বিএনপি মহাসচিব মীর্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন , ‘‘ মজার ব্যাপার হচ্ছে যে, স্বাস্থ্য মন্ত্রী যিনি উপস্থিত থেকে রিজেন্ট হাসপাতালের সাহেদের সঙ্গে চুক্তি করলেন। সাহেদকে জেলে নিলে তাহলে মন্ত্রীকে নিলেন না কেনো? মন্ত্রীর চাকুরিটা গেলো না কেনো? হি ইজ ইকুয়েলি রেন্সপন্সেবল, চুক্তির সময়ে তিনি উপস্থিত ছিলেন।”
সোমবার দুপুরে এক আলোচনা সভায় বিএনপি মহাসচিব এই মন্তব্য করেন।
মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ‘‘আজকের পত্রিকায় এসেছে যে, গতকাল সংসদে ওদের একজন সদস্য বলেছেন যে, বড় চোরদের দুর্নীতিতে মাথা হেট হয়ে যায়। মানে ওরা ছোট চোর। আমাদের বিখ্যাত অর্থনীতিবিদ ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য্ বলেছেন, এখন তথ্য-উপাত্ত নিয়েও নৈরাজ্য চলছে। আপনি দেখেন না- এটা পরিসংখ্যানও ঠিক নাই। আপনাদের টেস্টের রিপোর্ট একটাও ঠিক আছে, এই যে আক্রান্ত হচ্ছে তার রিপোর্ট ঠিক আছে, এই যে মারা যাচ্ছে তার রিপোর্ট ঠিক আছে-একটাও না।”
‘‘ একটা রিপোর্ট ঠিক আছে- টাকা কত পাঁচার হচ্ছে সেগুলো ঠিক আছে। বাড়ি হচ্ছে কানাডায়, বাড়ি হচ্ছে মালয়েশিয়াতে, বাড়ি হচ্ছে সৌদি আরবে, বাড়ি তৈরি হচ্ছে লন্ডনে। শপিং মল তৈরি হচ্ছে। কেউ আর দেশে টাকা রাখে না।
কারণ জানে যে, এখান সময় আসবে যখন প্রত্যেকটার হিসাব নেবে। মানুষ হিসা্ব নেবে অবশ্যই।”
কোভিড-১৯ মোকাবিলায় সরকার সম্পূর্ণ ব্যর্থ হয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘‘ তাদের(সরকার) একটাই লক্ষ্য খালি দুর্নীতি করবে, খালি চুরি করবে। যেখানে যাক চুরি চুরি। টেস্টের মধ্যে চুরি, সার্টিফিকেট দেবে সেখানেও চুরি, মাস্ক কিনবে সেখানেও চুরি, পিপি করবে সেখানেও চুরি।”
ডক্টরস অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি হারুন আল রশিদের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য আমান উল্লাহ আমান, সহ-প্রচার সম্পাদক শামীমুর রহমান শামীম, ড্যাবের মহাসচিব আব্দুস সালাম, কেন্দ্রীয় নেতা শহীদ হাসান, মেহেদী হাসান, জহিরুল ইসলাম শাকিল, সিরাজুল ইসলাম, কাজী মাজহারুল ইসলাম দোলন, জাহানারা সিদ্দিকী, সরকার মাহবুব আহমেদ শামীম, মাসুদ আদনান, মোহাম্মদ ফখরুজ্জামান, এমটাবের বিপ্লব উজ্জামান প্রমূখ বক্তব্য রাখেন।