শৈলকুপায় মুঘল আমলের লাল পাতার বিরল প্রজাতির গাছ

আপডেট: মার্চ ২৩, ২০২১
0

জাহিদুর রহমান তারিক, ঝিনাইদহ-
রাতের জোৎস্নায় পাতা জ্বলে। বর্ষী এ গাছ দুটিতে প্রতিবছর ফাল্গুনে নতুন পাতা বের হয় যা দেখতে লাল রঙের। চলার পথে সৌন্দর্য পিপাসু পথিকেরা এর সৌন্দর্য অবলোকন করেন। এই বিরল দৃশ্য দেখ থমকে দাড়ায়।

ঝিনাইদহের শৈলকুপা উপজেলার হাতেমপুর শাহী মসজিদের পুকুরের ধারে দুই টি বিরল প্রজাতির গাছ দীর্ঘদিন ধরেই পথিকদের নানা প্রশ্নের জন্ম দিয়েছে। শত

এ লাল রঙের পাতা পরে সবুজ রং ধারন করে। দেখতে অনেকটা গাব গাছের ফুলের মত। প্রতি বছর ফুল আসে, কিন্তু কোন ফল ধরতে দেখা যায় না। ফুলের সৌরভে বহুদুর পর্যন্ত সুরভিত থাকে। মৌ মৌ সুগন্ধিতে পুরো গ্রাম মাতোয়ারা হয়ে পড়ে।

গাছের পাতা ও আকার-আকৃতি গাব গাছের মতো হলেও এটি মূলত অন্য প্রজাতির গাছ বলে মানুষ মনে করেন। জনশ্রুতি আছে এই বিরল প্রজাতির গাছ দুটি মুঘল বাদশা সম্রাট আকবরের গুরু হাতেম শাহ গাছটি ভারতবর্ষ থেকে এনে হাতেমপুর গ্রামে লাগিয়েছিলেন। মসজিদটি তিনিই প্রতিষ্ঠা করেন।

গ্রামটির নাম করনও তাঁর নামে করা হয়। প্রখ্যাত ঐতিহাসিক সতিশ মিত্রের “যশোর খুলনার ইতিহাস “বইয়ে এর বিবরণ পাওয়া যায়। তাঁর মাজার শরিফটি মসজিদের পাশেই বিদ্যমান।