সরকারি কর্মচারীদের ৬০ শতাংশ বেতন বাড়ানোর দাবি

আপডেট: মে ২১, ২০২২
0

নতুন জাতীয় বেতন স্কেল প্রদান না করা পর্যন্ত সরকারি কর্মচারিদের অন্তবর্তীকালীন সময়ের জন্য ৬০% বেতন বাড়ানোর দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ তৃতীয় শ্রেণী সরকারি কর্মচারী সমিতি। শনিবার (২১ মে) ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি’র সাগর-রুনি মিলনায়তনে এক সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি জানানো হয়।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে বলা হয়, ২০১৫ সনে সর্বশেষ জাতীয় বেতন স্কেল প্রদানের পর বিগত ৭ (সাত) বছরে গ্যাস, বিদ্যুৎ, পানি, চিকিৎসা ব্যয়সহ নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্য সামগ্রীর মূল্য প্রতিনিয়ত অস্বাভাবিকভাবে বৃদ্ধি পাওয়ায় সীমিত আয়ের সরকারি কর্মচারিদের জীবন যাপন কষ্টসাধ্য হয়ে পড়েছে। এ অবস্থায় নতুন জাতীয় বেতন স্কেল প্রদান অত্যাবশ্যক।

নতুন বেতন স্কেল প্রদান না করা পর্যন্ত অসহায় ও হতাশাগ্রস্থ সরকারি কর্মচারিদেরকে অন্তবর্তীকালীন সময়ের জন্য ৬০% বেতন বৃদ্ধি করাসহ চিকিৎসা ভাতা ৪ হাজার টাকা প্রদান এবং প্রজাতন্ত্রের কর্মচারীদের মধ্যে বৈষম্য নিরসনকল্পে বাংলাদেশ সচিবালয়ের ন্যায় সচিবালয় বহির্ভূর্ত অধিদপ্তর, পরিদপ্তর, দপ্তর প্রতিষ্ঠান, সংস্থা, বিভাগীয় কমিশনার, জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে কর্মরত, প্রধান সহকারী, উচ্চমান সহকারী, স্টেনোগ্রাফার, কম্পিউটার অপারেটর, স্টোর কিপারসহ সমমানের সমমর্যাদার কর্মচারীদের পদ-পদবী প্রশাসনিক কর্মকর্তা, ব্যক্তিগত কর্মকর্তা, প্রযোজ্য ক্ষেত্রে স্বপদে দ্বিতীয় শ্রেণীর পদমর্যাদা ও বেতনস্কেল প্রদান, ডিপ্লোমা নার্সদের ন্যায় সমশিক্ষাগত যোগ্যতাসম্পন্ন ডিপ্লোমা হেলথ টেকনোলজিস্ট, ফার্মাসিস্ট ও সম শিক্ষাগত যোগ্যতাধারীদের দ্বিতীয় শ্রেণীর পদমর্যাদাসহ বেতনস্কেল প্রদানের দাবি জানানো হয়।

দাবি বাস্তবায়নে আগামী মঙ্গলবার (২৪ মে) প্রধানমন্ত্রী বরাবর স্মারকলিপি প্রদান, আগামী ২৬ মে হতে ৯ জুন পর্যন্ত রাজধানীর বিভিন্ন দপ্তর/প্রতিষ্ঠান, প্রশাসনিক বিভাগ ও জেলাসমূহে দাবির সমর্থণে কর্মচারি সমাবেশ এবং দাবি বাস্তবায়ন না হলে আগামী ১১ জুন জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করা হবে।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন- সমিতির মহাসচিব মো. ছালজার রহমান। উপস্থিত ছিলেন- সমিতির সভাপতি মো. লুৎফর রহমান; কার্যকরী সভাপতি নূরুন্নবী, রায়হান চৌধুরী, আসাদুজ্জামান, তাইজুল ইসলাম, হুমায়ূন কবির; সহ-সভাপতি সেলিম মোল্লাহ, মনিরুল ইসলাম, আবুল কালাম আজাদ, খতিবুর রহমান, নজরুল ইসলাম, ইব্রাহিম মিয়া, মোজাম্মেল হক; অতিরিক্ত মহাসচিব তাপস কুমার, মনির হোসেন বাবু, মফিজুল ইসলাম পিন্টু, মজিবুর রহমান খান, মনিরুল ইসলাম; ঢামেক সভাপতি ওয়াহিদুজ্জামান, সহসভাপতি শেখ মোহাম্মদ রাসেল ও মাহাতাব উদ্দিন, সিরাজুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক রফিকুল ইসলাম মামুন, অতিরিক্ত সাধারণ সম্পাদক এনামুল হক, ফারুক বিশ্বাস, দৌলতউজ্জামান ফরহাদ হোসেন, সেলিম রেজা, লিপি আক্তার, নাজমা আক্তার, রুবিয়া ইয়াসমিন, সাইফুল ইসলাম, আতাউর রহমান, হাদিউজ্জামান, জাহাঙ্গীর হোসেন, আনোয়ার হোসেন বিমক, আনোয়ার হোসেন বিএসটিআই, আনোয়ার হোসেন শিক্ষা বোর্ড, আরিফুল ইসলাম, মিজানুর রহমান এবং উপদেষ্টা বীর মুক্তিযোদ্ধা হারুন অর রশিদ, বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. মাহফুজুর রহমান ও নজরুল ইসলাম প্রমুখ।