স্থানীয় সরকার বিভাগের শুদ্ধাচার পুরস্কার পেলেন তিন জন; বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তি স্বাক্ষর

আপডেট: জুন ২৭, ২০২১
0

ঢাকাঃ ২৭ই জুন, ২০২১ইং, রবিবার

স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের স্থানীয় সরকার বিভাগ ও আওতাধীন দপ্তর/সংস্থার তিনজন কর্মকর্তা-কর্মচারীকে জাতীয় শুদ্ধাচার পুরস্কার ২০২০-২১ দেওয়া হয়েছে।

একই অনুষ্ঠানে স্থানীয় সরকার বিভাগের আওতাধীন ২০টি দপ্তর/ সংস্থা/ সিটি কর্পোরেশনের সাথে ২০২১-২২ অর্থবছরের বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তি স্বাক্ষর এবং ২০১৯-২০ অর্থবছরের বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তি বাস্তবায়নে প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় অধীকারী প্রতিষ্ঠানকে প্রণোদনা প্রদান করা হয়।

আজ (২৬ শে জুন) রাজধানীর জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরে আয়োজিত বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তি ও বাস্তবায়নে প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্থান অধিকারী প্রতিষ্ঠানকে প্রনোদনা প্রদান অনুষ্ঠানে স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম পুরস্কার প্রাপ্তদের মধ্যে সনদ ও ক্রেস্ট তুলে দেন।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে স্থানীয় সরকার মন্ত্রী বলেন, শুধু মুখে মুখে স্বচ্ছতা, জবাবদিহিতা এবং দায়বদ্ধতার কথা বললে হবে না তা অন্তরে লালন ও পালন করতে হবে।

তিনি বলেন, সকল ব্যক্তি এবং প্রতিষ্ঠানকে শুধু ক্ষমতায়ন করলে হবে না। স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে হবে। সবার মধ্যে দায়বদ্ধতা তৈরি করতে হবে।

এপ্রসঙ্গে মন্ত্রী বলেন, দায়িত্ব গ্রহণের পর ৩২৯ টি পৌরসভার মধ্যে মাত্র ২৩টি পৌরসভা তাদের কর্মচারীদের বেতন-ভাতা পরিশোধ করতো। কিন্তু মেয়রদের জবাবদিহিতা ও দায়বদ্ধতার উপর গুরুত্বারোপ করায় এখন প্রায় সব পৌরসভায় বেতন-ভাতা পরিশোধ করছে।

মোঃ তাজুল ইসলাম বলেন, একা কখনও ভালো থাকা যায় না। ভালো থাকতে হলে সবাইকে সাথে নিয়েই ভালো থাকতে হবে। সবাইকে সাথে নিয়ে সমন্বয় করে কাজ করতে পারাটা এক ধরনের ম্যাজিক। আর এখানেই সাফল্য নিহিত রয়েছে। যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সবসময় অনুসরণ করেন।

স্থানীয় সরকার বিভাগের বিভিন্ন সাফল্যের কথা উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, মন্ত্রণালয়ের নেতৃত্বে এলজিইডি, ডিপিএইচই, সিটি কর্পোরেশন, ইউনিয়ন পরিষদ, উপজেলা পরিষদ, পৌরসভা, জেলা পরিষদসহ অন্যান্য প্রতিষ্ঠানসমূহ একযোগে একটি টিম স্পিরিট নিয়ে কাজ করছে বলেই সকল চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করে সামনে এগিয়ে যাওয়া সম্ভব হচ্ছে।

শুদ্ধাচার পুরস্কার প্রাপ্তদের অভিনন্দন জানিয়ে তিনি বলেন, নিজেদের উপর অর্পিত দায়িত্ব সততা ও নিষ্ঠার সাথে পালন করলে সাফল্য অর্জন সহজ। সেটা যেমন ব্যক্তি পর্যায়ে হয় তেমনি সমষ্টিগত ভাবেও ।

তথ্য প্রযুক্তি বর্তমান বিশ্বে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে তাই প্রজাতন্ত্রের সকল কর্মকর্তা-কর্মচারীদের প্রযুক্তি জ্ঞানে সমৃদ্ধ হওয়ার পরামর্শ দিয়ে মন্ত্রী নিজেদের মধ্যে সুপ্ত মেধাকে বিকশিত করে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্নের সোনার বাংলা বিনির্মাণে নিজ নিজ অবস্থান থেকে অবদান রাখার আহ্বান জানান।

শুদ্ধাচার পুরস্কার প্রাপ্তরা হলেন- মন্ত্রণালয়/বিভাগের আওতাধীন দপ্তর/সংস্থা প্রধান পর্যায়ে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের প্রধান প্রকৌশলী মো. আব্দুর রশীদ খান, ১ম-১০ম গ্রেড পর্যায়ে স্থানীয় সরকার বিভাগের উপ-সচিব এ কে এম মিজানুর রহমান এবং ১১তম-২০তম গ্রেড পর্যায়ে স্থানীয় সরকার বিভাগের পরিকল্পনা-২ শাখার কম্পিউটার অপারেটর ডি এল নাজমুল হাসান।

২০১৯-২০ অর্থবছরের বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তি বাস্তবায়নে প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্থান অধিকারী প্রতিষ্ঠানগুলো হচ্ছে যথাক্রমে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর, সিলেট সিটি কর্পোরেশন এবং ঢাকা ওয়াসা।

এর আগে, স্থানীয় সরকার বিভাগের আওতাধীন ২০টি দপ্তর/ সংস্থা/ সিটি কর্পোরেশনের সাথে ২০২১-২২ অর্থবছরের বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়।

পরে, স্থানীয় সরকার বিভাগের বার্ষিক প্রতিবেদন-২০১৯-২০২০ এর মোড়ক উন্মোচন এবং তথ্য-প্রযুক্তি ভিত্তিক মনিটরিং সিস্টেম-এমআইএস এর উদ্বোধন করেন স্থানীয় সরকার মন্ত্রী।

স্থানীয় সরকার বিভাগের সিনিয়র সচিব হেলালুদ্দীন আহমদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে স্থানীয় সরকার বিভাগের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ এবং সকল দপ্তর/ সংস্থা/ সিটি কর্পোরেশনের প্রধান/প্রতিনিধিগণ উপস্থিত ছিলেন।