সম্পাদক নঈম নিজামের কুৎসারটনাকারীরা নষ্ট- দুষ্ট শ্রেণির

আপডেট: মে ১, ২০২১
0


সোহেল সানি

সর্বদর্শী জীবনে সত্য-মিথ্যার লড়াইয়ে,সত্যেরই জয়জয়কার। বঙ্গবন্ধু হত্যার বিরুদ্ধে শেখ হাসিনার উত্থান তেমনি একটি সত্যের জয়।
যুগে যুগে সমাজ সভ্যতার লড়াইকে এগিয়ে নিতে কিছু কবি, সাহিত্যিক, সাংবাদিকের আত্মপ্রকাশ ঘটে। যাঁদের চিরন্তন হৃদয়ানুভূতি ও নিসর্গ ঐশ্বর্যে প্রোজ্জ্বল হয়ে ওঠে দেশাত্মবোধ, তীব্র সমাজ সচেতনতা ও মানবিক চেতনা।
সেই সংগ্রামের ধারাপাতে এ সময়ের শ্রেষ্ঠতম আত্মপ্রকাশ সাংবাদিক নঈম নিজাম। যাঁর লেখনীবিন্যাস সংবাদপত্রের শৈল্পিক সৌকর্যে বিশেষ করে নানন্দিকতার ঔজ্জ্বল্যে পরিপূর্ণ।

নঈম নিজামের সাংবাদিকসত্তার স্বরূপ উন্মোচন করলে দেখতে পাবো যে, তাঁর সংবাদপ্রতিভা সৌরলোকের ন্যায় উজ্জ্বল ও ভাস্বর।
তিনি তাঁর নেতৃত্বপ্রতিভাকে কখনোই প্রচার ও বিলাসের অনুষঙ্গী করে তুলেন নি। ধর্মান্ধতার কদর্যতার বিরুদ্ধে মুক্তিযুদ্ধের চেতনার পক্ষে শাণিত যুক্তি দিয়ে সুদক্ষ সম্পাদক হিসাবে নঈম নিজাম মানবতার বাণীবাহক হয়ে উঠেছেন, তখনি তাঁর বিরুদ্ধে পথকুক্কুরের মতো মানস রুচির চরম বিকৃতি নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রপাগান্ডার কল্পকাহিনির উদ্রেক করেছে একটি অশুভ চক্র।

যারা আমাদের সমাজেরই নষ্ট,ভ্রষ্ট,কীট ও দষ্ট একদল মানবরূপী প্রাণী। একটি আত্মহত্যা মামলাকে পূঁজি করে বসুন্ধরা গ্রুপের মালিকানাধীন সংবাদপত্র ও টিভি চ্যানেলকে ধ্বংস করার অপচেষ্টায় লিপ্ত হয়েছে দেশবিদেশের সুযোগসন্ধানী এ চক্রটি। এতে মদদ দিচ্ছে এমন একটি প্রতিহিংস চক্র যারা সরকার বা শেখ হাসিনার পতন কামনার স্বপ্নে বিভোর প্রতিনিয়ত। কিছু সাংবাদিক ও সম্পাদক নামধারী ভূঁইফোড়ও রয়েছে। তারা মিথ্যা প্রপাগাণ্ডায় লিপ্ত হয়েছে। আসলে হিংসায় জ্বলে যায়, কেন বসুন্ধরা গ্রুপের প্রতিষ্ঠানগুলোর কর্মরত সাংবাদিক -কর্মচারী ওদের চেয়ে বেশি সুখে আছে।

তাই প্রতিষ্ঠানের মধ্যমনি নঈম নিজামকে তারা টার্গেট করেছে। লিপ্ত হয়েছে জঘন্যতম মিথ্যাচারে। কেননা নঈম নিজাম সাংবাদিকতার শুরু থেকেই জাতির জনক কন্যা শেখ হাসিনার অতি স্নেহভাজন। আওয়ামী লীগের সব সংকটকালে নঈম নিজাম ইতিবাচক ভূমিকায় ছিলেন এক অনবদ্য চরিত্র। তাঁর সহধর্মিণী সাংবাদিক নেত্রী ফরিদা ইয়াসমিনও মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর অতিশয় স্নেহধন্য। নঈম নিজাম অসংখ্য সাংবাদিক সৃষ্টি করেছেন, যাদের সুখদুঃখের অংশীদার এক সহযাত্রী তিনি। সাংবাদিকদের বিভিন্ন ফোরামের নেতৃত্বেও রয়েছে তাঁর প্রচ্ছন্ন প্রভাব।
প্রচার সংখ্যায় শীর্ষে থাকা বাংলাদেশ প্রতিদিন ও জনপ্রিয় টিভি চ্যানেল নিউজ ২৪ এর সম্পাদকের আসন অলংকৃতকরণের পরও গণমাধ্যমে কিংবা টিভি পর্দায় নিজের প্রচারকে প্রাধান্য দেননি। বরং সময়ে সময়ে নষ্ট ভ্রষ্টপ্রাণী কর্তৃক অপমানতার গ্লানি তাঁর চিত্তকে যেভাবে দগ্ধ করেছে, সেখানে সংবাদ শিল্পের আপেক্ষিকতা খুবই নগণ্য।

