‘হাসপাতাল থেকে বাসায় ফিরলেও খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থার পরিবর্তন হয়নি ‘

আপডেট: জুলাই ২, ২০২১
0

খালেদা জিয়ার চিকিৎসক ও বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ডা. জাহিদ হোসেন গণমাধ্যমকে বলেন, ম্যাডামের অবস্থা আগের মতোই আছে। অর্থাৎ তিনি হাসপাতালে থেকে যেমন এসেছেন, তেমই আছেন। কোনো পরিবর্তন নেই।এক প্রশ্নের জবাবে ডা. জাহিদ বলেন, আমরা প্রতিদিনই ম্যাডামকে দেখতে তার বাসায় যাই। তাকে বাসায় রেখে যেসব পরীক্ষা-নিরীক্ষা করানো যায়, তার সবগুলোই করানো হচ্ছে।

গুলশানের বাসায় বিএনপির কোনো নেতাকর্মী যেতে পারেন না। তারা নেত্রীর স্বাস্থ্যের অবস্থা নিয়ে শঙ্কিত।
এর মধ্যে গত দুদিন ধরে আবারও আলোচনায় খালেদা জিয়াকে বিদেশ নিয়ে গিয়ে চিকিৎসা দেওয়ার প্রসঙ্গ। এ বিষয়ে আইনমন্ত্রী সংসদে বক্তব্য দিয়েছেন।এই বক্তব্যের প্রতিক্রিয়াও জানিয়েছেন বিএনপি নেতারা। সেই সঙ্গে নেত্রীকে বিদেশ নিয়ে যাওয়ার দাবি করেছেন। এমতাবস্থায় খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা নিয়ে শঙ্কা তৈরি হয়েছে নেতাকর্মীদের মধ্যে।

তার চিকিৎসকরা বলছেন, খালেদা জিয়া হাসপাতাল থেকে বাসায় ফেরার সময় যেমন ছিলেন এখনও তেমনই আছেন। অর্থাৎ তার শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল। আগের তুলনায় তার অবস্থার উন্নতি বা অবনতি কোনোটাই হয়নি। বর্তমানে তার ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে থাকলেও হার্ট, কিডনি ও লিভারের সমস্যা আগের মতোই আছে।

শুক্রবার খালেদা জিয়ার চিকিৎসকদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, গুলশানে খালেদা জিয়ার বাসভবন ফিরোজায় চিকিৎসার সামগ্রী রাখা আছে। সেখানে অক্সিজেন সাপোর্টসহ মোটামুটি প্রাথমিকভাবে সব ধরনের চিকিৎসার ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। কারণ, প্রায় প্রতিদিনই তার কোনো না কোনো পরীক্ষা-নিরীক্ষা করানো হচ্ছে। যাতে তার সর্বশেষ শারীরিক অবস্থা কী তার সঠিক তথ্য পাওয়া যায়।

খালেদা জিয়ার বোন সেলিমা ইসলাম বলেন, চিকিৎসকদের নিষেধ থাকার কারণে আমরা কেউ তাকে (খালেদা জিয়াকে) দেখতে যাইনি। যতটুকু জানি, বাসায় তার চিকিৎসা চলছে। ডাক্তাররা নিয়মিত তাকে দেখতে যান।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বিএনপির চেয়ারপারসনের একটি সূত্র জানান, চিকিৎসকদের বাইরে খালেদা জিয়াকে দেখতে তার বাসভবন ফিরোজায় মাঝেমধ্যে যান ভাই শামীম ইস্কান্দারের স্ত্রী।

বিএনপির নেতারা বলছেন, সার্বিকভাবে খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা ভালো না। তার পুরাতন রোগ ডায়াবেটিস, আর্থরাইটিস সঙ্গে করোনা আক্রান্ত হওয়ার পর এখন তার হার্ট, কিডনি ও লিভারের অবস্থা ভালো নয়। যেকোনো সময় যেকোনো কিছুই ঘটে যাওয়ার মতো শঙ্কা রয়েছে। তবে, বর্তমানে তার অবস্থা আগের থেকে ভালো। মোটামুটি খাওয়া-দাওয়া করতে পারছেন।