স্বাধীনতার ৫১ বছর পরও গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের জন্য লাশ হতে হয় : ইশরাক

আপডেট: মার্চ ২৭, ২০২৩
0

বিএনপির আন্তর্জাতিক বিষয়ক কমিটির সদস্য ইঞ্জিনিয়ার ইশরাক হোসেন বলেছেন, আমি একজন মুক্তিযোদ্ধার সন্তান। আজ যখন দেখি স্বাধীনতার ৫১ বছর পরও সত্য কথা বললে গ্রেফতার হতে হয়। যখন দেখি ভোটের অধিকারে রাজপথে নামলে গুলি করা হয়। গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের জন্য আন্দোলন করলে লাশ হতে হয়। তখন ভাবি আমার বাবা কি এই বাংলাদেশ দেখার জন্য মুক্তিযুদ্ধ করেছিলেন?

সোমবার দুপুরে রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনিস্টিউট মিলনায়তনে মহান স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে জাতীয়তাবাদী মুক্তিযোদ্ধা দল আয়োজিত এক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন। সভায় বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন।

ইশরাক বলেন, আওয়ামী লীগ মুক্তিযুদ্ধ এবং মুক্তিযোদ্ধাদের সাথে প্রতারণা করেছে। যে গণতন্ত্র ও বাকস্বাধীনতার জন্য দেশের ৩০ লাখ মানুষ শহীদ হয়েছে, দুই লাখ মা-বোন তাদের সম্ভ্রম হারিয়েছে, সে গণতন্ত্রকে এরা পদদলিত করেছে। ভোটাধিকার হরণ করে একদলীয় শাসন ব্যবস্থা কায়েম করেছে।

তিনি বলেন, শহীদের রক্ত কখনো বৃথা যায় না। রক্তের বিনিময়ে যেমন এদেশের স্বাধীনতা অর্জিত হয়েছে, প্রয়োজনে আরো রক্তের বিনিময়ে এদেশের গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার করব। তবুও এদেশে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও আদর্শ বাস্তবায়ন করব, ইনশা আল্লাহ।

জাতীয়তাবাদী মুক্তিযোদ্ধা দলের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা ইশতিয়াক আজিজ উলফাৎ- এর সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা সাদেক খানের সঞ্চালনায় আলোচনা সভায় উপস্থিত ছিলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. মঈন খান, ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুল্লাহ আল নোমান, মেজর অব. হাফিজ উদ্দিন আহমদ, ব্যারিস্টার শাহাজাহান ওমর, ঢাকা মহানগর উত্তরের আহবায়ক আমান উল্লাহ আমান, দক্ষিণের আহবায়ক বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুস সালাম, খুলনা বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক অনিন্দ্য ইসলাম অমিত, যুবদলের সভাপতি সুলতান সালাউদ্দিন টুকু, ঢাকা মহানগর উত্তরের সদস্য সচিব আমিনুল হক, দক্ষিণের সদস্য সচিব রফিকুল আলম মজনু, ঢাকা জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক নিপুণ রায়, ছাত্রদলের সভাপতি রওনাকুল ইসলাম শ্রাবণ, সাধারণ সম্পাদক সাইফ মাহমুদ জুয়েল প্রমুখ।