‘সদ্য ঘোষিত সৌদি আরব বিএনপির (পশ্চিম অঞ্চল) আহবায়ক কমিটিকে ৯০% নেতৃবৃন্দর প্রত্যাখান ‘

আপডেট: জুলাই ১০, ২০২১
0

অসাংগঠনিক ও অগণতান্ত্রিক পন্থায় গঠিত দাবী করে সদ্য ঘোষিত সৌদি বিএনপির (পশ্চিম অঞ্চল) আহবায়ক কমিটিকে ৯০% নেতৃবৃন্দ প্রত্যাখান করে সংবাদ সম্মেলন আয়োজন করেন।

সাংবাদিক সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন, ইলেকট্রনিক ও প্রিন্ট মিডিয়া, সোশ্যাল মিডিয়ার সাংবাদিকবৃন্দ, সৌদি আরব বিএনপি’র (পশ্চিম অঞ্চল) অর্ন্তভূক্ত জেদ্দা, মক্কা, মদীনা, তায়েফসহ সকল প্রাদেশিক বিএনপি, যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল, শ্রমিক দলসহ অন্যান্য অংগ ও সহযোগী সংগঠন এবং উপস্থিত বিভিন্ন অঞ্চল কমিটির নেতৃবৃন্দ। সৌদি আরব পশ্চিাঞ্চল বিএনপি’র ১৭৭ সদস্য বিশিষ্ট কমিটির পক্ষ থেকে উপস্থিত সবাইকে সালাম ও শুভেচ্ছা জানানো হয়।

গণমাধ্যমের মাধ্যমে সকলের অবগতির জন্য গত মধ্যরাতে সৌদি আরব স্থানীয় সময় রাত ১০টায় বাংলাদেশ সময় রাত ১ টায় ১০ জুলাই শনিবার জেদ্দা আজিজিয়া মেহেরান ভিআইপি হলে সাংবাদিক সম্মেলনের আয়োজন করে। সাংবাদিক সম্মেলনে ১৭৭ সদস্য বিশিষ্ট পূর্নাঙ্গ কমিটির অন্যতম সহ সভাপতি আবুল কালাম আজাদের সভাপতিত্বে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক প্রকৌশলী নূরুল আমিন, সভা পরিচালনা করেন সিঃ যুগ্ম -সম্পাদক মোহাম্মদ শাহাজাহান।
সাংবাদিক সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন ইলেকট্রনিক ও প্রিন্ট মিডিয়া, সোশ্যাল মিডিয়ার সাংবাদিকবৃন্দ, সৌদি আরব বিএনপি’র (পশ্চিম অঞ্চল) অর্ন্তভূক্ত জেদ্দা, মক্কা, মদীনা, তায়েফসহ সকল প্রাদেশিক বিএনপি, যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল, শ্রমিক দলসহ অন্যান্য অংগ ও সহযোগী সংগঠন এবং উপস্থিত বিভিন্ন অঞ্চল কমিটির নেতৃবৃন্দ।
লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক প্রকৌশলী নূরুল আমিন। তিনি বলেন, “গত ২রা জুলাই ২০২১ সোশ্যাল মিডিয়ায় আমরা সৌদি আরব পশ্চিমাঞ্চল বিএনপি’র ৬১ সদস্যের একটি কমিটি দেখতে পাই। তাৎক্ষনিক যোগাযোগ করে নিশ্চিত হই যে বর্তমান চলমান ১৭৭ সদস্য বিশিষ্ট কমিটির সিঃ সহ-সভাপতি আবদুল জলিল, অন্যতম সহ সভাপতি -আবুল কালাম আজাদ ও সহ সভাপতিবৃন্দ, সিঃ যুগ্ম -সম্পাদক মোহাম্মদ শাহাজাহান, সাংগঠনিক সম্পাদক প্রকৌশলী নূরুল আমিনসহ (সুপার -৭) এবং প্রচার সম্পাদক রৌশন জামিল শিপু, দপ্তর সম্পাদক নুরুল ইসলাম,যুব সম্পাদক বাহার উদ্দিন বাদল, শ্রম সম্পাদক আতিকুর রহমান শিপন, মুক্তিযোদ্ধা সম্পাদক এরফান আলী, যোগাযোগ সম্পাদক জসিম উদ্দিন, সাংস্কৃতিক সম্পাদক সেলিম মোল্লাাসহ ৯০% সম্পাদকমন্ডলী এবং কমিটির সদস্যদেরকে না জানিয়ে নতুন আহবায়ক কমিটি গঠন করে। চলমান কমিটির কোন জরুরী/সাংগঠনিক/ বর্ধিত সভা না করে বা মতামত না নিয়ে সর্ম্পূণ অসাংগঠনিক ও অগণতান্ত্রিক পন্থায় একটি ৬১ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি গঠন ও ঘোষনা করা হয়। তার কারনে আমরা পশ্চিম অঞ্চলের বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল এবং অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠন ও সকল তৃণমূল কর্মী সমর্থকদের মধ্য থেকে আজকের সাংবাদিক সম্মেলনের মাধ্যমে আহম্ম আলী মুকিবের নতুন আহবায়ক ( পকেট কমিটি) কমিটি প্রত্যাখান করলাম। পাশাপাশি অনতিবিলম্বে দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান জনাব তারেকে রহমান ও মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এর কাছে এই কমিটি বাতিল করে জরুরী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার জোর দাবী জানাই”।

