বিতর্কের অবসান : বাংলাদেশে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্যই নতুন ভিসানীতি: যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তর

আপডেট: মে ২৬, ২০২৩
0

যুক্তরাষ্ট্রের স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার (২৫ মে) পররাষ্ট্র দপ্তরের নিয়মিত প্রেস ব্রিফিংয়ে মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলার একথা জানান। স্টেট ডিপার্টমেন্ট ওয়েবসাইটে ব্রিফিংয়ের বিস্তারিত বক্তব্য তুলে ধরা হয়েছে।

লিংকটি হচ্ছে- https://www.state.gov/briefings/department-press-briefing-may-25-2023/#post-448904-bangladesh
নিয়মিত এই ব্রিফিংয়ে ম্যাথিউ একইসঙ্গে মার্কিন সরকারের নেওয়া ভিসানীতিটিকে বাংলাদেশ স্বাগত জানানোর জন্য যুক্তরাষ্ট্র খুশি হয়েছে বলেও অবহিত করেন।

বাংলাদেশের পক্ষে এক সাংবাদিক প্রশ্নোত্তর সেশনে ম্যাথিউকে বলেন, প্রথমত- আমি বাংলাদেশের পক্ষ থেকে আপনাকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি দেশটির জনগণের জন্য একটি অত্যন্ত স্পষ্ট ও জোরালো বার্তা দেওয়ায়। জোরালো ও স্পষ্ট বলার কারণ, বাংলাদেশে আগামী জাতীয় নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু হতে কেউ বাধা দিলে অভিযুক্ত ব্যক্তি ও তাদের পরিবারের সদস্যদের বিরুদ্ধে ভিসা নিষেধাজ্ঞা আরোপের ঘোষণা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়ায়।

এর আগে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী নিজেও টুইট করেছেন এবং আপনি ঘোষণা দেওয়ার পরে সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডোনাল্ড লুওকেও বাংলাদেশের এক জনপ্রিয় টকশোতে এ বিষয়ে কথা বলতে দেখা গেছে। আর এরপরেই তাকে বলাতে শুনা যায়, সুষ্ঠু নির্বাচন আয়োজন করতে সরকার, বিরোধী দল এবং অন্য সবার দায়িত্ব রয়েছে। আমরা আশা করছি এই বছরের শেষ নাগাদ বা সম্ভবত আগামী বছরের শুরুতে বাংলাদেশে জাতীয় নির্বাচন হবে।

এ প্রশ্নের জবাবে ম্যাথিউ মিলার বলেন, বাংলাদেশের অভ্যন্তরে কোনো রাজনৈতিক দলের কি করা উচিত বা উচিত নয় সে বিষয়ে আমি কথা বলতে যাবো না। আমি বলব যে, এই প্রশ্নে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের আগ্রহ একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচনের সমর্থন করা। এ কারণেই আমরা গত (বুধবার) নতুন নীতি ঘোষণা করেছি।

ম্যাথিউ আরও বলেন, গতকাল সরকারের পক্ষ থেকে আমাদের ঘোষণাকে বাংলাদেশ স্বাগত জানানোয় আমরা আনন্দিত। আমরা বিশ্বাস করি যে গণতন্ত্রই শান্তি, সমৃদ্ধি এবং নিরাপত্তার অগ্রগতির সবচেয়ে স্থায়ী সমাধান। আর এ কারণেই আমরা এই নতুন ভিসানীতি ঘোষণা করেছি। তবে উভয় দেশের সম্পর্ক এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য আমরা বাংলাদেশ সরকারের সঙ্গে কাজ করার জন্য উন্মুখ হয়ে আছি।

উল্লেখ্য, সুদান, চীন, ইরান, রাশিয়া, ইউক্রেন, সিরিয়া, তুরস্ক, আরমেনিয়ার সমসাময়িক বিভিন্ন বিষয়ে নানা প্রশ্নের উত্তর দেন তিনি। এ সময় বাংলাদেশের পক্ষে শুধু এই একটি প্রশ্নই করা হয়েছিল। সম্পাদনা: জাফর খান