কুষ্টিয়া, ১৬ নভেম্বর ২০২১ :
কুষ্টিয়া-রাজবাড়ী আঞ্চলিক মহাসড়কের কুমারখালী বাস স্ট্যান্ডের গোলচত্ত্বর সংলগ্ন সড়ক সহ কুষ্টিয়া-রাজবাড়ি মহাসড়কের বিবিন্ন স্থানে রাস্তা দেবে গেছে । এতে করে যেমন বেড়েছে জনদুর্ভোগ তেমন ঘটছে প্রতিনিয়ত দূর্ঘটনা।৪ মাস পূর্বে দেবে যাওয়া স্থানগুলোকে সংস্কার করা হলেও পূণরায় একই অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। এতে বিঘ্নিত হচ্ছে জনচলাচল। প্রতিদিন ঘটছে ছোট বড় দুর্ঘটনা। স্থানীয়দের ধারণা কাজের মান নিম্নমানের হওয়ায় এমন ঘটনার সৃষ্টি হচ্ছে।
স্থানীয়রা জানান, মাত্র আট মাস আগে এই মহাসড়কটির নির্মাণ কাজ শেষ হয়েছে। এরইমধ্যে চলতি বছরের জুনের দিকে গোলচত্ত্বর গোলচত্ত্বর এলাকায় সড়ক দেবে গিয়ে উঁচু নিচু হয়ে যায়। পরবর্তীতে দেবে যাওয়া অংশ সংস্কার করা হয়। কিন্তু সংস্কারের ২ মাস অতিবাহিত না হতেই আবারও একই ঘটনার সৃষ্টি হয়েছে। ব্যাস্ত এই মহাসড়ক দিয়ে প্রতিদিন হাজার হাজার যানবাহন চলাচল করে। গোল চত্বরে এমন অবস্থা সৃষ্টি হওয়ায় পারাপারের সময় উঁচু নিচু সড়কে মোটরসাইকেল, বাইসাইকেল, তিনচাকার বাহন গুলো উল্টে গিয়ে প্রায়ই দূর্ঘটনার শিকার হয়ে থাকে।
এবিষয়ে কুমারখালী পৌরসভার ৫ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর এস এম রফিক বলেন, কুষ্টিয়া রাজবাড়ী আঞ্চলিক মহাসড়কের কুমারখালী গোল চত্বর সংলগ্ন সড়কের একই স্থানে পূর্বেও এমন খালের সৃষ্টি হয়েছিলো। সংস্কার করা হলেও আবারও একই অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। নিম্নমানের নির্মাণ সামগ্রী ব্যবহারের কারণেই এমন অবস্থার সৃষ্টি হচ্ছে। বিষয়টি সওজ (সড়ক ও জনপদ) বিভাগের দেখা উচিৎ।
কুষ্টিয়া সড়ক ও জনপদ বিভাগের কার্যালয় সুত্রে জানা গেছে, প্রায় ১৯০ কোটি টাকা ব্যয়ে এই মহাসড়কটির নির্মাণ কাজ শেষ হয়েছে। সড়কটির কাজ করেছেন ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান জহুরুল ইসলাম কনস্ট্রাকশন। সড়ক নির্মাণের তিনবছর পর্যন্ত ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান যেকোন সমস্যা নিজ দায়িত্বে ঠিক করবেন বলে জানা যায়।
এবিষয়ে কুষ্টিয়া সড়ক ও জনপদ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ শাকিরুল ইসলাম জানান, বেসমেন্টের কাজের সময় ত্রুটির কারণে এমন সমস্যা সৃষ্টি হচ্ছে। তবে যেসময় সড়কটির নির্মাণ কাজ হয় তখন তিনি দায়িত্বে ছিলেননা। এখন ঢালাই দিয়ে সংস্কার কাজ করতে হবে। দুর্ঘটনারোধে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে বলেও জানান তিনি।