নঈম নিজাম ঐশ্বরিক প্রতিভা ও অর্জিত মেধার মিশিলে এবং অপূর্ব নেতৃত্বগুণে আমাদের অনালোকিত সংবাদপত্র জগতকে আলোকিত করেছেন- এ কারণে তাঁকে সাংবাদিকতার নবযুগের অন্যতম প্রবর্তক বলা যায়। সম্পাদক পরিষদেরও সম্পাদক তিনি। আমরা সাংবাদিকদের বিরাট একটি অংশ নঈম নিজামকে আচ্ছাদিত করে রেখেছি। আজকের প্রজন্মের কাছে নঈম নিজাম অপরিচিত, অনালোচিত ও অনালোকিত নন। তাঁর কলামের ক্যানভাস বিশাল, ব্যাপক ও বিস্তৃত এবং তাঁর সম্পাদনা বহুমাত্রিক ও বিচিত্রগামী। এ কারণে বাংলাদেশ প্রতিদিন ও নিউজ টুয়েন্টি ফোর চ্যানেল ধর্মান্ধতা, প্রথাবদ্ধতা, কুসংস্কারের বিরুদ্ধে ঘৃণা প্রকাশে এক দ্রোহী আত্মার দুরন্তপ্রয়াস। বাস্তবতা ও মৃত্তিকার প্রতি গভীর আকর্ষণ ও নিসর্গপ্রীতিতায় তাঁর লেখনীর দেহ ও আত্মা লালিত। বিশ্বস্ততাবোধও তাঁর সৃষ্টিশীল নেতৃত্বের একটি বড় আকর ও অভিধা।

নঈম নিজাম সমসাময়িক সম্পাদকদের অনুগামী নন বরং তিনি মৌলিক সাংবাদিক। তিনি চিৎপ্রকর্ষবিদ, বিদ্বেতজন ও নানন্দিক ব্যক্তিত্ব সর্বোপরি স্থিতধী ও প্রজ্ঞাবান এক সম্পাদক। যাঁর আন্তরিকতায় ও মনন প্রকর্ষণায় বাংলাদেশ প্রতিদিন আজ জনপ্রিয়তার শীর্ষে। অবশ্যি স্বীকার করতে হবে যে, আমাদের একটি মহিমান্বিত অতীত ও গৌরবোজ্জ্বল ঐতিহ্য রয়েছে, আমাদের পায়ের নিচে হিমালয়ের মতো একটি শক্ত ভিত্তিও রয়েছে এবং আমাদের আকাশভরা সূর্যতারা। আমাদের সংবাদপত্রের ভাষা, সাহিত্য ও শিল্প এবং মানবিকতাবোধ ইউরোপীয় ছাঁচে বাঁধা নয়। এতটুকু মেনে নিলেই বাংলাদেশে মানবচৈতন্যে, সংবাদপত্র শিল্প ও দর্শনে, প্রতিবাদী ও বিবেকী চেতনায় যৌক্তিক আধুনিকতার উৎসারণে চলমান যুগ যথার্থই সাংবাদিকদের আত্মজাগরণের যুগ। বঙ্গবন্ধু হত্যাত্তোর যুগ। যে যুগেমাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অপরিসীম দেশপ্রেম নিয়ে স্বপ্নহারাক্রান্ত্র জাতিটাকে গড়ে তোলার কি অকাতর স্পৃহা! দেশ ও জাতিগঠনের দায় যেন বঙ্গবন্ধু কন্যার একার। তবে অশুভ শক্তির বিরুদ্ধে লড়ছে যে রাষ্ট্রশক্তি, সেই রাষ্ট্রের শাখা-প্রশাখায় ঢুকেছে স্বাধীনতা বিরোধী অনুপ্রবেশকারীরা।

একটা ইস্যুর ধামাচাপা হতেই আরেকটা ইস্যুর জন্ম হয়, আর তখনই প্রপাগান্ডায় লিপ্ত হয় অশুভরা। যে গণমাধ্যম অনুপ্রবেশকারীদের রাশ টেনে ধরতে বিশিষ্ট ভুমিকায় অবতীর্ণ রয়েছে, তন্মধ্যে বাংলাদেশ প্রতিদিন, কালের কন্ঠ, নিউজ টুয়েন্টি ফোর, বাংলা নিউজ প্রধানতম প্রতিষ্ঠান। স্বভাবতই নঈম নিজাম কিংবা ঔপন্যাসিক ইমদাদুল হক মিলন (কালের কন্ঠ সম্পাদক) টার্গেটে পরিণত হয়েছেন।

স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী নিয়ে সংঘটিত হওয়া হেফাজতের তান্ডব ও পরিবর্তিত পরিস্থিতি এসব গণমাধ্যমের ভুমিকা শত্রুপক্ষের আড় চোখের কারণ হওয়াটাই স্বাভাবিক। সত্যের মর্মমূলে মিথ্যার অনুপ্রবিষ্টতা রুখতে ব্যর্থ করতেই এরা বিভিন্ন ইস্যুতে সক্রিয় হয়। ওরা কুশিক্ষার প্রাচীর দিয়ে ঘিরে রাখতে চায় গোটা জীবনসমাজকে। শুধু অবসাদ, অবসন্ন গ্রাস করেনি বরং সঞ্চয়ে ঘটেছে, অবসংযোগের হানা। তারপরও জীবন নামক যন্ত্রটা চলবে। এর বিরুদ্ধে আমাদের রুখে দাঁড়াতে হবে।

জীবনে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুই তো আমাদের মনে গেঁথে দিয়ে গেছেন-
“তুমি জীবনকে সংগ্রামমুখর করে গড়ে তোল, আত্মনিয়ন্ত্রণ অধিকারের লড়াই কর, হয়ত এ পদ বিপদসংকুল। তাতে মৃত্যু হলেও বেঁচে থাকা যায়।”

সোহেল সানি
সাংবাদিক, কলামিস্ট ও ইতিহাস বিশ্লেষক