২১ আইনজীবীর ভাষা ছিল অশ্লীল : ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ঘটনায় হাইকোর্ট

আপডেট: জানুয়ারি ২৩, ২০২৩
0

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার জেলা ও দায়রা জজের বিরুদ্ধে অশ্লীল ও কুরুচিপূর্ণ স্লোগান দেয়ার ঘটনায় সব আইনজীবীদের লজ্জিত হওয়া উচিৎ বলে মন্তব্য করেছেন হাইকোর্ট।

আদালত বলেছেন, তাদের ভাষা ছিল অশ্লীল। শ্রমিকদের চেয়েও খারাপ।

তলবের পরিপ্রেক্ষিতে সোমবার (২৩ জানুয়ারি) ব্রাহ্মণবাড়িয়ার জেলা আইনজীবী সমিতির ২১ আইনজীবী সশরীরে হাজির হলে শুনানিতে বিচারপতি জে বি এম হাসান ও বিচারপতি রাজিক আল জলিলের বেঞ্চ এমন মন্তব্য করেন।

হাইকোর্ট বলেন, ‘মেট্রিক পাস লোকও এরকম কথাবার্তা বলে না। এটা কোনো আন্দোলনের ভাষা? এটা আদালত অবমাননার চেয়েও খারাপ অপরাধ। আদালতের মেসেজ হচ্ছে, আমরা এসব আইনজীবীর লাইসেন্স আজীবনের জন্য ক্যান্সেল করতে পারি। আপনারা যেতে চাইলে আমরা অনেক দূর যেতে পারি, নামতে চাইলে অনেক দূর নামতে পারি। এটা ৬৪ জেলার বিষয়। আমরা বিব্রত। আপনারা সবাই বিজ্ঞ আইনজীবী, বিজ্ঞদের সাথে যায় এসব?’

আইনজীবীরা সময় চাইলে আদালত ২১ আইনজীবীকে আদালত অবমাননার বিষয়ে ব্যাখ্যা দিতে আগামী ১৯ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত সময় দেন।

এর আগে গত ১০ জানুয়ারি এজলাস চলাকালীন জেলা জজের নামে অশ্লীল ও কুরুচিপূর্ণ স্লোগান দিয়ে বিচার ব্যবস্থাকে প্রশ্নবিদ্ধ করাসহ মানহানির অভিযোগের বিষয়ে ব্যাখ্যা দিতে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার জেলা আইনজীবী সমিতির ওই ২১ আইনজীবীকে তলব করেন হাইকোর্ট।

ওই তলবের পরিপ্রেক্ষিতে তারা সোমবার আদালতে হাজির হন।

আইনজীবীদের পক্ষে শুনানি করেন সুপ্রিম কোর্ট বারের সভাপতি মোমতাজ উদ্দিন ফকির, সম্পাদক আব্দুন নূর দুলাল, ব্যারিস্টার সাঈদ আহমেদ রাজা।

এর আগে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ওই ঘটনায় বিচারক ও আদালতের কর্মচারীদের প্রতি ‘অশালীন আচরণের’ অভিযোগের জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি, সম্পাদক (প্রশাসন)সহ তিন আইনজীবীকে ১৭ জানুয়ারি তলব করেন হাইকোর্ট।