সৈয়দপুরে স্বাধীনতার ৫০ বছর পর শহীদ আমিনুল হক’র স্মৃতিফলক উন্মোচন

আপডেট: জুন ২৮, ২০২১
0

শাহজাহান আলী মনন, সৈয়দপুর (নীলফামারী) প্রতিনিধিঃ স্বাধীনতার ৫০ বছর পর
নীলফামারীর সৈয়দপুরে একজন শহীদের নামে স্মৃতিফলক উন্মোচন করা হয়েছে। পৌরসভা ভবনের প্রধান ফটকের বিপরীতে যেখানে তাঁকে শহীদ করা হয়েছিল সেই পাট গুদামের পাশেই এই নামফলক স্থাপন করা হয়েছে।

২৮ জুন সোমবার সকালে শহীদ আমিনুল হক গোলো’র জন্মদিনে উক্ত স্থানে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন নীলফামারী জেলার দায়িত্বপ্রাপ্ত মহিলা সংসদ সদস্য রাবেয়া আলিম।

বিশেষ অতিথি ছিলেন উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামীলীগ সভাপতি মোখছেদুল মোমিন, পৌর মেয়র রাফিকা আকতার জাহান বেবী।

অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন শহীদের সন্তান ও সৈয়দপুর উপজেলা আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক মোঃ মহসিনুল হক মহসিন, বীর মুক্তিযোদ্ধা আতাউর রহমান ময়না, পৌর আওয়ামী লীগ সভাপতি (ভারপ্রাপ্ত) মোঃ রফিকুল ইসলাম বাবু, শহীদ পরিবারের সন্তান প্রথম আলো প্রতিনিধি এম আর আলম ঝন্টু।

এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন মহিলা এমপি রাবেয়া আলিমের ছেলে প্রকৌশলী রাশেদুজ্জামান রাশেদ, শহীদ মাহাতাব বেগের সন্তান বীর মুক্তিযোদ্ধা মির্জা সালাউদ্দীন বেগ, প্রজন্ম’৭১ এর সহ-সভাপতি মজিবুল হক, পৌর প্যানেল মেয়র-১ শাহীন হোসেন, কাউন্সিলর জোবাইদুর রহমান শাহীন ও মুন্না সরকার প্রমুখ।

এতে সভাপতিত্ব করেন প্রজন্ম’৭১ এর সভাপতি এম মঞ্জুর হোসেন। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন শহীদ পরিবারের সদস্য ও সৈয়দপুর সিটি আন্দোলনের আহ্বায়ক তামিম রহমান।

উল্লেখ্য, শহীদ আমিনুল হক সৈয়দপুর আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠাতা সদস্য (কোষাধ্যক্ষ), ১৯৫৮ সালে ১০ এপ্রিল প্রতিষ্ঠিত সৈয়দপুর পৌরসভার প্রতিষ্ঠাতা সদস্য ও সৈয়দপুর শিল্প সাহিত্য সংসদের সদস্য ছিলেন। ১৯৭১ সালে পাক হানাদার বাহিনী সৈয়দপুর হাই স্কুল থেকে শহীদ আমিনুল হক কে সৈয়দপুর ক্যান্টনমেন্টে নিয়ে গিয়ে নির্যাতন করে।

পরে সৈয়দপুর বিমানবন্দরের কাজ করানোর চেষ্টা করে। কাজ না করায় চাবুক মেরে আহত করে। এতেও তিনি সম্মত না হওয়ায় সেখান থেকে পাকবাহিনীর দোসর এজাহার আহমেদের নির্দেশে তাঁকে শহরের দিনাজপুর সড়কে (বর্তমানে শহীদ তুলশীরাম সড়ক) মাড়োয়ারীর পাট গুদামে নিয়ে যাওয়া হয়।

ওই পাট গুদামে খুনি মহিউদ্দিন, সম্পদসহ আরো অনেক খুনিরা বঙ্গবন্ধুর আদর্শের সৈনিক শহীদ আমিনুল হককে হাত-পা বেঁধে প্রথমে চোখ তুলে ফেলে, কান কেটে, হাত-পা কেটে টুকরা টুকরা করে নির্মম নির্যাতন করে হত্যা করে এবং পাট গুদামে মাটি চাপা দেয়।

দীর্ঘ দিন থেকে অবহেলিত শহীদ আমিনুল হকের ত্যাগের স্মৃতি কে আগামী প্রজন্মের কাছে তুলে ধরতে পৌরসভা প্রতিষ্ঠাকালীন সদস্য হিসেবে পৌরসভা ভবনের প্রবেশ পথের সামনে এই স্মৃতিফলক নির্মাণের উদ্যোগ নেয়া হয়। গত ২৫ জুন পৌর মেয়র রাফিকা আকতার জাহান বেবী এর নির্মাণ কাজ উদ্বোধন করেন।