সমুদ্রে মাছ ধরা নিষিদ্ধ : দরিদ্র জেলেদের জন্য সাহায্যে বাড়ানোর দাবী মৎসজীবী দলের

আপডেট: এপ্রিল ১৭, ২০২১
0

বাংলাদেশ সহ সারাবিশ্বে দ্বিতীয় বার কোভিড -১৯ (করোনা) সংক্রমণ ব্যাপকতা ধারণ করায় সরকার সারাদেশে লকডাউন ঘোষণা করেছে। এমতাবস্থায় শ্রমজীবী মানুষ কর্মহীন হয়ে পড়েছে। প্রত্যেক বছরের ন্যায় এ বছরও সরকার বাংলাদেশের জলসীমায় ২০ মে থেকে ২৩ জুলাই ২০২১ ইং তারিখ পর্যন্ত মোট ৬৫ দিন মাছ ধরা নিষিদ্ধ করেছে। এসময় জেলেরা অন্যান্য পেশায় জড়িত হতেন।

লকডাউনের কারণে তারা সেই সুযোগ থেকেও বঞ্চিত। জেলেদেরকে যে পরিমাণ সাহায্য দিচ্ছে তা প্রয়োজনের তুলনায় একেবারেই অপ্রতুল। সরকার প্রতি কার্ডধারী জেলেকে ৮০ কেজি করে চাউল দেয়ার প্রতিশ্রুতি দিলেও অধিকাংশ জায়গায় ৪০ কেজি অথবা ক্ষেত্রবিশেষে ৫০ কেজি করে দিচ্ছে। জেলেরা অনাহারে-অর্ধাহারে দিন কাটাচ্ছে। বর্তমান এই দুর্বিসহ অবস্থায় কার্ডধারী জেলেদেরকে আরো অধিক পরিমাণ সাহায্য দেওয়ার প্রয়োজন।

আজ এক বিবৃতিতে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী মৎস্যজীবী দলের আহ্বায়ক- বীর মুক্তিযোদ্ধা রফিকুল ইসলাম মাহতাব ও সদস্য সচিব- আব্দুর রহিম মৎস্য খাতে প্রণোদনার পরিমাণ বাড়িয়ে সারাদেশের জেলেদেরকে মানবিক কারণে আরো অধিক পরিমাণ সাহায্য দেওয়ার জন্য সরকারের কাছে জোর দাবি জানিয়েছেন।

নেতৃদ্বয় এই বলে হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেন যে, জেলেদের অসহায়ত্বের কথা বিবেচনা করে সরকার সাহায্যের পরিমাণ না বাড়ালে আমরা তাদেরকে সংঘটিত করে দুর্বার আন্দোলন গড়ে তুলতে বাধ্য হব। এই ৬৫ দিনে প্রতি কার্ডধারীকে অন্তত দু’বার নগদ ১০,০০০ (দশ) হাজার টাকা ও ৮০ (আশি) কেজি করে চাল প্রদান করিতে হইবে।