সিটি করপোরেশন অযৌক্তিক ট্যাক্স দাবি করছে গণস্বাস্থ্যের কাছেঃ ডা. জাফরুল্লাহ

আপডেট: জুলাই ২০, ২০২২
0

নিজস্ব প্রতিবেদক ঃ

ধানমন্ডির গণস্বাস্থ্য নগর হাসপাতালের কাছে ২৪ বছরে প্রায় ২ কোটি ৪০ লাখ টাকার পৌরকর বকেয়া রয়েছে বলে দাবি ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের। তবে, গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেছেন, হোল্ডিং ট্যাক্স বাবদ সিটি কর্পোরেশনের এ দাবি অযৌক্তিক।

বুধবার দুপুরে সিটি করপোরেশনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. মনিরুজ্জামানের হাতে বকেয়া হোল্ডিং ট্যাক্সের অংশ হিসাবে ১০ লাখ টাকার চেক প্রদানকালে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন।

ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেন,গণস্বাস্থ্য একটা দাতব্য প্রতিষ্ঠান। সবাই জানেন সবচেয়ে কম টাকা আমরা চিকিৎসা দেই। এমন কি সরকারের চেয়েও কম টাকায়। আমাদের দাবি ছিলো ঢাকা মেডিকেলসহ সরকারি অন্যান্য যে হাসপাতাল গুলো আছে তাদের যে হারে ট্যাক্স নেন আমাদেরও কাছ থেকে সে হারে ট্যাক্স যেনো নেয়।

সাংবাদিকদের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. মনিরুজ্জামান জানান, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের বকেয়া রাজস্ব আদায়ের জন্য মেয়র মহোদয়ের নির্দেশ রয়েছে। তাই তিনিসহ রাজস্ব কর্মকর্তা ও কাউন্সিলর এসেছেন
তিনি বলেন, আমরা আজকে ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী স্যারের সাথে সাক্ষাৎ করেছি এবং উনাকে জানিয়েছি গত ২৪ বছরের ট্যাক্স বাবদ আমাদের ২ কোটি ৪০ লাখ টাকার ট্যাক্স পাওনা রয়েছে। জবাবে তিনি জনিয়েছেন, মাননীয় মেয়রের সঙ্গে আলোচনা করবেন কিভাবে মওকুফ করা যায়।

রাজস্ব কর্মকর্তা জানান, ধানমণ্ডির এই হাসপাতালটি পূর্বে দুই তলা বিশিষ্ট ভবন ছিল, পরবর্তীতে সেটি ৭ তলা, এরপর ১০ করা হয়েছে। কিন্তু পূরনো হারে ট্যাক্স দিয়ে আসছেন গণস্বাস্থ্য ।

ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেন, এখানে আরো সরকারি হাসপাতাল রয়েছে। কিন্তু উনারা এই হাসপাতালটিকে কমার্শিয়াল বিল্ডিং হিসেবে ট্যাক্স ধরেছেন।
আমরা তো কমার্শিয়াল না। অন্যান্য সরকারি হাসপাতালে যে হারে ট্যাক্স দেয় আমিও সে হার ট্যাক্স দিবো। সেটি যদি এরিয়া হারেও হয় কোনো সমস্যা নেই, আমি রাজি আছি। আমাকে ১৫ দিন থেকে এক মাস সময় দিলেই হবে।
এসময় উপস্থিত ছিলেন গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রেস উপদেষ্টা জাহাঙ্গীর আলম মিন্টু, স্থানীয় ১৬ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর নজরুল ইসলাম বাবুল প্রমূখ।