সব ষড়যন্ত্র প্রতিহত করে বাংলাদেশ বিনির্মাণে কার্যকরী ভূমিকা রাখব– প্রধানমন্ত্রী

আপডেট: এপ্রিল ১৬, ২০২১
0

ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবস উপলক্ষে শুক্রবার দেয়া এক বাণীতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন,” সর্বোচ্চ আত্মত্যাগের বিনিময়ে হলেও ৩০ লাখ শহীদ ও দু’লাখ নির্যাতিত মা-বোনের সম্ভ্রমের বিনিময়ে অর্জিত স্বাধীনতাকে সমুন্নত রাখতে হবে।’

১৭ এপ্রিল মেহেরপুরের বৈদ্যনাথতলার আম্রকাননে শতাধিক দেশী-বিদেশী সাংবাদিকের উপস্থিতিতে এক অনাড়ম্বর অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম সরকার শপথগ্রহণ করেন। পাশাপাশি এ দিন স্বাধীনতার ঘোষণাপত্র অনুমোদিত হয়। মেহেরপুর হয়ে ওঠে অস্থায়ী সরকারের রাজধানী। ওইদিন থেকে এ স্থানটি ‘মুজিবনগর’ নামে পরিচিতি লাভ করে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘মুজিবনগর দিবসের ৫০ বছরপূর্তিতে আমার আহ্বান– অর্জিত স্বাধীনতাকে সমুন্নত রাখতে হবে। জাতির পিতা যে অসাম্প্রদায়িক, ক্ষুধা-দারিদ্র্যমুক্ত ও উন্নত-সমৃদ্ধ সোনার বাংলাদেশ বিনির্মাণের স্বপ্ন দেখেছিলেন, সকল ষড়যন্ত্র প্রতিহত করে তার স্বপ্ন বাস্তবায়নে কার্যকরী ভূমিকা রাখব, ইনশাআল্লাহ।’

ঐতিহাসিক ‘মুজিবনগর দিবস’ বাঙালি জাতির জীবনে এক অবিস্মরণীয় দিন উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ১৯৭১ সালের এই দিনে তখনকার মেহেরপুর মহুকুমার বৈদ্যনাথতলার আম্রকাননে স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম অস্থায়ী সরকার শপথগ্রহণ করে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘স্বাধীনতার সাড়ে তিন বছরের মাথায় ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট স্বাধীনতাবিরোধী অপশক্তি জাতির পিতাকে সপরিবারে হত্যা করে। ৩ নভেম্বর জেলখানায় মুক্তিযুদ্ধের নেতৃত্বদানকারী জাতীয় চারনেতাকেও নৃশংসভাবে হত্যা করা হয়। এরপর দীর্ঘ ২১ বছর বাংলাদেশে গণতন্ত্র ছিল না।’

শেখ হাসিনা বলেন, ১০ এপ্রিল বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে রাষ্ট্রপতি, সৈয়দ নজরুল ইসলামকে উপ-রাষ্ট্রপতি ও তাজউদ্দীন আহমেদকে প্রধানমন্ত্রী করে নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদের সমন্বয়ে একটি গণপরিষদ গঠন করা হয়। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব ঘোষিত স্বাধীনতার সমর্থন ও অনুমোদনের মধ্য দিয়ে মুজিবনগর সরকার স্বাধীনতার ঘোষণাপত্র জারি করে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, মুজিবনগর সরকারের আনুষ্ঠানিকতা শেষ হওয়ার দু’ঘণ্টর মধ্যেই পাকিস্তান বিমানবাহিনী বোমাবর্ষণ ও আক্রমণ চালিয়ে মেহেরপুর দখল করে। ফলে অস্থায়ী সরকার ভারতে আশ্রয় নিতে বাধ্য হয়। পরে ভারত থেকে প্রবাসী সরকারের কার্যক্রম চালাতে থাকে।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, যার মধ্য দিয়ে ১৬ ডিসেম্বর চূড়ান্ত বিজয় অর্জনের মাধ্যমে স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা লাভ করে।
সূত্র : বাসস