সূর্যমুখীর হাসিতে হাসছে চারঘাটের কৃষক

আপডেট: এপ্রিল ৯, ২০২১
0

আবু সুফিয়ান, চারঘাট;

মুজিববর্ষ
উপলক্ষে রাজশাহীর চারঘাটে এবার
প্রথমবারের মতো সূর্যমুখী
ফুলের চাষ করা হয়েছে। সূর্যমুখী
চাষ করে আর্থিকভাবে লাভবান ও সফল
হওয়ার স্বপ্ন দেখছেন চারঘাট
উপজেলার ৫০ জন কৃষক।
সূর্যমূখী ফুল থেকে যে তেল
উৎপন্ন হয় তা স্বাস্থ্যের জন্য খুবই
উপকারী। বিশেষ করে ডায়াবেটিস ও
হৃদরোগের জন্য এ তেল খুবই
উপকারী।

এছাড়া ফুলের গাছ শুকিয়ে
জ্বালানি হিসেবে ব্যবহার করা যায় এবং
যে খৈল পাওয়া যায় তা মাছ ও গবাদি পশুর
খাদ্য হিসেবে ব্যবহার করা যায়।
উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা
গেছে, এবছর চারঘাট পৌর এলাকা ও
ছয়টি ইউনিয়নের ৪০ বিঘা জমিতে ৫০
জন কৃষক পরীক্ষামূলকভাবে
হাইসান-৩৩ জাতের সূর্যমুখী ফুলের
চাষ করেছেন। ইতোমধ্যে গাছে
ফুল ধরেছে। প্রতিদিনই বিভিন্ন এলাকার
লোকজন ফুল দেখতে ভিড়
করছেন।

লালন মিয়ার সূর্যমুখী ক্ষেত
সরদহ ইউনিয়নের সূর্যমুখী ফুল চাষি
লালন মিয়া জানান, আগে তিনি বিভিন্ন
ধরনের সবজি চাষ করতেন। এবছর
উপজেলা কৃষি অফিসারের পরামর্শে
তিনি প্রথমবারের মতো হাইসান-৩৩
জাতের সূর্যমুখী ফুলের চাষ
করেছেন। ইতোমধ্যেই প্রতিটি
গাছে ফুল ধরেছে। সূর্যমুখী
চাষে এবার সফলতা ও লাভের আশা
করছেন তিনি।

থানাপাড়া গ্রামের কৃষক আকমল
হোসেন জানান, আগে তিনি তার
জমিতে আলু, ধনিয়া, টমেটো,
ঢেড়শ চাষ করতেন। কৃষি কর্মকর্তার
পরামর্শে এ বছরই সূর্যমুখী ফুলের
চাষ করেছেন। কৃষি বিভাগের পক্ষ
থেকে বিনামূল্যে বীজ ও সার
দিয়েছে। বাগানে ফুল আসার পর
প্রতিদিনই লোকজন আসছে বাগান
দেখতে। তিনিও আশা করছেন
সূর্যমুখী চাষ করে বাণিজ্যিকভাবে
লাভবান হওয়ার।

চারঘাট উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা লুৎফুন
নাহার জানান, কৃষি প্রণোদনার আওতায়
চলতি মৌসুমে ৫০ জন প্রান্তিক
কৃষকের মাঝে সূর্যমুখী ফুলের
বীজ বিতরণ করা হয়েছে। এছাড়া
অনাবাদি ও পতিত প্রায় ৪০ বিঘা জমিতে
পরীক্ষামূলকভাবে এ সূর্যমুখী
ফুলের চাষ করা হয়েছে। সূর্যমুখী
দেখতে সুন্দর হওয়ায় দর্শনার্থীরাও
বাগানে গিয়ে আনন্দ উপভোগ
করছেন।

সূর্যমুখী ফুলের চাষ বাড়লে বিদেশ
থেকে তেল আমদানি হ্রাস পাবে
জানিয়ে কৃষি কর্মকর্তা লুৎফুন নাহার
আরও বলেন, ‘এতে আমাদের
দেশের কৃষকরা অর্থনৈতিকভাবে
স্বাবলম্বী হবে।’ আগামীতে এর
চাষ আরও বাড়বে বলেও আশা জানান
তিনি।