শ্রদ্ধায় ও স্মরণে ৬৯ এর ঐতিহাসিক গণঅভ্যূত্থানের মহান শহীদ ড. জোহার ৫২তম হত্যা দিবস পালিত

আপডেট: ফেব্রুয়ারি ১৮, ২০২১
0

৬৯ সালের ঐতিহাসিক গণঅভ্যূত্থানের মহান শহীদ, স্বাধীনতা সংগ্রামের ১ম শহীদ বুদ্ধিজীবী ড. এস এম শামসুজ্জোহার ৫২তম হত্যা দিবস উপলক্ষে জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল-জাসদ আজ বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ১১টায় নগরীর শহীদ কর্নেল তাহের মিলনায়তনে ড. এস এম শামসুজ্জোহার প্রতিকৃতিতে পুষ্পমাল্যদান ও শ্রদ্ধা নিবেদন করে। জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল-জাসদের পক্ষ থেকে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন জাসদ কেন্দ্রীয় কার্যকরী কমিটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আব্দুল্লাহিল কাইয়ূম, নিলঞ্জনা রিফাত সুরভী সহ দলের কেন্দ্রীয় ও মহানগর নেতৃবৃন্দ।
এছাড়া জাতীয় যুব জোট এর পক্ষ থেকে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন সংগঠনের সভাপতি রোকনুজ্জামান রোকন, দফতর সম্পাদক শাহজামাল পিন্টু, সদস্য তছিকুল ইসলামসহ যুব জোটের কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ। জাতীয় শ্রমিক জোট বাংলাদেশ এর পক্ষ থেকে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন সংগঠনের সভাপতি সাইফুজ্জামান বাদশা, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সরদার খোরশেদসহ কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ। জাতীয় কৃষক জোটের পক্ষ থেকে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন সংগঠনের আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক সাজ্জাদ হোসেন। বাংলাদেশ ছাত্রলীগ (হাবীব-ননী) কেন্দ্রীয় সংসদের পক্ষ থেকে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন সংগঠনের সভাপতি আহসান হাবীব শামীম, সাধারণ সম্পাদক রাশিদুল হক ননী, সাংগঠনিক সম্পাদক গোপাল রাজবংশী, সহ-সম্পাদক হাসানাতুজ্জামান বাবু, দফতর সম্পাদক ইমান আহমেদ ইমন, সহ-দফতর সম্পাদক ইমরান আলী, সদস্য হাসান আজিজ জনি, ঢাকা মহানগর উত্তর কমিটির সভাপতি মারুফ বিল্লাহসহ সংগঠনের নেতা-কর্মীগণ।

শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে শহীদ ড. জোহার প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে সমবেত নেতা-কর্মীদের উদ্দেশ্যে নেতৃবৃন্দ বলেন, শহীদ ড. জোহার বীরোচিত আত্মবলিদান বাঙালির হৃদয়ে স্বাধীনতা অর্জণের জন্য সংগ্রামের আগুণ জ্বালিয়ে দিয়েছিল।

শহীদ আসাদ, শহীদ মতিয়ূর, শহীদ সার্জেন্ট জহুর ও শহীদ ড. জোহার আত্মবলীদানের মধ্য দিয়ে বাঙালির হৃদয়ে যে সংগ্রামের আগুণ জ্বলে উঠেছিল সেই আগুণেই আইয়ূবশাহী তখতেতাউস জ্বলেপুড়ে ছারখার হয়ে যায়, ১৯৬৯ সালের ঐতিহাসিক গণঅভ্যূত্থান সফল হয়, স্বৈরশাসক আইয়ূব পদত্যাগ ও আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলা প্রত্যাহার করে বঙ্গবন্ধুকে মুক্তি দিতে বাধ্য হয়। নেতৃবৃন্দ বলেন, স্বাধীনতা আন্দোলনের প্রথম শহীদ বুদ্ধিজীবী ড. জোহার আত্মবলীদান তৎকালীন বুদ্ধিজীবী সমাজকে বিভ্রান্তি ও ভাবালুতার ঘেরাটোপ থেকে মুক্ত করে স্বাধীনতার পক্ষে টেনে আনে।

নেতারা শহীদ ড. জোহার চেতনাকে লালন করে বুদ্ধিজীবী সমাজ, ছাত্র সমাজ, দেশপ্রেমিক রাজনৈতিক নেতা-কর্মীদের আবারো মানুষের অধিকার ও মুক্তির প্রশ্নে খাপখোলা তরবারির মত সাহসী ভূমিকা পালনে এগিয়ে আসাতে হবে।