লিখিত বক্তব্যে বলা হয়, “২০১৫ সালের শুরুর দিকে ঠিক একই কায়দায় পশ্চিম অঞ্চলের স্বঘোষিত আহবায়ক আহম্মদ আলী মুকিবকে তৎকালীন বিএনপি’র পশ্চিমাঞ্চল কমিটির প্রয়াত সাধারণ সম্পাদক, ক্লিন ইমেজের প্রবাসী নেতা জনাব শহিদুল ইসলাম নান্নুর নেতৃত্বে তৎকালীন কমিটির প্রায় সকল নেতৃবৃন্দ (৯৫%) মুকিবের অসাংগঠনিক কার্যকলাপ, যত্রতত্র যখন তখন দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান জনাব তারেক রহমানের নাম ব্যবহার করে হুমকি ধামকীর প্রতিবাদ স্বরূপ আহম্মদ আলী মুকিব ও তৎকালীন সাংগঠনিক সম্পাদক পূর্নাঙ্গ কমিটির সাধারন সম্পাদক মনিরুজ্জামান তপনকে জরুরী সভা করে অধিকাংশ সদস্যদের মতামতের ভিত্তিতে তাদের ২ জনকে দল থেকে অব্যাহতি দেন। তার কিছুদিন পর মুকিব শহীদুল ইসলাম নান্নুসহসহ প্রায় সকলকে বাদ দিয়ে একেই কায়দায় নতুন আহবায়ক কমিটি (পকেট কমিটি) কেন্দ্র থেকে নিয়ে আসেন”।
বক্তব্যে উল্লেখ করেন যে, “৯৭ সালের গোড়ার দিকে ভিন্ন ভিন্ন নামে জেদ্দায় বিভাজনের মধ্য দিয়ে বিএনপি’র রাজনীতি শুরু হয় এবং ২০০৮ সাল থেকে ২০১৫ সাল পর্যন্ত বর্তমান কমিটির প্রধান উপদেষ্টা ও বিএনপি কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য (জাতীয় কমিটি) জনাব আব্দুর রহমান ও বর্তমান সভাপতি আহম্মেদ আলী মুকিবের ২ গ্রুপের বিভেদ চরমে রূপ নিলে এই অঞ্চলের বিএনপি সংগঠন সর্ব মহলে নানা রকম সমালোচনার মুখে পড়ে। এখানে উল্লেখ্য যে, আব্দুর রহমােেনর পক্ষে পশ্চিম অঞ্চল বিএনপি ও অংগ সংগঠনের ৯০% নেতা কর্মীর সমর্থন ছিলো যা এখনো আছে। দলের জন্য দেশ বিদেশে তিনি প্রচুর টাকা খরচ করেন। অপর দিকে মুকিবের পক্ষে অতীত ও বর্তমানেও ১০% নেতা কর্মী সমর্থনে আছে।মুকিব নিজের স্বার্থ ব্যতিত দলের জন্য কোন টাকা খরচ করেন না। তিনি দলকে সুসংগঠিত করার লক্ষে বিএনপি চেযারপার্সনের মতামত নিয়ে জনাব আব্দুর রহমান সকল বেদাবেদ ভুলে ঐক্যের কোন বিকল্প নাই চিন্তা চেতনাকে সামনে রেখে প্রথমে নিজেদের মধ্যে আলোচনা ও পরবর্তীতে ২ গ্রুপের মধ্যে ঐক্যেও প্রয়োজনীতার উপর সম্মতি প্রকাশ করেন। জনাব আলহাজ্ব আবদুর রহমানের সরাসরি পদক্ষেপ ও তদারকিতে ও স্থানীয় নেতৃবৃন্দের সহযোগিতায় ২০১৫ সালের ৩১শে ডিসেম্বর রাতে এক ঐতিহাসিক ঐক্য ঘোষণার মধ্য দিয়ে সারা বিশ্বে এক ঐতিহাসিক ঐক্যের উদাহরণ সৃষ্টি করেন। যাহা সেই সময়ে দেশে বিদেশে সর্ব মহলে ভীষণভাবে প্রশংসিত হয়। সেই থেকে অদ্যাবদি আমরা আব্দুর রহমানের নেতৃত্বে এই সংগঠনটি প্রবাসের মাটিতে নানা রকম কর্মসূচী পালনসহ জাতীয় রাজনীতিতে কেন্দ্রীয় কর্মসূচী পালনে, বাংলাদেশে দলীয় নানা প্রায়োজনে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি”।
সাংবাদিক সম্মেলনে আহম্মদ আলী মুকিবের বিরুদ্দে দুর্নীতি,সেচ্ছাচারিতা, স্বজনপ্রীতি, সাংগঠনিক অদক্ষতা, দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নাম ভাংগিয়ে মধ্যেপ্রাচ্যে ক্ষমতার অপব্যবহার, মধ্যপ্রাচ্যের সাথে দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের সাথে ভার্চুয়াল আলোচনায় বিএনপি’র কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য আব্দুর রহমানসহ সৌদি আরবে বিএনপির প্রবীন নেতাদেরকে বাদ দিয়ে অনুষ্ঠান পরিচালনা করে যাচ্ছেন। নিজের ইচ্চামত কমিটি তৈরী ভাংগাসহ অসংখ্য তথ্য প্রমানসহ অভিযোগ উপস্থাপন করা হয়। তারা নবগঠিত আহবায়ক কমিটি বাতিল ও আহম্মদ আলী মুকিবের বহি:স্কারের দাবী জানান।
সৌদি আরবে বসবাসকারী বিশিষ্ঠ ব্যাবসায়ী বিএনপি‘র কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য আব্দুর রহমানকে সাংবাদিকগন মোবাইল ফোনে এ সাংবাদিক সম্মেলন ও বর্তমান আহবায়ক কমিটির জটিলতা ও পরিস্থিতি সর্ম্পকে জানতে চাইলে তিনি বলেন, “নতুন কমিটি তিনি ফেইজবুকে দেখতে পেয়ে দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানকে অবিহিত করেছি এবং মহাসচিবকে লিখিত চিঠি দিয়ে সমস্যা সমাদানের কথা উল্লেখ করেছি। তিনি আরো বলেন, “ অতীতেও এ ধরনের সমস্যা হয়েছিল দলের হাই কমান্ট সে সমস্যা গুলি দ্রুত সমাধান করেছেন। আশা করি উনারা দলের ঐক্য অটুট রাখার জন্য দ্রুত সমস্যা সমাধান করবেন”।

