শ্রমিকরা অনাহারে-অর্ধাহারে মানবেতর জীবন-যাপন করছে : এডভোকেট আতিকুর রহমান

আপডেট: জুলাই ১৪, ২০২২
0

বাংলাদেশ শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট আতিকুর রহমান বলেছেন, সমাজের কিছু লোক অসহায় শ্রমিকদের ঘাম ও রক্তের বিনিময়ে সম্পদের প্হাাড় গড়ে তুলেছে। অথচ লাখ লাখ শ্রমিক ক্ষুধার জ্বালায় রোগে-শোকে আহাজারী করে অর্ধাহারে-অনাহারে মানবেতর জীবন-যাপন করছে।

তিনি আজ বাংলাদেশ শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশন সিলেট জেলা দক্ষিণের বিয়ানীবাজার উপজেলা ও পৌরসভার উদ্যোগে বন্যায় ক্ষতিগ্রস্তদের পুনর্বাসনের জন্য আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন। উপজেলা সভাপতি আশিকুর রহমান হেলাল-এর সভাপতিত্বে ও উপজেলা সাধারণ সম্পাদক জামিল আহমদ-এর সঞ্চালনায় এতে বিশেষ অতিথি ছিলেন ফেডারেশনের কেন্দ্রীয় সহ-সাধারণ সম্পাদক মাওলানা সোহেল আহমদ, সিলেট জেলা দক্ষিণের সভাপতি ফখরুল ইসলাম খান, সাধারণ সম্পাদক আতিকুল ইসলাম, পৌরসভার প্রধান উপদেষ্টা মস্তফা উদ্দিন, মুড়িয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ফরিদ আল মামুন, উপজেলার উপদেষ্টা আবুল কাশেম চৌধুরী, ফেডারেশনের উপজেলা সভাপতি আব্দুল হামিদ প্রমুখ।

এসময় তিনি বিয়ানীবাজার উপজেলার বিভিন্নস্থানে ও মুড়িয়া ইউনিয়নের হিন্দু পাড়ায় খাদ্য সামগ্রী ও বন্যায় ক্ষতিগ্রস্তদের মাঝে টিউবওয়েল, টিন, পাকা পিলারসহ নানা সামগ্রী বিতরণ করেন।

আতিকুর রহমান বলেন, পুঁজিবাদ, সমাজতন্ত্র ও ধর্মনিরপেক্ষ আদর্শে বিশ্বাসী একদল মানুষ শ্রমিকদের ভাগ্য পরিবর্তন ও শ্রমিকরাজ কায়েমের মিথ্যা শ্লোগান দিয়ে শ্রমজীবী মানুষদের ধোঁকা দিয়ে যাচ্ছে। তারা শ্রমিকদের অর্থনৈতিক মুক্তির স্বপ্ন দেখিয়ে মানবরচিত মতবাদের মাধ্যমে মেহনতি শ্রমিকদের গোলামির জিঞ্জিরে বন্দি করে রেখেছে। তারা শ্রমিকদের সিঁড়ি হিসেবে ব্যবহার করে রাষ্ট্রীয় ক্ষমতা দখল করেছে। কিন্তু ক্ষমতা পেয়ে শ্রমিকদের অবদান ভুলে গেছে। অথচ তাদের স্বার্থ হাসিলের জন্য কতশত শ্রমিককে জীবন দিতে হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, কোভিড-১৯ এর লকডাউনে দেখা গেছে শ্রমিকরা কতটা অসহায় ও নিঃস্ব। শ্রমিকের ঘরে ঘরে খাবারের জন্য আহাজারী ও চিৎকারে আকাশ-বাতাস ভারী হয়ে গিয়েছিল। করোনার দুঃসময় কাটিয়ে এখনো উঠতে পারেনি অসংখ্য শ্রমিক। ঠিক এই সময়ে সিলেট, সুনামগঞ্জ ও দেশের বৃহৎ একটি অংশে ভয়াবহ বন্যা চলছে। এই বন্যায় আবারও সবচেয়ে বেশি ক্ষতির সম্মুখীন দিন এনে দিনে খাওয়া শ্রমিকরা।

আতিকুর রহমান বলেন, মানবরচিত কোন তত্ত্ব দিয়ে শ্রমজীবী মানুষের সমস্যার সমাধান হবে না। এটি আজ দিবালোকের মত স্পষ্ট। আমরা যদি শ্রমিক সমস্যার স্থায়ী সমাধান চাই তাহলে আমাদেরকে ইসলামী শ্রমনীতির রিদকে ফিরে যেতে হবে। এছাড়া আমাদের সামনে আর কোন পথ খোলা নেই।