শৈলকুপায় ১৬ দিনে ৬ খুন!

আপডেট: জানুয়ারি ১৫, ২০২২
0

স্টাফ রিপোর্টার, ঝিনাইদহ-
ঝিনাইদহের শৈলকুপা উপজেলার ভাটবাড়িয়া গ্রামের জসিম উদ্দিনের পরিবারে যেন কান্না থামছেই না। একমাত্র উপার্জনক্ষম ছেলেকে হারিয়ে যেন বাকরুদ্ধ হয়ে পড়েছে মা। শিশু সন্তান নিয়ে দিশেহারা স্ত্রী।

নির্বাচনী সহিংসতা আর আধিপত্যে জেরে জসীম উদ্দিনের মত খুন হয়েছে আরো ৬ জন। স্বজনহারা পরিবারগুলোতে চলছে আহাজারী। ঝিনাইদহের শৈলকুপা উপজেলয় আবারো উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে। আধিপত্য বিস্তার আর নির্বাচনী সহিংসতা নিয়ে দ্বন্দে ১৬ দিনে খুন হয়েছেন ৬ জন। আহত হয়েছেন অন্তত দুই শতাধিক মানুষ। করা হচ্ছে ভাংচুর, লুটপাট অগ্নিসংযোগের মত ঘটনা। সচেতন মহল বলছেন, ক্ষমতাসীন দলের অভ্যন্তরীন দ্বন্দের কারণেই এ সহিংসতা। এসব রোধ করতে প্রয়োজন রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দের হস্তক্ষেপ আর পুলিশ বিভাগের নিরপেক্ষতা।

খুনের ঘটনায় ভাংচুর ও লুটপাট করা হয়েছে বাড়িঘর, দোকানপাট। নাজেহাল হয়ে অনেকেই ছেড়েছে বাড়িঘর। প্রশাসনের অসহযোগীতা ও দুরদর্শীতার অভাবকেই দুষছেন নিহত’র স্বজনরা। দ্রুত সহিংসতা বন্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা আর আসামী গ্রেফতারের দাবি নিহতের স্বজন ও এলাকাবাসীর।

তথ্য নিয়ে জানা গেছে, নির্বাচনী সহিংসতা আর আধিপত্য বিস্তার নিয়ে শৈলকুপা উপজেলা ১৬ দিনে প্রাণ গেছে ৬ জনের। খুনের ঘটনায় পৃথক ৩টি মামলায় আসামী করা হয়েছে ২৬৯ জনকে। এ পর্যন্ত আটক করা হয়েছে মাত্র ২০ জন আসামীকে। নিহতরা হলেন, শৈলকুপায় উপজেলার কবিরপুর গ্রামের আহাম্মদ শেখের ছেলে স্বপন শেখ, কৃত্তিনগর আবাসনের বাসিন্দা হারান বিশ্বাস, ভাটবাড়িয়া গ্রামের আব্দুর ছাত্তারের ছেলে জসিম হোসেন, বারইহুদা গ্রামের কল্লোল খন্দকার, কাতলাগাড়ী এলাকার আব্দুর রহিম ও অখিল বিশ্বাস।

ঝিনাইদহ সচেতন নাগরিক সমাজের সভাপতি সায়েদুল আলম জানান, রাজনৈতিক ব্যক্তিদের সহযোগীতার মাধ্যমে পুলিশের নিরপেক্ষ কঠোর হস্তক্ষেপে সম্ভব এমন পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনা। তা না হলে এ সংঘাত আরও চলতে থাকবে।

শৈলকুপার ওসি মোঃ রফিুকুল ইসলাম জানান, পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে ও আসামী গ্রেফতারে পুলিশ তৎপরতা চালাচ্ছে। সহিংসতা এড়াতে শৈলকুপার বিভিন্ন গ্রামে পুলিশ কাজ করছে বলেও তিনি জানান।