ভুরুঙ্গামারী(কুড়িগ্রাম)প্রতিনিধিঃ
ভুরুঙ্গামারীর সোনাহাট স্থলবন্দরে লোড-আনলোড শ্রমিক ইউনিয়নের মেয়াদ উত্তীর্ণ কমিটির সভাপতি হামিদুল ইসলাম ও সাধারণ সম্পাদক আব্দুল বাতেনের বিরুদ্ধে অর্থের বিনিময়ে ১১ শ শ্রমিক নিয়োগের প্রতিবাদ ও নির্বাচনের দাবীতে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ করেছে সাধারণ শ্রমিকরা।
বুধবার(০৮ সেপ্টেম্বর) দুপুরে সোনাহাট স্থলবন্দরের প্রশাসনিক ভবনের সামনে মানববন্ধন করে তারা। এতে প্রায় কয়কশ শ্রমিক অংশ নেয়।
মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন সাবেক সভাপতি আনোয়ার হোসেন, সাধারণ সম্পাদক মোজাম্মেল হক, শ্রমিক সদস্য আমিনুল ইসলাম, শ্রমিক সোহেল রানাসহ অনেকে।
শ্রমিকদের অভিযোগ পূর্বের ৭৩০ শ্রমিক বর্তমানে কর্মহীন। এরমধ্যে অর্থের লোভে আরও ১১ শ অশ্রমিক লোকদের শ্রমিকের তালিকায় অন্তর্ভূক্ত করার চেষ্টা করছে সভাপতি-সম্পাদক। তারা এ তালিকার প্রতিবাদ জানান এবং দ্রুত নির্বাচন দিয়ে নতুন কমিটি করার দাবী জানান।
শ্স্থলবন্দরে তিনটি শ্রমিক সংগঠনে প্রায় দুই হাজার শ্রমিক তালিকাভুক্ত রয়েছে। যারমধ্যে প্রতিদিন কাজ পায় ১২শ থেকে ১৫শ শ্রমিক। তাও দিনে দুই থেকে আড়াইশ টাকা রোজগার হয় তাদের। এরমধ্যে নতুন করে ১১শ শ্রমিক বাড়ানো সব শ্রমিকের কাজে ব্যাঘাত ঘটবে। শুধু পুনরায় ক্ষমতায় আসার জন্য এবং অর্থ আত্মসাতের জন্য তারা নতুন শ্রমিক তালিকাভুক্ত করছে। অভিযোগ করেন একজন শ্রমিকের কাছ থেকে তিন থেকে ছয় হাজার করে টাকা নেয়া হয়েছে তালিকায় নাম রাখার জন্য। এদের অনেকেই শ্রমিক নয়। তারা দূরদুরান্তের ব্যবসায়ী ও অন্য পেশায় জড়িত। ভোট বাড়ানোর জন্য এ নিয়োগ প্রক্রিয়া বন্ধের দাবী করেন।
তবে শ্রমিক নিয়োগে দুর্নীতি,যথা সময়ে নির্বাচন না দেয়া এবং শ্রমিকদের নিয়োগ ও অর্থ আত্মসাতের বিষয়ে জানতে চাইলে বর্তমান সংগঠনটির সভাপতি হামিদুল ইসলাম জানান,সংগঠনের প্রয়োজনে মাত্র ১০০ টাকা ভর্তি ফি নিয়ে ৯০০ শ্রমিক নেয়া হয়েছে, করোনার কারনে নির্বাচন বিলম্বিত হয়েছে এবং সংগঠনে এত শ্রমিকের মধ্যে ১০/২০ জন অশ্রমিক থাকা অস্বাভাবিক কিছু নয়।
####
