সুপার ৩০ প্রোগ্রামের অধীনে জম্মু ও কাশ্মীরের শিক্ষার্থীদের বিনামূল্যে কোচিং দিচ্ছে ভারতীয় সেনাবাহিনী

আপডেট: মার্চ ২, ২০২১
0

ভারতীয় সেনাবাহিনী সুপার ৩০ প্রোগ্রামের অধীনে জম্মু ও কাশ্মীরের শিক্ষার্থীদের ব্যাচেলর অফ মেডিসিন অ্যান্ড ব্যাচেলর অফ সার্জারি (এমবিবিএস) এবং ন্যাশনাল এলিজিবিলিটি কাম এন্ট্রান্স টেস্ট বিনামূল্যে কোচিং প্রদান করছে।

রাজ্যের প্রত্যন্ত এলাকার দরিদ্র ছাত্রছাত্রীদের এমবিবিএস ও নিট কোর্সের জন্য কোচিং প্রদানের লক্ষ্যে এই কর্মসূচী শুরু হয়।

সুপার ৩০ কোচিং সেন্টারের ম্যানেজিং ট্রাস্টি ডাঃ রোহিত শ্রীবাস্তব বলেন, ‘দরিদ্র ছাত্রছাত্রীদের কোচিং য়ের ব্যবস্থা করা হয় যারা মেডিকেল ও ইঞ্জিনিয়ারিং পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে চায়, কিন্তু তাদের আর্থিক সুবিধা বা সম্পদ নেই। প্রোগ্রামটি একটি ১২ মাসের কোর্স যা দৈনিক ছয় ঘন্টার জন্য পদার্থবিদ্যা, রসায়ন, প্রাণীবিদ্যা এবং উদ্ভিদবিদ্যা বিষয়ক বিষয়ে কোচিং প্রদান করে।

শ্রীবাস্তব বলেন ‘প্রথম ব্যাচের মধ্যে ১৯ জন শিক্ষার্থীকে এমবিবিএস এবং ব্যাচেলর অফ ডেন্টাল সার্জারি (বিডিএস) কোর্সে নির্বাচিত করা হয় এবং বাকিরা অন্যান্য সহযোগী শাখায় নির্বাচিত হয়। দ্বিতীয় ব্যাচে ৩৩ জন ছাত্রের মধ্যে ছয়জন এমবিবিএস, বিডিএস-এ সাতজন, ব্যাচেলর অফ ভেটেরিনারি সায়েন্সে (বিভিএসসি) দুইজন, আয়ুর্বেদিক মেডিসিন ও সার্জারিতে পাঁচজন এবং বাকি মেডিকেল কলেজে নির্বাচন করা হয়েছে।

ন্যাশনাল ইন্টিগ্রিটি এডুকেশনাল ডেভেলপমেন্ট অর্গানাইজেশন এই কর্মসূচী পরিচালনা করে যা শিক্ষা অনুষদ পর্যবেক্ষণ করে যখন সেনাবাহিনী প্রশাসন এবং লজিস্টিক তত্ত্বাবধান করে।

সুপার ৩০-এর ছাত্র জগবীর সিং বললেন, ‘এটি NEET কোচিং এর জন্য এক বছরের কোর্স যেখানে জম্মু ও কাশ্মীর রাজ্য থেকে মোট ৩০ জন শিক্ষার্থীকে নির্বাচিত করা হয়। বাছাই প্রক্রিয়া শুরু হয় সিলেবাসের লিখিত পরীক্ষা দিয়ে যা বিভিন্ন বিষয়ে ইন্টারভিউ অনুসরণ করা হয়। ‘আমরা যদি পরীক্ষার জন্য প্রাইভেট কোচিং বেছে নিতে পারি, তাহলে ভ্রমণ এবং বাসস্থানের মতো খরচ ছাড়াও আমাদের প্রায় ২-৩ লাখ টাকা দিতে হবে,’ যোগ করলেন তিনি।

আর এক ছাত্র আরিফ ভাট বললেন, ‘এখানে আমাদের NEET এবং এমবিবিএস-এর জন্য কোচিং য়ের ব্যবস্থা করা হয়েছে, যা খুবই উপকারী কারণ একজন মহান অনুষদ আমাদের গুণগত মানের শিক্ষা প্রদান করে।’

সুপার ৩০-এর ছাত্র সাহিল আজাজ বলেন, রাজ্যের প্রত্যন্ত এলাকার ছাত্রছাত্রীরা কেন্দ্রে কোচিং য়ের চেষ্টা করে, কারণ শিক্ষার মান খুবই ভালো।

আজাজ আরও বলেন ‘এরকম আরও অনেক প্রতিষ্ঠান সেখানে থাকা উচিত যাতে দরিদ্র ছাত্ররাও তাদের জীবন পরিবর্তনের সুযোগ পায়।