সাংবাদিক সম্মেলনের বক্তব্যে আরো উল্লেখ করে বলা হয়–
ক্স দুর্ভাগ্যজনক হলেও সত্য ২০১৬ সালের ঐক্য ও কমিটি অনুমোদনের পর থেকেই গত ৪ বৎসর যাবতই আহম্মদ আলী মুকিবের নানারকম অসাংগঠনিক কার্যক্রম, ক্ষমতার অপব্যবহার সহ নানাবিধ ইস্যু নিয়ে সাধারণ কর্মীদের মাঝে চাঁপা ক্ষোভ পরিলক্ষিত হয়ে আসছিল।
ক্স জেদ্দার স্থানীয় অতি পুরোনো সংগঠন জেদ্দা মহানগর বিএনপি ঐক্যের ৫ বছর গত হলেও আলোর মুখ দেখেনি। এই কমিটি গঠন /পূর্ণগঠন ও অনুমোদনের পর দৃশ্যমান কোন পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি যার ফলশ্রুতিতে জেদ্দা মহানগর বিএনপি’র সাধারণ কর্মীদের মাঝে এ নিয়ে প্রায়ই উত্তেজনাকর পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়।
ক্স ৮/১০ বছর পূর্বের অনুমোদিত প্রাদেশিক কমিটিগুলোকে গঠন / পূর্ণগঠন ও অনুমোদন দিয়ে উৎসাহিত করার কোন উদ্যোগ না নেওয়াতে প্রত্যেকটি প্রদেশেই কর্মীদের মাঝে অসন্তোষ চরমে রুপ নিয়েছে।
ক্স ২০১৮ সালের নির্বাচনকে কেন্দ্র করে নিবাচনী তহবিল ও সদস্য ফরমের প্রায় ২ লাখ রিয়াল, ৪৫ লাখ টাকার কাছাকাছি আদৌ নির্বাচন প্রাক্কালে জাতীয় নির্বাচন তহবিলে বা দলীয় ফান্ডে জমা হয়েছে কিনা, নির্বাচনের ৩ বছর গত হলেও সেটা সাধারণ সভার মাধ্যমে প্রকাশ করা হয়নি।

