সিলেটে রুনা আক্তার নামে এক গৃহশ্রমিককে নির্যাতনের ঘটনায় গৃহশ্রমিক অধিকার প্রতিষ্ঠা নেটওয়ার্কের উদ্বেগ

আপডেট: জুন ২৪, ২০২১
0

সিলেট নগরীর শাহজালাল উপশহরের ই ব্লকে রুনা আক্তার নামের এক গৃহশ্রমিককে নির্যাতনের ঘটনায় গৃহশ্রমিক অধিকার প্রতিষ্ঠা নেটওয়ার্ক গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করছে। একই সাথে এ ঘটনার প্রকৃত কারণ উদঘাটন করে দায়ী ব্যক্তিদের বিচার করে এ ধরনের ঘটনা বন্ধে যথাযথ পদক্ষেপ নেয়ার জন্য সরকার ও প্রশাসনের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছে।

সংবাদপত্রে প্রকাশিত সংবাদে জানা যায়, রুনা আক্তার সিলেট নগরীর শাহজালাল উপশহরের ই-ব্লকের ২১ নং বাসায় ফিরোজা মঞ্জিলে পরিবেশ অধিদপ্তর সিলেট বিভাগীয় কার্যালয়ের পরিচালক মোহাম্মদ এমরান হোসেন ও পূবালী ব্যাংক সিলেটের দক্ষিণ সুরমার কদমতলী শাখার প্রিন্সিপাল অফিসার ফারহানা আহমদ চৌধুরী দম্পতির বাসায় মাসখানিক ধরে কাজ করছেন।

শাহপরাণ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সৈয়দ আনিসুর রহমান জানান, বাসার বাথরুমে কিশোরী গৃহকর্মী রুনা আক্তারকে তালাবদ্ধ করে নির্যাতন করার অভিযোগ পাওয়া যায়। বাথরুমে তালাবদ্ধ রুনা আক্তারের চিৎকার ও কান্না শুনে স্থানীয়রা পুলিশে খবর দেন। পরে পুলিশ ঐ বাসায় গিয়ে রুনা আক্তারকে উদ্ধার করে।

সাম্প্রতিক বছরগুলোতে গৃহকর্মে নিযুক্ত শ্রমিকের উপর নির্যাতন, হত্যা, ও মানবাধিকার লংঘনের মতো প্রভৃতি ঘটনা উদ্বেগজনক ভাবে বেড়ে গেছে। গৃহশ্রমিক হিসেবে যেমন তাদের রয়েছে কিছু ন্যায্য অধিকার তেমনি রয়েছে মানুষ হিসাবে মর্যাদা পাবার অধিকার। এই করনাকালীন সময়ে গৃহশ্রমিকরা সরকারি ও বেসরকারি পর্যায় থেকে তেমন কোন সাহায্য বা সহযোগিতা পায়নি এবং তাদের একটা বড় অংশই চাকুরিচ্যুত এবং কর্মহীন। ফলে তাদের বেঁচে থাকাটাই এখন কঠিন হয়ে পড়েছে। এইরকম পরিস্থিতিতে তাদের উপর এই ধরনের সহিংসতার ও নির্যাতনের ঘটনা অমানবিকতার চরম নিদর্শন। সুতরাং এই ঘটনায় দায়ী ব্যক্তিকে দ্রুত বিচারের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানাচ্ছি গৃহশ্রমিক অধিকার প্রতিষ্ঠা নেটওয়ার্ক।

গৃহশ্রমিক অধিকার প্রতিষ্ঠা নেটওয়ার্ক মনে করছে, সম্প্রতি সরকার ঘোষিত ‘গৃহকর্মী সুরক্ষা ও কল্যাণ নীতি ২০১৫’ বাস্তবায়ন না হওয়ায় দেশে একের পর এক অনাকাঙ্খিত কারণে গৃহশ্রমিকের মৃত্যু ও নির্যাতনের ঘটনা ঘটছে। তাই গৃহশ্রমিক অধিকার প্রতিষ্ঠা নেটওয়ার্ক অবিলম্বে নীতি বাস্তবায়নে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছে।