স্বাধীনতার ঘোষক শহীদ জিয়ার খেতাব বাতিলের সিদ্ধান্ত সমপূর্ণ প্রতিহিংসা -মীর্জা ফখরুল

আপডেট: ফেব্রুয়ারি ১০, ২০২১
0

একাত্তরে মুক্তিযুদ্ধে জিয়াউর রহমানের স্মরণীয় ভুমিকার কথা তুলে ধরে বিএনপি মহাসচিব মীর্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন , ‘‘ জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিল খেতাবটি বাতিলের যে সিদ্ধান্ত নিয়েছে এটাকে আমি মনে করি সম্পূর্ণভাবে রাজনৈতিক প্রতিহিংসামূলক ।এই সিদ্ধান্তের মাধ্যমে মুক্তিযুদ্ধের প্রতি কলংঙ্ক লেপন করা হলো। আমি হীন সিদ্ধান্ত তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি।
।”
চিকিৎসার জন্য সিঙ্গাপুরের কোয়ারেন্টাইনে থাকা বিএনপি মহাসচিব টেলিফোনে গণমাধ্যমের সাংবাদিকদের কাছে মীর্জা ফখরুল এসব কথা বলেন।

মীর্জা ফখরুল বলেন, ‘‘ এই সিদ্ধান্ত যারা নিয়ে্ছে তাদেরকে আমি কখনোই মুক্তিযুদ্ধের প্রতি শ্রদ্ধাশীল মনে করি না। তারা স্বাধীনতার বিপক্ষে, মুক্তিযুদ্ধের বিরুদ্ধে এবং পুরোপুরিভাবে মুক্তিযোদ্ধাদের বিরুদ্ধে। ‘

মির্জা ফখরুল বলেন, ‘‘ এই খেতাবটা বাতিলে সিদ্ধান্ত জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিল নিয়েছে এবং তারা সরকারকে জানাবার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। একে আমি মনে করি, জনগনের গণতন্ত্রের প্রতি এবং এই সরকারের অপকর্ম এবং যে সমস্ত দুর্নীতির চিত্র গুলো বেরিয়ে আসছে বিভিন্নভাবে তার থেকে জনগনের দৃষ্টি দূরে সরিয়ে দেওয়ার জন্য্ই এটা করা হয়েছে।”

একাত্তরে মুক্তিযুদ্ধে জিয়াউর রহমানের স্মরণীয় ভুমিকার কথা তুলে ধরে তিনি বলেন, ‘‘স্বাধীনতার ঘোষক শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান বীরোত্তম তিনি শুধু স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়েই বসে ছিলেন না। তিনি দীর্ঘ ৯ মাস সেক্টার কমান্ডার হিসেবে দেশের ভেতর থেকে লড়াই করে্ছেন এবং বাংলাদেশের প্রতিটি মানুষ শুধু নয়, সারা পৃথিবীর মানুষ জানে যে, তার ঘোষণার মধ্য দিয়ে বাংলাদেশে স্বাধীনতার যুদ্ধ শুরু হয়েছিলো।”

‘‘ এই সম্পর্কে বাংলাদেশের মানু্যেদের শুধু নয়, বাইরের বহু লেখকের বহু লেখা আছে যার প্রমাণ রয়েছে। এই যে বীরোত্তম খেতাবটি তিনি পেয়েছিলেন সেই খেতাবটি পেয়েছিলেন কিন্তু স্বাধীনতার পরের যে সরকার শেখ মুজিবুর রহমানের যে সরকার, সেই সরকারই এই খেতাব তাকে দিয়েছিলো।