প্রকাশ থাকে যে, কেন্দ্র থেকে সদস্য ফরমের ২০০ বই নিয়ে আসলেও এই সদস্য ফরমের বই বিক্রির সার্বিক অবস্থা বিএনপি’র সদস্য সংগ্রহ ও সদস্য নবাবয়ের বাস্তব চিত্র আজো কোন সভায় আলেচিত হয়নি। প্রকাশ থাকে যে ২৫ লাখ প্রবাসী ( বাংলাদেশী) সৌদি আরবে বসবাস। সঠিক উদ্যোগ নিয়ে সদস্য ফরম বিলিনবায়ন এর মাধ্যমে নতুন সদস্য সংগ্রহসহ দলকে বিপুল পরিমাণ আর্থিক সহায়তা সম্ভব।

আব্দুর রহমান ও দলের প্রবীন ও কমিটির সিনিয়রদেরকে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের সাথে গত ১ বছরে ভার্চুয়াল আলোচনায় অযুক্তিকভাবে অংশগ্রহন হতে দূরে রেখে সূবর্নজয়ন্তীসহ নানা কর্মসুচি পালন করে মুকিত নানাহ বিতর্কের সৃষ্টি করেছেন বলে সাংবাদিক সম্লেনকারীরা মনে করেন।
তাদের বক্তরে‌্য বলাহয়, “উপরোক্ত মূল বিষয় সমূহ নিয়ে সর্ব মহলে নানারকম আলোচনা সমালোচনা শুরু হলে সভাপতি আহমেদ আলী মুকিব বর্তমান ২০১৬ সালের কমিটির ৯০% নেতাদেরকে বাদ দিয়ে নিজের ইচ্ছা অনুযায়ী সুবিদাবাদী লোকদের নিয়ে ২০২০ সালের মাঝামাঝি থেকে নানা রকম দলীয় কর্মসূচী পালন শুরু করেন। এমনকি তৃণমূলের কর্মীদের ভালবাসা, আস্থা ও আবেগের সবচেয়ে স্পর্শকাতর জায়গায় আঘাত করে দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান জনাব তারেক রহমানের সাথে ভার্চুয়াল সভা করে। এতে হাজার হাজার নেতা কর্মীদের মনে কষ্ট দিয়ে নিজের ক্ষমতার অপব্যাবহার করেন। উল্লেখ্য স্বপ্নের এই ভার্চুয়ালে দলের সিঃ সহ সভাপতি, অন্যতম সহ -সভাপতি, সিঃ যুগ্ম সম্পাদক, সাংগঠনিক সম্পাদক, প্রচার ও দপ্তর সম্পাদক সহ দলের প্রতিষ্ঠাকালীন প্রবীণ সকল নেতৃবৃন্দকে বাইরে রাখেন, পশ্চিমাঞ্চাল কমিটির প্রধান উপদেষ্টা ও বিএনপি জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য আব্দুর রহমান জেদ্দায় উপস্থিত থাকার পরেও এই ভার্চুয়ালের লিংক থেকে বঞ্চিত হন। ভার্চুয়ালের পর পরই সংগত কারণেই সংগঠনে নিজেদের মধ্যে অসন্তোষ আরো বাড়তে থাকে।

