সৈয়দপুরে পৈত্রিক সম্পত্তি বন্টন না করেই নকশা অনুমোদনহীন বহুতল ভবন নির্মাণের অভিযোগ

আপডেট: মে ৩, ২০২১
0

শাহজাহান আলী মনন, সৈয়দপুর (নীলফামারী) প্রতিনিধিঃ
নীলফামারীর সৈয়দপুরে পৈত্রিক সম্পত্তি বন্টন না করেই নকশা অনুমোদনহীনভাবে বহুতল ভবন নির্মাণের অভিযোগ করেছে বঞ্চিত এক ব্যাক্তি। এ অভিযোগে বিভিন্ন দপ্তরে লিখিত দিয়েও কোন সুরাহা না পেয়ে সুবিচার পেতে সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে উর্ধতন কর্তৃপক্ষ ও প্রশাসন সহ সচেতন মহলের সহযোগিতা চেয়েছেন ভুক্তভোগী।

০৩ মে রাতে শহরের একটি রেষ্টুরেন্টে উপস্থিত সংবাদকর্মীদের অভিযোগের বিষয়ে জানান পৌরসভার ৪ নং ওয়ার্ড কয়ানিজপাড়ার মৃত শামসুল হকের ছেলে মোঃ জামিল আহমেদ। তিনি বলেন, আমার বাবার রেখে যাওয়া বসতভিটার ৪.৪০ শতাংশ জমির পৈত্রিক সূত্রে আমরা ৫ ভাই ও ৩ বোন ওয়ারিশ।

ওই সম্পত্তি নিয়মানুযায়ী বন্টন করা হয়নি। শুধু ৪ বোন তাদের অংশের দাবী মৌখিকভাবে ছেড়ে দিয়ে ভাইদেরকে সম্মিলিতভাবে সম্পূর্ণ জমিতে ফ্লাট বাড়ি করার জন্য সম্মতি দিয়েছে। সে অনুযায়ী বাড়ি করার কথা ছিলো।

কিন্তু আমার বড় ভাই মৃত জাবেদ আক্তারের দুই ছেলে মোঃ নাছির আক্তার (২৮) ও মোঃ সোয়েব আক্তার (২৫) এবং মেঝ ভাই মোঃ সোহেল রানা (৪৫) অন্য ভাইদের বাদ দিয়ে এককভাবে রাস্তার সাথের সামনের অংশের বেশিরভাগ জায়গা নিয়ে বহুতল ভবন নির্মাণ করছেন। এটি নির্মাণের ক্ষেত্রে পৌরসভার নকশা অনুমোদনও হয়নি।

এব্যাপারে পৌর মেয়রের কাছে আবেদন করলে মেয়রের নির্দেশে ২৩ মার্চ ৪ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর জোবায়দুল ইসলাম মিন্টু সালিশী বৈঠকের মাধ্যমে নিষ্পত্তির চেষ্টা করেন। কিন্তু আমার ভাই ও ভাতিজারা সালিশী বৈঠক না মেনে লোকজন সংগ্রহ করে গায়ের জোরে ভবন নির্মাণ কাজ শুরু করে। আমি বাধা দিতে গেলে প্রাণ নাশের হুমকি দেয়। বাধ্য হয়ে গত ৪ এপ্রিল সৈয়দপুর সিনিয়র সহকারী জজ আদালত নীলফামারিতে ২০৪/২০২১ নং মোকদ্দমা এবং অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞার জন্য অপর একটি মামলা দায়ের করি।

এর প্রেক্ষিতে কারণ দর্শানোর নোটিশ জারি করেন আদালত। তারপরও আদালতের শোকজের বিরুদ্ধে গিয়ে তারা আবারও ভবন নির্মাণ কাজ চালিয়ে যাচ্ছে। একাজে তাদেরকে সহযোগিতা করছেন আমার এক ভগ্নিপতি শাহাবাত আলী শাব্বু। এই সহযোগিতার বিনিময়ে সে ভবন নির্মাণ শেষ হলে একটি ফ্ল্যাট পাবে মর্মে চুক্তি হয়েছে। আমি এর সুষ্ঠু বিচার চাই।

এব্যাপারে জামিল আহমেদ’র বড় ভাইয়ের ছেলে নাছির ও সোয়েবের সাথে কথা হলে তারা জানান, নকশার জন্য আবেদন করা হয়েছে। কিন্তু চাচা জামিল আহমেদ অভিযোগ করায় অনুমোদন দেয়নি। তবে পৌরসভার ইঞ্জিনিয়ার মনিরুল ইসলাম ও ওয়ার্ড কাউন্সিলর জোবায়দুল ইসলাম মিন্টুর মৌখিক নির্দেশে আমরা নির্মাণ কাজ করছি। লকডাউন শেষ হলে নকশার অনুমোদন পত্র পাওয়া যাবে।

আর জামিল আহমেদ’র অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যে এবং উদ্দেশ্য প্রণোদিত। তার সাথে হওয়া কথা অনুযায়ী তাকে তার অংশ দেয়া হয়েছে। একসাথে বাড়ি নির্মাণের কোন সিদ্ধান্ত হয়নি। আমরাসহ দুই চাচার প্রাপ্য জায়গাতেই বাড়ি করা হচ্ছে। এখানে কাউকেই বঞ্চিত করা হয়নি।