সূত্রাপুর ও শ্রীপুর থেকে প্রতারক চক্রের ২ সদস্য গ্রেফতার

আপডেট: সেপ্টেম্বর ১৩, ২০২১
0
প্রতারক চক্রের ২ সদস্য

নিজস্ব প্রতিবেদক:

চাকুরী দেয়ার নাম করে প্রতারণার অভিযোগে র‌্যাব দুই ব্যক্তিকে গ্রেফতার করেছে। তারা সাধারণ মানুষের সাথে প্রতারণা করে আসছিলো।

র‌্যাব জানায়, সুনির্দিষ্ট কিছু অভিযোগের ভিত্তিতে র‌্যাব ৩ জানতে পারে যে, প্রতারক চক্রের সদস্য মোঃ নাজির হোসেন এবং মোঃ কামরুজ্জামান দীর্ঘদিন যাবত বাংলাদেশ সেনাবাহিনীতে মেস ওয়েটার ও সৈনিক পদে চাকুরি দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে সাধারন নিরীহ জনগণকে বিভিন্ন ভাবে প্রলুব্ধ করে ভূয়া নিয়োগপত্র প্রদানের মাধ্যমে মোটা অংকের অর্থ আত্মসাৎ করে আসছে। উক্ত অভিযোগের সত্যতা যাচাই ও আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের নিমিত্তে র‌্যাব-৩ এর একটি আভিযানিক দল ১২/০৯/২০২১ তারিখ রাতে রাজধানীর সূত্রাপুর এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে প্রতারক চক্রের সদস্য ১। মোঃ নাজির হোসেন (৩২), সাং-বেগুনবাড়ী, থানা-কোতয়ালী, জেলা-ময়মনসিংহ এবং শ্রীপুর, গাজীপুর এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে প্রতারক চক্রের মূলহোতা ২। মোঃ কামরুজ্জামান (৩৩), সাং-কেওয়া পশ্চিম খন্ড, থানা-শ্রীপুর, জেলা-গাজীপুরদ্বয়কে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়।

প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ধৃত আসামীদ্বয় জানায় যে, তারা পরস্পর বন্ধু। ধৃত মোঃ নাজির একটি হাসপাতালের ওয়ার্ড বয়। সে সুকৌশলে সাধারন জনগণকে চাকুরী দেওয়ার মিথ্যা প্রলোভন দেখিয়ে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক গড়ে তোলে। ভিক্টিমের বিশ^স্ততা অর্জনের পর সে ধৃত কামরুজ্জামানকে সেনাবাহিনীর উধ্বৃতন কর্মকর্তা হিসেবে ভিক্টিমের সাথে পরিচয় করিয়ে দেয়। কামরুজ্জামান ভিক্টিমকে আশ^স্থ করে যে, ইতোপূর্বে সে বহু লোককে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীতে চাকুরি দিয়েছে। তবে চাকুরী পেতে হলে সেনাবাহিনীর নিয়োগ বোর্ডে যারা থাকে তাদেরকে ৫ লক্ষ টাকা দিতে হবে। এভাবে প্রথমে সে একটি চুক্তিনামা করে ০৫ লক্ষ টাকা আদায় করে। তারপর প্রার্থীর নিকট থেকে প্রয়োজনীয় কাগজপত্রসহ আবেদনপত্র গ্রহণ করে। এরপর প্রার্থীকে জানানো হয় যে, আপনাকে একটি পদের জন্য মনোনীত করা হয়েছে। তবে নিয়োগ পত্র পেতে হলে আরও ০২ লক্ষ টাকা দিতে হবে। এভাবে সে ধাপে ধাপে ভিক্টিমের নিকট থেকে টাকা আদায় করতে থাকে। একপর্যায়ে ভিক্টিমকে একটি ভুয়া নিয়োগপত্র দিয়ে তার সাথে যোগাযোগ বন্ধ করে দেয়। এভাবে উক্ত চক্র বিভিন্ন ভিক্টিমের নিকট হতে কোটি টাকা হাতিয়ে নেয়।