সুপ্রিমকোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতি, সাবেক আইনমন্ত্রী আব্দুল মতিন খসরু মারা গেছেন

আপডেট: এপ্রিল ১৪, ২০২১
0

করোনাভাইরাসে আক্রান্ত সুপ্রিমকোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতি, সাবেক আইনমন্ত্রী ও কুমিল্লা-৫ আসনের সংসদ সদস্য (এমপি) আব্দুল মতিন খসরু মারা গেছেন। ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন

শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে আজ বেলা সাড়ে ১১টার দিকে তাকে লাইফ সাপোর্ট দেওয়া হয়।

গত ১৫ মার্চ আব্দুল মতিন খসরু সংসদ সচিবালয়ে করোনা পরীক্ষার জন্য নমুনা দেন। ১৬ মার্চ সকালে তার রিপোর্টে পজিটিভ আসে। ওইদিনই তাকে রাজধানীর সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) ভর্তি করা হয়।

সাবেক এই মন্ত্রীর মৃত্যুতে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা , রাস্ট্রপতি আবদুল হামিদ খান ,এলজিআরডি মন্ত্রী মোঃ তাজুল ইসলাম এবং ঢাকা দক্ষিণ সিটি মেয়র া্যারিস্টার শেখ ফজলে নুর তাপস।

বুধবার বিকেল ৪টা ৫০ মিনিটে রাজধানীর সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি।

তার মৃত্যুর বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন তার ব্যক্তিগত সহকারী অ্যাডভোকেট মো: মহিন।মঙ্গলবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে লাইফ সাপোর্টে নেয়া হয় আব্দুল মতিন খসরুকে। এর আগে গত ৩১ মার্চ শারীরিক অবস্থার উন্নতি হলে কেবিনে আনা হয়েছিল। এরপর আবার অবস্থার অবনতি হলে গত ৬ এপ্রিল তাকে আইসিইউতে ভর্তি করা হয়।

গত ১৫ মার্চ আব্দুল মতিন খসরু সংসদ সচিবালয়ে করোনা পরীক্ষার জন্য নমুনা দেন। ১৬ মার্চ সকালে পাওয়া রিপোর্টে তার করোনা পজিটিভ আসে। ওইদিনই তাকে সিএমএইচে ভর্তি করা হয়। ওইদিন তিনি নিজেই করোনা আক্রান্ত হওয়ার কথা জানান। আক্রান্ত হওয়ার পর থেকে তিনি সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন।

আব্দুল মতিন খসরু ১৯৫০ সালের ১২ ফেব্রুয়ারি তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানের কুমিল্লা ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলার মিরপুর গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তার বাবার নাম মো: আবদুল মালেক এবং মা জাহানারা বেগম। তারা চার ভাই, এক বোন। আব্দুল মতিন খসরু ব্যক্তিজীবনে এক ছেলে ও এক মেয়ের জনক।

আব্দুল মতিন খসরু ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মহান মুক্তিযুদ্ধে সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করেন। তিনি ১৯৯৬-২০০১ সালে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের আইনমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। এ সময় ইনডেমনিটি অধ্যাদেশ বাতিল করে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নির্মম হত্যাকাণ্ডের বিচারের ব্যবস্থা করা হয়।