হেফাজতে ইসলামের নেতাদের ওপর জঘন্য অত্যাচার – সংকট সৃষ্টি করে সরকার ফায়দা নিচ্ছে: ফখরুল

আপডেট: এপ্রিল ২৬, ২০২১
0

হেফাজতে ইসলামে ‘সংকট’ সৃষ্টি করে সরকার ফায়দা নিচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

সোমবার এক ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে হেফাজতে ইসলামের কমিটি ভেঙে দেওয়ার বিষয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ মন্তব্য করেন।

তিনি বলেন,‘হেফাজতের বিষয়টা হেফাজতকে জিজ্ঞাসা করলেই ভালো হবে। ওদের ইন্টারনাল ব্যাপার-কমিটি ভেঙে দেওয়া, কমিটি তৈরি করা-এগুলো তারাই উত্তর দিতে পারবে। রাজনৈতিক দল হিসেবে আমরা পুরো বিষয়টাকে মনে করি, আজকে এটা সরকারের সৃষ্টি করা। পুরো ক্রাইসিসটা তৈরি করেছে সরকার, এই ক্রাইসিসটা তৈরি করে তারা ফায়দা নিচ্ছে।

যার ফলে লকডাউন যেটা করেছে ইটস এ ক্র্যাকডাউন অন দি অপজিশন। আমাদের নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে অসংখ্য মামলা দিয়েছে। যেখানে বিএনপি কোনো মতেই এই ঘটনাগুলোর সঙ্গে জড়িত নয়।

স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তি উদযাপনে ২৬ মার্চের ঢাকার বায়তুল মোকাররমের জাতীয় মসজিদের সামনেসহ ব্রাক্ষনবাড়ীয়া ও চট্টগ্রামে সংঘটিত ঘটনার প্রসঙ্গ টেনে মির্জা ফখরুল বলেন, আমরা মানুষ হত্যার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করেছি, এটা আমাদের ফান্ডামেন্টাল রাইটস। আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুর কাদের, তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদ অবলীলায় তারা কল্পকাহিনী প্রচার করছে, মিথ্যাচার করছে। বিএনপি গণতান্ত্রিক দল। সাধারণভাবে নির্বাচনের মাধ্যমে ক্ষমতায় যাওয়ার দল, অতীতে বহুবার আমরা গেছিও। সেইভাবে শান্তিপূর্ণ ভাবে কাজ করি। এই ধরনের ঘটনার সঙ্গে আমাদেরকে জড়ানোর চেষ্টা করা, আমাদের শীর্ষ নেতাদেরকে যুক্ত করা কোনোভাবে গ্রহণযোগ্য নয়।

তিনি বলেন, আমাদের অভিজ্ঞতায় বলে, গ্রেফতারকৃত হেফাজত নেতৃবৃন্দেকে রিমান্ডে নিয়ে নির্যাতন করে তাদের থেকে তথা কথিত মিথ্যা স্বীকারোক্তির বরাত দিয়ে জঘণ্য মিথ্যাচার চালানো হচ্ছে। এটা আমরা ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সাহেবের মামলার বেলায়ও দেখেছি- কোথাও এফআইআরে নাম নেই। তিনটা তদন্ত হয়েছে কোথাও তাকে সম্পৃক্ত করা হয় নাই। আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পরে একজনকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে, নতুন করে আইও নিয়োগ করে আসামিকে রিমান্ডে নিয়ে গিয়ে ১২৩ দিন অত্যাচার করে তারপরে আমাদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানকে জড়িত করেছে। এটা আরেকটা কৌশল। বিরোধী দল বিশেষ করে বিএনপিকে নিশ্চিহ্ন করা। কারণ বিএনপি হচ্ছে, তাদের কাছে একমাত্র প্রতিপক্ষ, যে প্রতিপক্ষ জনগনকে সংগঠিত করে ক্ষমতায় আসতে পারে নির্বাচনের মাধ্যমে। আজকে সেই কারণে তারা বিএনপিকে নির্মুল করতে প্রচেষ্টা চালাচ্ছে।’

চলমান দরিদ্র নিম্ন আয়ের মানুষজনকে সরকার কোনো সহযোগিতা করেনি বলে অভিযোগ করেন বিএনপি মহাসচিব। অবিলম্বে তাদের আর্থিক প্রণোদনা দিতে সরকারের কাছে আহ্বান জানান তিনি।

খুলনা প্রেস ক্লাবের সহ-সভাপতি সাংবাদিক আবু তৈয়ব মুন্সির বিরুদ্ধে ডিজিটাল সিকিউরিটি অ্যাক্টে খুলনার মেয়রের দায়ের করা মামলায় গ্রেফতারের ঘটনার নিন্দা জানিয়ে এই আইনে গ্রেফতারকৃতদের মুক্তির দাবি জানান বিএনপি মহাসচিব। পাশাপাশি বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য এবং নারী ও শিশু অধিকার ফোরামের সদস্য সচিব অ্যাডভোকেট নিপুন রায় চৌধুরীর মুক্তি দাবি করা হয়।