (যাত্রাবাড়ী ও ডেমরা) এর উদ্যোগে জ্বালানি তেল ও দ্রব্যমূল্যের ঊধর্বগতি, ভোলায় নুরে আলম, আব্দুর রহিম, নারায়নগঞ্জে শাওন প্রধান এবং পল্লবীসহ সারাদেশে বিএনপির কর্মসূচিতে আওয়ামী সন্ত্রাসীদের হামলার প্রতিবাদে এই সমাবেশ হয়।

মহানগর দক্ষিনের যুগ্ম আহ্বায়ক নবী উল্লাহ নবীর সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য আমান উল্লাহ আমান, আবদুস সালাম, আবুল খায়ের ভুঁইয়া, বানিজ্য বিষয়ক সম্পাদক সাবেক সাংসদ সালাহউদ্দিন আহমেদের কেন্দ্রীয় নেতা ফজলুল হক মিলন, নাজিম উদ্দিন আলম, মীর সরফত আলী সপু, শামীমুর রহমান শামীম, মহানগর দক্ষিনের রফিকুল আলম মজনু, ইশরাক হোসেনসহ মহানগরের নেতারা বক্তব্য রাখেন।