১০ বছরে শেষ হয়নি সাগর -রুনী হত্যাকান্ডের সেই ৪৮ ঘন্টা !

আপডেট: ফেব্রুয়ারি ১১, ২০২১
0

৪৮ ঘন্টার মধ্যে তদন্ত করে খুনিদের বের করার কথা তৎকালীন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রণালয়ের। কিন্তু সেই সরকার একই রয়েছে, মন্ত্রণালয় একই নিয়মে চলছে। কিন্তু বেডরুমে ঢুকে সাংবাদিক দম্পতি সাগর-রুনীকে কারা হত্যা করেছে তা খুঁজে বের করতে পারেনি পুলিশ।

ঘটনার পর থেকে ১২০ মাসে প্রতিবেদনের সময় পিছিয়েছে ৭৮ বার। এ হত্যাকাণ্ডের তদন্তভার এখন র‍্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র‍্যাব) কাছে।

র‌্যাব কর্মকর্তা মো. জাফর উল্লাহ জাতিসংঘের শান্তিরক্ষা মিশনে যাওয়ায় ২০১৪ সালের ১২ মার্চ এ মামলার তদন্তভার পান র‌্যাব সদর দপ্তরের সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার মো. ওয়ারেছ আলী মিয়া। মামলার একমাত্র প্রত্যক্ষদর্শী সাগর-রুনির ছেলে মাহির সরোয়ার মেঘকে জিজ্ঞাসাবাদ করে তার জবানবন্দি রেকর্ড করেন তিনি।

প্রতি বছরের ন্যায় এ বছরে সাংবাদিক বিভিন্ন সংগঠনগুলো পৃথক পৃথক প্রতিবাদ সমাবেশ করেছে।

গতকাল বুধবার জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়ন-বিএফইউজে ও ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়ন-ডিইউজে’র যৌথ উদ্যোগে প্রায় দুই ঘণ্টাব্যাপী সাংবাদিকদের এক বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে। তারা বলেছেন,তারা বলেন, কোন মাফিয়া খুনিদের আশ্রয় প্রশ্রয় দিচ্ছে কিনা বা খুনিরা কাদের ‘মেন’ সাংবাদিক সমাজ তা জানতে চায়। অবিলম্বে সাগর-রুনির হত্যাকারীদের গ্রেফতার করে বিচারের মুখোমুখি দাঁড় করানোর দাবি জানান নেতারা।

এদিকে আজ ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি দুপুরে প্রতিবাদ সমাবেশের উদে্যাগ নিয়েছে।

২০১২ সালের ১১ ফেব্রুয়ারি রাজধানীর পশ্চিম রাজাবাজারের ভাড়া বাসায় নির্মমভাবে খুন হন মাছরাঙা টেলিভিশনের বার্তা সম্পাদক সাগর সরওয়ার ও এটিএন বাংলার জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক মেহেরুন রুনি। পরের দিন ভোরে তাঁদের ক্ষতবিক্ষত লাশ উদ্ধার করা হয়।

এ ঘটনায় রুনির ভাই বাদী হয়ে আদালতে একটি মামলা করেন। মামলার পর রুনির কথিত বন্ধু তানভীর রহমানসহ মোট আটজনকে আটক করা হয়। বাকিরা হলেন—রফিকুল ইসলাম, বকুল মিয়া, মিন্টু ওরফে বারগিরা মিন্টু ওরফে মাসুম মিন্টু, কামরুল হাসান অরুণ, পলাশ রুদ্র পাল, তানভীর, আবু সাঈদ ও বাড়ির িনরাপত্তারক্ষী এনাম আহমেদ ওরফে হুমায়ুন কবির। এর মধ্যে পলাশ রুদ্র পাল ও তানভীর রহমান জামিনে রয়েছেন।

সাগর-রুনি হত্যার পর ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে সে সময়কার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী প্রয়াত সাহারা খাতুন বলেছিলেন, ‘৪৮ ঘণ্টার মধ্যে হত্যাকারীদের আইনের আওতায় আনা হবে।’ তদেন্ত ‘প্রণিধানযোগ্য অগ্রগতি’ আছে বলে তৎকালিন পুলিশপ্রধান মন্তব্য করেছিলেন।