স্বৈরাচারী শাসন ব্যবস্থার বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ লড়াই করতে হবে- মান্না

আপডেট: এপ্রিল ১০, ২০২১
0

মাহমুদুর রহমান মান্না বলেছেন, ;গত ৫০ বছরে স্বাধীনতার ঘোষণাপত্রের মহান ভাবাদর্শকে ধূলিস্যাৎ করে দেয়া হয়েছে, মুক্তিযুদ্ধের সকল স্বপ্নকে গুড়িয়ে দিয়েছে। স্বৈরাচারী শাসন ব্যবস্থার বিরুদ্ধে কল্যাণরাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার জন্য ঐক্যবদ্ধ লড়াই করতে হবে। ‘

শনিবার জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জেএসডি) আয়োজিত ‘স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী : ঐতিহাসিক প্রবাসী সরকারের’ ভূমিকা ও প্রস্তাবিত ‘প্রজাতন্ত্র দিবস’ শীর্ষক ভার্চ্যুয়াল আলোচনাসভায় তিনি এসব কথা বলেন।

অনুষ্ঠানে সভাপতির জেএসডি সভাপতি আ স ম আবদুর রব বলেন, সাম্য, মানবিক মর্যাদা ও সামাজিক সুবিচারভিত্তিক রাষ্ট্রীয় রাজনীতির আমূল সংস্কার করে অংশীদারিত্বভিত্তিক শাসন ব্যবস্থা প্রবর্তন করতে হবে। এ লক্ষ্যে স্বাধীনতার ঘোষণাপত্রই ভবিষ্যৎ বাংলাদেশ বিনির্মাণের সুনির্দিষ্ট দার্শনিক ভিত্তি।

তিনি বলেন, ২৫ মার্চ বঙ্গবন্ধুকে গ্রেফতার এবং গণহত্যা শুরুর মধ্য দিয়ে নিয়মতান্ত্রিক আন্দোলনের কবর রচিত হয়। বঙ্গবন্ধুর অনুপস্থিতিতে দীর্ঘ ৯ মাস সশস্ত্র মুক্তিযুদ্ধ তাজউদ্দীন আহমদের নেতৃত্বে সম্পন্ন হয়। স্বাধীনতা অর্জনের সর্বোচ্চ স্তর হচ্ছে মুক্তিযুদ্ধ। মুক্তিযুদ্ধে সুযোগ্য নেতৃত্ব না থাকলে আমাদের স্বাধীনতা অর্জন চরম ঝুঁকিতে পড়তো। এসব গভীর সত্য উপলব্ধি করতে ব্যর্থ হলে জাতির ঐতিহাসিক গুরুত্বপূর্ণ ঘটনাবলীর মূল্যায়ন করা সম্ভব হবে না।

স্বাধীনতা ও জাতীয় মুক্তিসংগ্রামে যাদের অসামান্য অবদান রয়েছে তাদেরকে সরকার সামান্য মর্যাদা দিতেও কুণ্ঠাবোধ করে। বর্তমান সরকার অতিরিক্ত পরশ্রীকাতরতা সম্পন্ন।

আলোচনা সভায় আ স ম রব পাঁচ দফা উত্থাপন করেন।

দফাগুলো হলো- (১) মুক্তিযুদ্ধের উজ্জ্বল কীর্তির স্মারক হিসেবে ১০ এপ্রিল বা ১৭ এপ্রিলকে ‘প্রজাতন্ত্র দিবস’ ঘোষণা করতে হবে; (২) ঢাকায় প্রজাতন্ত্রের প্রতীক হিসেবে ‘প্রজাতন্ত্র স্তম্ভ’ স্থাপন করতে হবে; (৩) সাম্য, মানবিক মর্যাদা ও সামাজিক সুবিচার- এ দর্শনের ভিত্তিতে রাষ্ট্র পরিচালনায় ‘অংশীদারিত্বভিত্তিক’ শাসন ব্যবস্থা প্রবর্তন করতে হবে; (৪) সকল রাষ্ট্রীয় অনুষ্ঠানে এবং পাঠ্যপুস্তকে প্রবাসী সরকার, মুজিব বাহিনীসহ অন্যদের ভূমিকা অন্তর্ভুক্ত করতে হবে এবং (৫) মুক্তিযুদ্ধে যার যা অবদান তার স্বীকৃতি দিতে হবে।

আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না, ডাকসুর সাবেক ভিপি নুরুল হক নুর, অ্যাডভোকেট ছানোয়ার হোসেন তালুকদার, সা কা ম আনিছুর রহমান খান, সিরাজ মিয়া, তানিয়া রব এবং প্রস্তাবনা উত্থাপন করেন শহীদ উদ্দিন মাহমুদ স্বপন। আলোচনা সভায় শহীদ উদ্দিন মাহমুদ স্বপন জেএসডি পক্ষ থেকে প্রস্তাবনা উত্থাপন করেন।

আলোচনা সভায় ডাকসুর সাবেক ভিপি নুরুল হক নুর বলেন, দেশ চরম সংকটে। সরকার অবৈধ ক্ষমতাকে বৈধতা দেওয়ার জন্য, মুক্তিযুদ্ধের কিংবদন্তীদের উপেক্ষা করে তথাকথিত সুবর্ণজয়ন্তী আয়োজন করেছে। বর্তমান সরকারের বিরুদ্ধে বৃহত্তর গণআন্দোলন গড়ে তুলতে হবে।

আলোচনা সভায় জাসদ কেন্দ্রীয় কমিটির অনেক নেতৃবৃন্দ ভার্চুয়াল মাধ্যমে সংযুক্ত ছিলেন।