সাংবাদিক পেটানোর দায়ে অভিযুক্তদের দণ্ড মওকুফে বিএফইউজের উদ্বেগ-নিন্দা

আপডেট: মার্চ ১০, ২০২২
0
Bfuj -duj

কুড়িগ্রামে সাংবাদিক আরিফুল ইসলামকে নির্যাতনের ঘটনায় অভিযুক্তদের একের পর এক দণ্ড মওকুফে গভীর উদ্বেগ, নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়ন (বিএফইউজে)। নেতৃবৃন্দ এটিকে আইনের শাসনের জন্য পরিহাস হিসেবে উল্লেখ করে বলেছেন, একটা প্রমাণিত অপরাধকে এভাবে ধামাচাপা দেয়ার মধ্য দিয়ে প্রশাসনের দুষ্ট চক্রের কাছে রাষ্ট্রের জিম্মি থাকার বিষয়টি স্পষ্ট করেছে।

আজ বৃহস্পতিবার (১০ মার্চ, ২০২২) বিএফইউজে সভাপতি এম আবদুল্লাহ ও মহাসচিব নুরুল আমিন রোকন এক বিবৃতিতে বলেন, অনলাইন নিউজপোর্টাল বাংলা ট্রিবিউন ও ঢাকা ট্রিবিউনের কুড়িগ্রাম জেলা প্রতিনিধি আরিফুল ইসলাম রিগানকে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতনের ঘটনা ক্ষমতা অপব্যবহারের একটি নিকৃষ্ট উদাহরণ। প্রশাসনের বিরুদ্ধে সংবাদ প্রকাশের জের ধরেই সাংবাদিককে নির্যাতন করে সাজানো মাদক মামলায় সাজা দেয়ার বিষয়টি দেশজুড়ে ব্যাপক সমালোচিত হয়েছিল।

২০২০ সালের মার্চ মাসের মাঝামাঝি মধ্যরাতে সংঘটিত ওই ঘটনার পর সরকারের ঊচ্চ পর্যায় থেকে দোষীদের শাস্তির আওতায় আনার আশ^াসও দেওয়া হয়েছিল। তাছাড়া বিভাগীয় তদন্তে কুড়িগ্রামের সাবেক জেলা প্রশাসক সুলতানা পারভীন, আরডিসি নাজিম উদ্দীন এবং মোবাইল কোর্ট পরিচালনাকারী দুই নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণ হওয়ায় শাস্তিমূলক ব্যবস্থাও নেয়া হয়। এর মধ্যে সুলতানা পারভীনের বিরুদ্ধে করা বিভাগীয় মামলায় দুই বছরের জন্য বেতন বৃদ্ধি স্থগিত রাখার লঘুদ- দিয়ে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় গত বছরের ১০ আগস্ট প্রজ্ঞাপন জারি করে। কিন্তু সুলতানা পারভীনের আবেদনের প্রেক্ষিতে সেই ‘লঘুদ-’ মওকুফ করে তাকে অভিযোগের দায় থেকে অব্যাহতি দেন রাষ্ট্রপতি।

একই ঘটনায় আরডিসি নাজিমকে এক ধাপ পদাবনতি দেয়া হয়েছিল। এবার তার দণ্ড মওকুফ করল সরকার। এতে ন্যায়বিচার এবং আইনের শাসনের বিষয়ে সরকারের অঙ্গীকার শুধু প্রশ্নবিদ্ধ হয়নি, পাশাপাশি জনগণের মাঝেও ভিন্ন বার্তা ছড়িয়ে পড়তে পারে। এটি স্বাধীন গণমাধ্যমের জন্যও অশনি সংকেত। অপরাধ করেও দায়মুক্তির সংস্কৃতি কোনো সভ্য সমাজে কাম্য হতে পারে না বলে বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়।

বিবৃতিতে নেতৃবৃন্দ সাংবাদিক নির্যাতনে জড়িতদের দণ্ড মওকুফের সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনা করে ন্যায়বিচারের স্বার্থে সাজা বহালের দাবি জানান।