সৌদি আরবে সড়ক দুর্ঘটনায় নোয়াখালীর শহীদুল ও হেলাল নিহত: বাড়িতে শোকের মাতম

আপডেট: মার্চ ৩০, ২০২৩
0

আজাদ ভুঁইয়া, স্টাফ রিপোর্টার নোয়াখালী :

সৌদি আরবে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত নোয়াখালীর শহীদুল ও হেলালের বাড়িতে চলছে শোকের মাতম। নিহতরাই ছিলেন তাদের পরিবারের একমাত্র আয়ের উৎস। তাদের মর্মান্তিক ও অকাল মৃত্যুতে অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে পরিবার ও সন্তানদের ভবিষ্যৎ।

নিহতরা হলেন, জেলার চাটখিল উপজেলার নাহারখিল ইউনিয়নের ৫নম্বর ওয়ার্ডের পশ্চিম রামনারায়ণপুর গ্রামের ভূঁইয়াজি বাড়ির মৃত মো. হুমায়ুন কবিরের ছেলে মো. হেলাল উদ্দিন (৩৪) ও সেনবাগ উপজেলার মোহাম্মদপুর ইউনিয়নের ৬ নম্বর ওয়ার্ডের দক্ষিণ মোহাম্মদপুর মালেক মোল্লার বাড়ির শরিয়ত উল্লাহর ছেলে মো. শহীদুল ইসলাম ওরেফ শাহেদ (২৭) ।

জানা যায়, জীবিকার সন্ধ্যানে এক বছর পূর্বে
স্ত্রী-সন্তান পিতা-মাতা ও স্বজনদের মায়া ত্যাগ করে হেলাল উদ্দিন সৌদি আরবে পাড়ি জমান । সে সংসারের বড় ছেলে। এরপর তিনি একটি রোঁস্তেরায় চাকরি নেন। তার তিন বছর বয়সী একটি কন্যা সন্তান রয়েছে।

নিহত হেলালের ছোট ভাই মো.রিপন জানান, তার ভাই হেলাল সহ আরো ৪জন ওমরা করার জন্য এক সঙ্গে মক্কা নগরীর উদ্দেশে যাত্রা করেন। যাত্রা পথে সড়ক দুর্ঘটনায় ৩ জনই মারা যান। ভাই এর অকাল মৃত্যুতে পরিবারের সবাই শোকে বিহ্বল ও বাকরুদ্ধ হয়ে পড়েছে। নিহতের পরিবারে চলছে শোকের মাতম।

অপরদিকে,গত বছরের এপ্রিল মাসে পরিবারের বড় ছেলে শহীদুল ইসলাম ওরফে শাহেদ জীবিকার তাগিদে সৌদি আরব যান। সেখানে তিনি একটি দোকানে কর্মরত ছিলেন। গতকাল ওমরাহ পালনের উদেশ্যে কর্মস্থল থেকে রওনা হলে সড়ক দুর্ঘটনায় মারা যান তিনি।

মোহাম্মদপুর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান ফিরোজ আলম রিগান বিষয়টি নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন, নিহতের পরিবারে চলছে
শোকের মাতম। পরিবারের একমাত্র চালিকাশক্তিকে হারিয়ে, সবাই এখন দিশেহারা। তার মৃত্যুতে এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে।

উল্লেখ্য, মঙ্গলবার (২৭ মার্চ) সৌদি আরবে স্থানীয় সময় বিকেলে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ওমরাহযাত্রীদের বহনকারী একটি বাস ইয়েমেন সীমান্তবর্তী আসির প্রদেশের আকাবা শার এলাকায় দুর্ঘটনার কবলে পড়ে। দুর্ঘটনার কবলে পড়া বাসে ৪৭ জন যাত্রী ছিলেন। তাদের মধ্যে ৩৫ জন বাংলাদেশী। দুর্ঘটনায় ২২ জনের প্রাণহানি ঘটে। নিহতদের মধ্যে ৮জন বাংলাদেশী ছিল এবং তাদের মধ্যে নোয়াখালীর প্রবাসী শহীদুল ও হেলাল ছিলেন।