পরিবেশগত প্রভাব হ্রাসে, ক্রেতাদের লাইফস্টাইল অনুযায়ী সেবা প্রদানে এবং সত্যিকার অর্থেই নিরবচ্ছিন্ন স্মার্ট হোম অভিজ্ঞতা নিশ্চিতে বিভিন্ন পণ্য ও উদ্যোগের মাধ্যমে একটি টেকসই, কাস্টমাইজড ও সংযুক্ত ভবিষ্যতের ওপর জোর দিবে প্রতিষ্ঠানটি
[ঢাকা, ০৯ জানুয়ারি, ২০২১] সিইএস ২০২২ -এ প্রি-শো কিনোট অনুষ্ঠানে নিজেদের লক্ষ্য উন্মোচন করেছে স্যামসাং ইলেকট্রনিকস। ভবিষ্যৎ নিয়ে প্রতিষ্ঠানটির লক্ষ্য হচ্ছে – ‘টুগেদার ফর টুমরো।’
প্রতিষ্ঠানটির ‘টুগেদার ফর টুমরো’ লক্ষ্য ইতিবাচক পরিবর্তন আনতে এবং বিশ্বের গুরুতর কিছু চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় অংশীদারিত্ব উৎসাহিত করার মাধ্যমে সবাইকে উৎসাহিত করবে। মূল বক্তব্যে উঠে আসে বিস্তৃত পরিসরের টেকসই উদ্যোগ গ্রহণ, ইতিবাচক অংশীদারিত্ব এবং কাস্টমাইজেবল ও কানেক্টেড টেকনোলজি নিয়ে আসার মাধ্যমে স্যামসাং কীভাবে এর লক্ষ্যকে বাস্তবায়িত করবে।
টেকসই ভবিষ্যৎ নির্মাণ
‘এভরিডে সাসটেইনিবিলিটি’ – এ বিশ্বাসের ভিত্তিতেই স্যামসাং ভবিষ্যতের লক্ষ্য নির্ধারণ করেছে। আর ‘এভরিডে সাসটেইবিলিটি’র ধারণাই স্যামসাং -কে নিজেদের সবকিছুর কেন্দ্রে ‘সাসটেইনিবিলিটি’ -কে রাখতে উৎসাহিত করে। নতুন এবং কম নেতিবাচক প্রভাব রাখবে এমন পণ্য উৎপাদন, প্যাকেজিং ও টেকসই গ্রাহক অভিজ্ঞতা নিশ্চিত এবং পণ্যের জীবনচক্র শেষ হয়ে যাওয়ার পর তা নিষ্পত্তির ক্ষেত্রে নতুন কৌশল গ্রহণের মাধ্যমে প্রতিষ্ঠানটি এর নতুন লক্ষ্য বাস্তবায়নে কাজ করছে।
নিজেদের পণ্য উৎপাদনের নানা ধাপে কার্বন নিঃসরণ কমিয়ে আনতে স্যামসাং -এর প্রচেষ্টা ইতোমধ্যেই কার্বন পদচিহ্ন নিয়ে কাজ করা বিশ্বের শীর্ষস্থানীয় কর্তৃপক্ষ কার্বন ট্রাস্টের স্বীকৃতি অর্জন করেছে। গত বছর, প্রতিষ্ঠানটির কার্বন ট্রাস্ট সনদপ্রাপ্ত মেমোরি চিপ আনুমানিক প্রায় ৭ লাখ টন কার্বন নিঃসরণ হ্রাসে সহায়তা করেছে।
এক্ষেত্রে, স্যামসাং সেমিকন্ডাক্টরের বাইরেও নিজেদের প্রচেষ্টা অব্যাহত রেখেছে, যার মধ্যে রয়েছে পুন:ব্যবহারযোগ্য পণ্য। ‘এভরিডে সাসটেইনবিলিটি’ নিজেদের প্রত্যেক পণ্যে ব্যবহারে স্যামসাং ভিজ্যুয়াল ডিসপ্লে বিজনেস ২০২১ সালের চেয়ে ৩০ গুণ বেশি রিসাইকেলড প্লাস্টিক পণ্য ব্যবহারের পরিকল্পনা
২০২১ সালে স্যামসাং -এর সকল টিভি বক্সে পুন:ব্যবহারযোগ্য উপকরণ যুক্ত করা হয়। এ বছর, প্রতিষ্ঠানটি জানিয়েছে, এ বছর বক্সের ইন্টেরিয়র প্যাকেজিং -এও পুন:ব্যবহারযোগ্য উপকরণ ব্যবহার করা হবে। এখন, স্টাইরোফোম, বক্স হোল্ডার ও প্লাস্টিক ব্যাগেও পুন:ব্যবহারযোগ্য উপকরণ যুক্ত করা হবে। প্রতিষ্ঠানটি এর পুরস্কারজয়ী ইকো-প্যাকেজিং প্রোগ্রামের বৈশ্বিক সম্প্রসারণের ঘোষণাও দিয়েছে। এ প্রোগ্রামের সম্প্রসারণ কার্ডবোর্ড বাক্সকে ক্যাট হাউজ, স্লাইড টেবিল ও অন্যান্য প্রয়োজনীয় ফার্নিচার পণ্যে রূপান্তরে সহায়তা করবে।
ক্রেতাদের স্যামসাং পণ্য ব্যবহারের ধরনেও টেকসই অবস্থাকে অন্তর্ভুক্ত করবে স্যামসাং। এ অভিজ্ঞতা কার্বন পদচিহ্ন কমাতে মানুষের ক্ষমতায়নে এবং উজ্জ্বল ভবিষ্যতের জন্য ইতিবাচক পরিবর্তনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। উদাহরণস্বরূপ, প্রতিষ্ঠানটি এর সোলারসেল রিমোট -এ উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন নিয়ে এসেছে। এর ফলে, ইন-বিল্ট সোলার প্যানেলের মাধ্যমে ব্যাটারির অপচয় কমেছে, এবং যা দিন ও রাত উভয় সময়েই চার্জ দেয়া যাবে। সক্ষমতা বৃদ্ধি করা সোলারসেল রিমোট ওয়াই-ফাই রাউটারের মতো ডিভাইসের রেডিও তরঙ্গ থেকে বিদ্যুৎ পাবে।
এছাড়াও, ২০২৫ সালের মধ্যে স্যামসাং এর পরিকল্পনা রয়েছে এর সকল টিভি ও ফোন চার্জারের প্রায় শূন্য-স্ট্যান্ডবাই পাওয়ারে চালানোর, যাতে ওই পণ্যগুলো ব্যবহারে প্রায় শূন্য এনার্জি ব্যবহৃত হয়।
ই-বর্জ্য ইলেকট্রনিকস শিল্পের জন্য আরেকটি বড় চ্যালেঞ্জ। তাই, ২০০৯ সাল থেকে স্যামসাং পাঁচ মিলিয়ন টনেরও বেশি ই-বর্জ্য সংগ্রহ করেছে। মোবাইল পণ্যের জন্য স্যামসাং গত বছর সাস্টেইনেবিলিটি প্ল্যাটফর্ম গ্যালাক্সি ফর দ্য প্ল্যানেট চালু করেছে।