‘স্বাধীনতা সড়ক’ দুই দেশের সম্পর্কের সেতুবন্ধন হিসেবে কাজ করবে: এলজিআরডি মন্ত্রী

আপডেট: মার্চ ২০, ২০২১
0

মেহেরপুর: শনিবার, ২০শে মার্চ, ২০২১ইং

মেহেরপুরের মুজিবনগরে মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিবিজড়িত নির্মিত স্বাধীনতা সড়কটি বাংলাদেশ এবং ভারতের মধ্যে সম্পর্কের সেতুবন্ধন হিসেবে কাজ করবে বলে জানিয়েছেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী মোঃ তাজুল ইসলাম ।

সড়কটির নির্মাণ কাজ শেষ এবং উদ্বোধনের অপেক্ষায় রয়েছে বলেও জানান মন্ত্রী ।

তিনি আজ সকালে মেহেরপুরে মুজিবনগরে নির্মিত ‘স্বাধীনতা সড়ক’ পরিদর্শনে শেষে সাংবাদিকদের এ কথা জানান ।

জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন, স্থানীয় সরকার বিভাগের সিনিয়র সচিব হেলালুদ্দিন আহমদ এবং এলজিইডির প্রধান প্রকৌশলী মোঃ আব্দুর রশীদ খান মন্ত্রীর সফরসঙ্গী ছিলেন ।

মোঃ তাজুল ইসলাম জানান, জাতীয় চার নেতা, মুক্তিযোদ্ধা, বিশিষ্টজন এবং দেশী বিদেশী অসংখ্য সংবাদকর্মী ভারতের কলকাতা থেকে নদীয়া হয়ে এ সড়কে মেহেরপুরের মুজিবনগর আসেন । বৈদ্যনাথতলায় যা এখন মুজিবনগর হিসেবে পরিচিত এখানেই স্বাধীনতার ঘোষণাপত্র পাঠ করা হয় । শপথ নেন বাংলাদেশের প্রথম সরকারের মন্ত্রিসভার সদস্যবৃন্দ । বাংলাদেশের ইতিহাসে রাস্তাটির গুরুত্ব অপরিসীম । এই সড়কটি দুই দেশের মধ্যকার সেতুবন্ধন হিসেবে কাজ করবে বলে জানান মন্ত্রী ।

গত ১৪ই ফেব্রুয়ারি সড়কটি পরিদর্শন করে এর কার্যক্রম দ্রুত বাস্তবায়নের নির্দেশনা দেয়ার কথা উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, এরপর নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যেই সড়কটির কাজ শেষ করা হয়েছে । এজন্য স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর-এলজিইডিসহ একাজে সংশ্লিষ্টদের ধন্যবাদ জানান তিনি ।

মো. তাজুল ইসলাম জানান, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী এবং স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপন উপলক্ষে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বাংলাদেশ সফরে আসবেন । এসময় দুই দেশের প্রধানমন্ত্রী স্বাধীনতা সড়কটির উদ্বোধন করবেন ।

মহান স্বাধীনতা যুদ্ধের দুঃসময়ে ভারত বাংলাদেশকে বিভিন্নভাবে সাহায্য এবং সহযোগিতা করায় দেশটির প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে মন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ এখন একটি স্বাধীন-সার্বভৌম দেশ । জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর সুযোগ্য কন্যা ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশ দুর্বার গতিতে উন্নয়ন অগ্রযাত্রায় এগিয়ে যাচ্ছে ।

উল্লেখ্য, মুজিবনগরের স্মৃতি রক্ষার্থে, মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস ও ঐতিহ্যকে সমৃদ্ধ করতে মেহেরপুরের মুজিবনগরে ঐতিহাসিক স্বাধীনতা সড়কটি নির্মাণের সিদ্ধান্ত নেয় সরকার ।