সিলেট এবং সুনামগঞ্জে ১৫ টন গো খাদ্য ও বিশুদ্ধ পানি, শুকনো খাদ্য ও তিনটি চিকিৎিসা টিম নিয়ে কাজ করছে গণস্বাস্থ্য

আপডেট: জুন ২৩, ২০২২
0

সিলেট এবং সুনামগঞ্জে ১৫ টন গো খাদ্য ও বিশুদ্ধ পানি, শুকনো খাদ্য ও তিনটি চিকিৎিসা টিম নিয়ে কাজ করছে গণস্বাস্থ্য

আজ বৃহস্পতিবার ( ২৩ জুন ) বিকেলে গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রেস উপদেষ্টা জাহাঙ্গীর আলম মিন্টু গণমাধ্যমে পাঠানো বিবৃতিতে জানান, “আজ বৃহস্পতিবার
সুনামগঞ্জ জেলার দক্ষিণ সুরমা সুন্দরগঞ্জ উপজেলায় বিভিন্ন এলাকায় ১৫ টন
গো খাদ্য বিতরনের জন্য ঢাকা হতে গো খাদ্য পাঠানো হয়েছে। আগামীকাল হতে
সুন্দরগঞ্জ উপজেলায় গো খাদ্য বিতরণ করা হবে।
গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র গত ১৭ জুন থেকে সিলেট এবং সুনামগঞ্জে বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় অসহায়দের মাঝে ১০০ টন শুকনো খাদ্য বিতরণের কার্যক্রম
করে যাচ্ছে। ইতিমধ্যে ২১ টন শুকনে খাদ্য চিড়া ও ৫ টন গুড় বিতরণ করা
হয়েছে। ২ লিটারের পাঁচ হাজার বতল পানি ও পানি বিশুদ্ধ করনের পর্যাপ্ত
টেবলেট বিতরণ করা হয়।

প্রতিটি পরিবারকে ২কেজি চিড়া, আড়াইশ গ্রাম গুড়, ২ লিটারের একটা করে
পানির বোতল,পানি বিশুদ্ধ করনের টেবলেট, খাবার জি সেলাইন, প্যারাসিটামল,
শিশুদের জন্য জি প্যারাসিটামল সিরাপসহ বিভিন্ন ঔষধ পত্র বিতরন করে
যাচ্ছেন। দক্ষিন সুনামগঞ্জে এবং শান্তিগঞ্জ উপজেলায় পাগলা গণস্বাস্থ্য
কেন্দ্রসহ দুইটি চিকিৎসা টিম আরেকটি গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র, নওধার,
বিশ্বনাথ, সিলেট জেলায় চিকিৎসা অব্যাহত রয়েছে। গত পাচঁদিনে প্রায় পাচঁ হাজার পরিবারের মাঝে খাদ্য ভিতরণ করা হয়। ২০০০ বন্যার্থ মানুষকে চিকিৎসা
দেন। বিশ্বনাথ নওধার গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র, শান্তিগঞ্জ পাগলা গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রে প্রায় আড়াই হাজার মানুষ আশ্রয় নেয়।
গত পাঁচদিনে সিলেটের বিশ্বনাথে নওধার গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র এবং এর পার্শ্ববর্তী এলাকার আমতৈল, রহমান নগর, আমতৈল বাজারে ১০০০ টি পরিবারের
মাঝে ত্রাণ বিতরণ করা হয়। বৈরাগী গাঁও, ঘোরাইল ও কাঠলিপাড়া গ্রামে মোট
৯০০ টি পরিবারের মাঝে ত্রাণ বিতরণ করা হয়েছে। দক্ষিণ সুনামগঞ্জের পাগলা
গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র এবং আশেপাশের বন্যা কবলিত এলাকায় গতকাল ৯৫০ টি
পরিবারের মাঝে শুকনো খাবার বিতরণ করা হয়েছে এবং ৬০০ জন রোগীকে বিভিন্ন
রোগের চিকিৎসা দেয়া হয়েছে। গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র হাসপাতাল, পাগলা বাজার এবং পার্শ্ববর্তী এলাকার বারীগাঁও জামে মসজিদ, বারীগাঁও স্কুল, পশ্চিম
পাগলা (ব্রাহ্মণ গাঁও) এবং আসামপুর এলাকায় এই মেডিকেল ক্যাম্প ও ত্রাণ
বিতরণ কার্যক্রম অনুষ্ঠিত হয়। আজ দুপুরে শান্তিগঞ্জ উপজেলা চেয়ারম্যান ফারুক আহমেদ ত্রাণ বিতরনের সময় এসে কার্যক্রমের খোঁজ খবর
নেন। তিনি নৌকা জোগাড় করে দেয়াসহ স্থানীয় স্বেচ্ছাসেবী দিয়ে ত্রাণ
কাজের সহায়তার আশ্বাস দেন। স্থানীয় প্রশাসনের সমস্বয় ও সহযোগিতার
মাধ্যমে গণস্বাস্থ্যের ত্রান ভিতরনের কার্যক্রম এগিয়ে চলছে।
আজ ২৩ জুন সুন্দরগঞ্জ উজেলার জয়কলস, দরগাপাড়া,পূর্ব বিশগাঁও, পশ্পাঁচিম
পাগলা ও পূর্ব পাগলাসহ পাঁচটি ইউনিনে ১২ শত পরিবারের মাঝে ত্রান বিতরন করা হয়। এসময় গণস্বাস্থ্য কেদ্রের কর্মকর্তা শাওনাজ সুলতানাসহ পাগলা গণস্বস্থ্য
কেদ্রের কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।”