সাংবাদিক লিটু দাসের উপর ছাত্রলীগের কর্মীরা হামলা করেছে

আপডেট: সেপ্টেম্বর ২৯, ২০২২
0

মু,হেলাল আহম্মেদ(রিপন)
স্টাফ রিপোর্টারঃ

পটুয়াখালীতে সাংবাদিক সঞ্জয় কুমার দাস লিটুর উপর হামলাকারী সন্ত্রাসীর পরিচয় মিলেছে ইতিমধ্যে । সন্ত্রাসীর নাম ফজলে রাব্বী জিকো। তিনি শহরের টাউন কালিকাপুর
এলাকার (পল্লী বিদ্যুত সংলগ্ন) জনৈক চুন্নু মিয়ার ছেলে। প্রাথমিক তথ্যে জানা গেছে জিকো পটুয়াখালী জেলা ছাত্রলীগের রাজনীতির সাথে সম্পৃক্ত এবং পটুয়াখালী জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক
পদে প্রত্যাশী।

গত ২০ সেপ্টেম্বর রাতে পটুয়াখালী ব্রীজের দক্ষিন প্রান্তে মোটর সাইকেল স্ট্যান্ড এলাকায় জিকো সহ ৪ থেকে ৫ জনের একটি গ্রুপ সাংবাদিক লিটুর উপর হামলা চালায়। এ ঘটনায় সাংবাদিক লিটু গুরুতর
আহত হয়ে পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে বেশ কয়েকদিন ভর্তি ছিলেন। গত ২৫ সেপ্টেম্বর রাতে সঞ্জয় দাস লিটু বাদী হয়ে জিকো এবং তার সহযোগী মনির সহ ৪ থেকে ৫ জনকে অজ্ঞাত আসামী করে সদর
থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন। পটুয়াখালী সদর থানার ওসি মামলা গ্রহণের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। মামলার বিবরনে জানা যায়, সাংবাদিক সঞ্জয় দাস লিুট
দৈনিক বাংলাদেশ প্রতিদিন, বেসরকারী টেলিভিশন নিউজ ২৪ ও বিডি নিউজ ২৪ ডটকম এর পটুয়াখালী জেলা প্রতিনিধি হিসেবে কর্মরত আছেন। আসামীরা অত্যান্ত সন্ত্রাসী চাঁদাবাজ, ভাড়াটিয়া খুনী চক্রের সাথে জড়িত এবং আসামীরা শহরের চিহ্নিত সন্ত্রাসী। ১নং আসামী ফজলে রাব্বী জিকো নিজেকে
বিভিন্ন জায়গায় পটুয়াখালী শহরের টপ টেরর পাচঁ শীর্ষ সন্ত্রাসী একজন হিসেবে পরিচয় দিয়ে থাকেন। সঞ্জয় লিুট পটুয়াখালী জেলায় বিভিন্ন অনুসন্ধানী মূলক প্রতিবেদন নিষ্ঠার সাথে প্রচার এবং প্রকাশ করে আসছে। অন্যায় ভাবে টেন্ডারবাজী, সরকারী কাজে দুর্নীতি, সরকারী কর্মকর্তাদের মারধর তথা বিভিন্ন সন্ত্রাসী কর্মকান্ডের বিরুদ্ধে তার মিডিয়ার মাধ্যমে রিপোর্ট পেস করে থাকেন। আসামীরা যেহেতু সন্ত্রাসী কর্মকান্ড করে বেড়ায় এ কারনে গত ২০ সেপ্টেম্বর সাংবাদিক সঞ্জয় কুমার দাস লিটু বিডি নিউজ এর একটি কর্মশালায় অংশ গ্রহন শেষে ঢাকা থেকে পটুয়াখালী ফেরার পথে সন্ত্রাসী ফজলে রাব্বী জিকো সাংবাদিক লিটুকে অনুসরন করে এবং পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী রাত অনুমান ১০ টার দিকে পটুয়াখালী ব্রীজের দক্ষিণ প্রান্তে ”ক্লাসিক মেঘনা পরিবহন এক্সপ্রেস (প্রাঃ) লিঃ” গাড়িটি থামার সাথে সাথে সকল আসামীরা ফজলে রাব্বী জিকো’র নেতৃত্বে সন্ত্রাসী হামলা চালিয়ে ধারালো দেশীয় অস্ত্র দিয়ে হত্যার উদ্দেশ্যে আঘাত করে। অন্যান্য আসামীরা লিটুকে মারধর করে এসময়।

আসামীরা ঘটনার সময় ঘটনাস্থলে বিভিন্ন দেশীয় অস্ত্র-শস্ত্র নিয়ে ভীতিকর পরিবেশ সৃষ্টি করলে সাধারন মানুষ তাহাদের সন্ত্রাসী কার্যে হত বিহব্বল হয়ে যায়। এ সময় বাসের অনান্য যাত্রীরা প্রতিরোধে এগিয়ে আসলে সন্ত্রাসীরা দ্রুত পালিয়ে যায়। পরে গুরুতর রক্তাক্ত
অবস্থায় সাংবাদিক লিটুকে উদ্ধার করে পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এ ঘটনার পর পরই পুলিশ বিভিন্ন তথ্য উপাত্ত বিশ্লেষণ করে হামলাকারীদের পরিচয় নিশ্চিত করে। মামলায় আরও উল্লেখ করা হয়,

এবিষয়ে সাংবাদিক লিটু গণমাধ্যমকে বলেন,
‘আমার মনে দৃঢ় বিশ্বাস, আমার অনুসন্ধানী সত্য অন্বেষনের প্রতিবেদনের কারনে আসামীরা পূর্ব পরিকল্পিত ভাবে জননিরাপত্তা বিঘ্নিত করার লক্ষ্য এই সন্ত্রাসী কর্মকার্য্য পরিচালনা করেছে। যাতে আমি কিংবা আমার সাংবাদিক ভাইয়েরা সমাজের তথা জনস্বার্থে কোন অনুসন্ধানী রিপোর্ট না করে। আসামীদের এই সন্ত্রাসী কার্যে স্বাধীন সাংবাদিকতায় ভয়ে ও অন্ধকারের বিরাট ছায়া পরিবে। এটা কোন সভ্য সমাজের কাম্য নয়। তাই আমি এই নারকীয় সন্ত্রাসী কর্মকান্ডের বিচার চাই।’

এদিকে পটুয়াখালী সদর থানার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ মনিরম্নজ্জামান দৈনিক বাংলাদেশ কন্ঠ ও দৈনিক বরিশাল সমাচারকে জানান, ‘সাংবাদিক সঞ্জয় দাস লিটুর উপর হামলা কারীদের ইতিমধ্যে পুলিশ চিহ্নিত করেছে এবং এ ঘটনায় একটি মামলায় নেয়া হয়েছে। আসামীদের গ্রেফতারে পুলিশ অভিযান চালাচ্ছে। এবং তারা জানায় আশা করছি দ্রুত সময়ের মধ্যে হামলাকারীদের গ্রেফতার করা সম্ভব হবে বলে জানান।