`৭২ ঘন্টা পর ধর্ষণ মামলা না নেওয়ার জন্য বিচারিক আদালত পরামর্শ দেয়ায় দু:খ পেলাম ‘

আপডেট: নভেম্বর ১৩, ২০২১
0

সম্প্রতি রেইন্ট্রি হোটেলে ধর্ষণ মামলায় আসামীরা খালাস পাওয়ায় সাক্ষ্য প্রমান আইনের বিতর্কিত ধারা বাতিলসহ বিচারিক আদালতের বক্তব্য ন্যায়বিচারে প্রতিবন্ধকতা সৃস্টি করবে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি’র স্থায়ী কমিটির সদস্য সেলিমা রহমান।

জনপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল দেশ জনতা ডটকমকে দেয়া একান্ত সাক্ষাতকারে তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, এই সরকারের আমলে নারীরা নির্যাতিত ও মানুষের ভোটের অধিকার নাই। তার ওপর যদি বিচারিক আদালত ৭২ ঘন্টা অতিক্রান্ত হলে ধর্ষণের মামলা না নেওয়ার জন্য পুলিশ সুপার কে পরামর্শ দেয়ায় খুব দু:খ পেলাম। একজন নারী বিচারক হয়ে তার কাছে থেকে এ ধরনের মন্তব্য নারী নির্যাতনকে সন্ত্রাসীদের আরো বেশি উৎসাহিত করবে। এমনিতেই এ দেশে নারীর নিরাপত্তা দিতে সরকার ব্যর্থ হয়েছে।

মামলা রুজূ করার জন্য বিধিনিষেধ বিচার প্রাপ্তির সুযোগ সংকোচিত করবে যা মৌলিক মানবাধিকারের পরিপন্থী। তাছাড়া মেডিকেল রিপোর্টই ধর্ষণ মামলার একমাত্র এভিডেন্স না। আরও অনেকগুলো পারিপার্শ্বিক এভিডেন্স থাকে সেগুলোর পরিপ্রেক্ষিতে মামলার বিচার এগিয়ে চলে। বিচারিক আদালত যদি এ ধরণের বিধিনিষেধ তৈরি মন্তব্য প্রদান করে ভবিষ্যতে ধর্ষণের ঘটনায় ন্যায়বিচার পাওয়ার ক্ষেত্রে নানা প্রতিবন্ধকতা তৈরি করবে।

সেলিমা রহমান বলেন, দায়িত্বশীল পদে থেকে এ ধরণের বক্তব্য সাধারণ জনগণ এবং ভুক্তভোগীদের উপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে। মামলার রায় নিয়ে কথা বলবো না তবে বিচারকের মন্তব্যর জন্য সরকার যদি জনগনের হয়ে থাকে তাহলে জবাবদিহিতা চাওয়া উচিত। যদিও সরকার জবাবদিহিমূলক সরকার নয়। সরকারকে বলবো নারীর নিরাপত্তা রক্ষায় বিচারিক আদালতের এ ধরনের মন্তব্যর জন্য জবাবদিহিতা চাওয়া জরুরী।