বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবীর রিজভী বলেছেন , ”দুই বছর দেশকে ছিন্নভিন্ন করে ১/১১ এর বেআইনী সরকার পরিকল্পিতভাবে রাষ্ট্রের গণতান্ত্রিক কাঠামোকে ভেঙ্গে দিয়ে একটি পাতানো ভূয়া নির্বাচনের মাধ্যমে তাদেরই বশংবদ আরেক দুর্বৃত্ত লুটেরা গোষ্ঠী-আওয়ামী লীগকে ক্ষমতায় বসিয়ে দিয়ে গেছে।
‘ওয়ান ইলেভেন’ ষড়যন্ত্রের সরাসরি বেনিফিশিয়ারি বর্তমানের নিশিরাতের সরকারের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
আজ নয়াপল্টনে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
শেখ হাসিনা স্পষ্ট করেই বলেছেন, কথিত ‘ওয়ান ইলেভেন’ তাদের আন্দোলনের ফসল। তবে সময়ের পরিক্রমায় জনগণের কাছে আজ এটি স্পষ্ট যে, কথিত ‘ওয়ান ইলেভেন’ ছিল মূলতঃ বাংলাদেশকে তাবেদার রাষ্ট্রে পরিণত করার একটি সুগভীর চক্রান্ত। আর এই চক্রান্তে সরাসরি নেতৃত্ব দিয়েছেন ওয়ান ইলেভেনের প্রধান বেনিফিশিয়ারি শেখ হাসিনা।
আমরা সবাই জানি যে, তারই ধারাবাহিকতায় ২০১৪ সালে সম্পূর্ণভাবে দলবিহীন, ভোটারবিহীন বিনা ভোটের নির্বাচনের মধ্য দিয়ে আওয়ামী লীগ ক্ষমতা দখলে রাখে। অতঃপর ২০১৮ সালে বিশ্বে ভোট ডাকাতির অভিনব ইতিহাস রচনা করে এই অপশক্তিটি।
রাতের অন্ধকারে ভোটের বাক্স ভরে ‘নিশিরাতের ভোট ডাকাত’ হিসাবে সারা পৃথিবীতে নিজেদের কলংকিত পরিচিতি তৈরী করেছে।
গত এক যুগের বেশী সময় ধরে এই আওয়ামী দস্যুরা ওয়ান-ইলেভেনের ধারাবাহিকতা বজায় রেখে এদেশের মানুষের কাঙ্খিত গণতন্ত্রকে হত্যা করে একদলীয় ফ্যাসীবাদী শাসন জনগণের ওপর চাপিয়ে দিয়েছে।
অত্যন্ত সুপরিকল্পিতভাবে দেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্বকে বিপন্ন করেছে। গণতন্ত্র ও গণতান্ত্রিক সকল প্রতিষ্ঠান ধ্বংস করেছে। বিনা নির্বাচনে পার্লামেন্ট, বিচার বিভাগ ও প্রশাসনকে দলীয়করণ করেছে। মানবাধিকার, আইনের শাসন, ন্যায়বিচার ভূলুণ্ঠিত করেছে। দেশকে গুম, খুন, অপহরণ, বন্দুকযুদ্ধ,অবিচার, অনাচার, লুটপাট, টাকাপাচার, দুর্নীতি ও সন্ত্রাসের অন্ধকার রাজত্বে ডুবিয়ে রেখেছে।