এরই ধারাবাহিতায় ২০২১ সালের শুরুতে স্বাধীনতার সূর্বণজয়ন্তী মধ্যপ্রাচ্য কমিটি করতে যেয়েও মুকিব সৌদি আরব (পশ্চিঞ্চল) এর সিঃ নেতৃবৃন্দদেরকে এবং বিএনপি নির্বাহী সদস্য আব্দুর রহমানকে মাইনাস করে কমিটি নিয়ে এসে সোশ্যাল মিডিয়ায় উল্লাস প্রকাশ করে বিভাজনও মাইনাসের রাজনীতির চিরচেনা রুপে উনি বহাল থাকেন এবং সৌদি আরব সূর্বণ জয়ন্তী কমিটি করে বর্তমান কমিটির বিভাজন সুষ্পষ্ট করেন।
সর্বশেষে গত কয়েকদিন পূর্বে ১৭৭ সদস্য বিশিষ্ট সৌদি আরব বিএনপির (পঃ) চলমান কমিটি থাকার পরেও কোন সাধারণ সভা না ডেকে, বৃহৎ একটা অংশকে (৯০%) সর্ম্পূণ বাইরে রেখে সেই ঘুরে ফিরে একই লোকদের দিয়ে ৬১ সদস্য বিশিষ্ট একটি আহবায়ক কমিটি নিয়ে এসে মাইনাসের রাজনীতিতে ওনার চূড়ান্ত বিজয় ঘোষণার অপচেষ্টা করেন।

প্রকাশ থাকে যে পশ্চিমাঞ্চল বিএনপি’র সিঃ যুগ্ম সম্পাদক ও সাংগঠনিক সম্পাদকের সুপারিশ পত্র নিয়ে জনাব আবুল কালামকে সভাপতি করে মক্কা প্রাদেশিক কমিটি (২০১ বিশিষ্ট ) মুকিবের নিকট জমা করলে উনি সাদরে গ্রহণ করেন, অথচ ওনার এই ৬১ সদস্য কমিটিতে এই ২০১ জনের মাঝে ০১ জনের নামও স্থান পায়নি ।

ঠিক একই ভাবে তায়েফ প্রাদেশিক বিএনপি’র (১৫১ সদস্য) একটি কমিটি তার দপ্তরে জমা করা হয়েছে, এই ১৫১ জনের মধ্যেও একজন এই আহবায়ক কমিটি স্থান হয়নি। এভাবে যদি প্রবাসের মাটিতে দলের অভিভাবক হয়ে বিভাজন ও মাইনাসের রাজনীতিকে প্রাধান্য দেওয়া হয় তাহলে তৃণমূল দল থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়ে নীরব বসে থাকা ছাড়া আর কিইবা করার আছে।

তারা আরো বলেন,বর্তমান করোনাকালীন সময়, রাজতান্ত্রিক দেশ সৌদি আরবের কঠোর আইন, সাম্প্রতিক বিশ্ব -পরিস্থিতি, বর্তমান অবৈধ সরকারের বিএনপি’র নেতাকর্মীদের উপর দমন পীড়ন নীতি, এরই মাঝে আগামী নির্বাচনকে সামনে নিয়ে আগামীর আন্দোলন সংগ্রামসহ সবকিছু বিবেচনায় নিয়ে দেশের সাথে সাথে প্রবাসী সংগঠন ওলোর মধ্যে খুবই গুরুত্বপূর্ণ সংগঠন সৌদি আরব বিএনপিকে ঢেলে সাজানোর প্রয়োজন। এই আহবায়ক কমিটি বাতিলসহ সৌদি আরব বিএনপি বর্তমান আহবায়ক জনাব আহম্মেদ আলী মুকিবের অব্যাহতির দাবী রাখছি।
পরিশেষে দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার সুস্বাস্থ্য কামনাসহ দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান জনাব তারেক রহমান ও জিয়া পরিবারের সকলের দীঘায়ূ কামনা করছি।

সকল সাংবাদিকবৃন্দ, সোশ্যাল মিডিয়ার কর্মীবৃন্দ সহ উপস্থিত সবাইকে ধন্যবাদ জানিয়ে সবার মঙ্গল কামনা করছি”।
সাংবাদিক সম্মেলনে ১৭৭ সদস্য বিশিষ্ট পূর্নাঙ্গ কমিটির অন্যতম সহ সভাপতি আবুল কালাম আজাদের সভাপতিত্বে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক প্রকৌশলী নূরুল আমিন, সভা পরিচালনা করেন সিঃ যুগ্ম -সম্পাদক মোহাম্¥দ শাহাজাহান।

সৌদি আরব (পশ্চিমাঞ্চল) বিএনপি’র সাংবাদিক সম্মেলনের পক্ষে-স্মাক্ষর করেন-
আব্দুল জলিল সিনিয়র সহ সভাপতি,আবুল কালাম আজাদ সহ সভাপাপতি,মোহাম্মদ শাহাজাহান সিঃ যুগ্ম -সম্পাদক, প্রকৌশলী নূরুল আমিন সাংগঠনিক সম্পাদক।###


বিজ্ঞপ্তি