হামলার শিকার সংখ্যালঘু পরিবারগুলোকে ক্ষতিপূরণ দেয়ার দাবী মহিলা পরিষদের

আপডেট: অক্টোবর ২২, ২০২১
0

শারদীয় দূর্গাপূজায় বিভিন্ন মন্দিরে হামলা, প্রতিমা ভাঙ্গচুর ও নির্যাতনের ঘটনা ঘটে। এর প্রেক্ষিতে গত
১৯ অক্টোবর ২০২১ বাংলাদেশ মহিলা পরিষদ কেন্দ্রীয় কমিটির নেতৃবৃন্দ এবং সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের নেতৃবৃন্দ গত ১৫ অক্টোবর ২০২১ শারদীয় দুর্গোৎসবের বিজয়া দশমীর দিন নোয়াখালীর চৌমুহনীতে সাম্প্রদায়িক হামলায় ক্ষতিগ্রস্ত রাম ঠাকুর এর আশ্রম, রাধামাধব মন্দির, ইসকন মন্দির, লোকনাথ মন্দির এবং ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা সরেজমিন পর্যবেক্ষণ করেন। হামলার শিকার ক্ষতিগ্রস্তদের সাথে কথা বলেন।

বিকাল ৪টায় সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোট, চৌমুহনী এর সভাপতি বিমলেন্দু মজুমদারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সম্প্রীতি সমাবেশে সাংস্কৃতিক জোটের নেতৃবৃন্দ এবং সংগঠনের সভাপতি ডা. ফওজিয়া মোসলেম, সাধারণ সম্পাদক মালেকা বানু বক্তব্য রাখেন।

সভায় বক্তারা ঘটনার সাথে জড়িতদের শাস্তি দাবি করেন এবং এই ঘটনার পুনরাবৃত্তি রোধে সংশ্লিষ্ট সরকারী কর্মকর্তা ও জনপ্রতিনিধিদের জবাবদিহিতার আওতায় আনার দাবী জানানো হয় এবং অসাম্প্রদায়িক চেতনা সমুন্নত রাখতে সামাজিক প্রতিরোধ গড়ে তোলার আহ্বান জানান।
বাংলাদেশ মহিলা পরিষদের প্রতিনিধি দলে ছিলেন সভাপতি ডা. ফওজিয়া মোসলেম এবং সাধারণ সম্পাদক মালেকা বানু, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সীমা মোসলেম, অর্থ সম্পাদক দিল আফরোজ বেগম, পরিচালক লিগ্যাল অ্যাডভোকেসি অ্যাড. মাকছুদা আক্তার এবং আইটি অফিসার দোলন শীল।

২২ অক্টোবর ২০২১ রংপুরের পীরগঞ্জ উপজেলার, কসবা করিমপুর জেলে পাড়ায় সাম্প্রদায়িক সহিংসতার ঘটনা ঘটে। ১৭/১০/২০২১ রাত ৮.০০ ঘটিকার দিকে ৮ থেকে ১০ জন তরুণ ঐ গ্রামে তান্ডব চালিয়ে অগ্নিসংযোগ, লুটতারাজ ও বাড়িঘর ভাঙাচুর করে এই নরককান্ড ঘটায়। কেরোসিন ও পেট্রোল এর ব্যবহারের ফলে দ্রুত গতিতে আগুন ছড়িয়ে পরে সব কিছু পুড়ে যায়। এই ঘটনায় ১৫/১৬ টি পরিবার বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়।

১৮/১০/২০২১ বাংলাদেশ মহিলা পরিষদ কেন্দ্র ও রংপুর জেলা শাখার পক্ষ থেকে রুমানা জামান ত্রপা- সাধারণ সম্পাদক; রংপুর জেলা শাখা, মাহমুদা চৌধুরী- সহ সাধারণ সম্পাদক; ফারজানা সরকার রিক্তা- লিগ্যাল এইড সম্পাদক ও শাহিনা আক্তার স্বপ্না-প্রোগ্রাম এক্সিকিউটিভ ঘটনাস্থল পরিদর্শনে যান এবং প্রতিটি বাড়ি ঘুরে ঘুরে দেখেন। চরম ক্ষতিগ্রস্তদের মাঝে আর্থিক সহায়তা প্রদান করা হয়। এছাড়াও অসুস্থ ১ জনকে হাসপাতালে পাঠানোর ব্যবস্থা করা হয় এবং সুচিকিৎসার ব্যবস্থা নিশ্চিত করা হয়। পুলিশ প্রশাসনের সাথে কথা বলে ঐসব পরিবারের নারী ও কন্যাশিশুর নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য অনুরোধ জানানো হয়।