‌`যে কথা স্বীকার করে না সরকার ‘

আপডেট: আগস্ট ২৯, ২০২২
0


ডা জাকারিয়া চৌধুরী :

US পররাষ্ট্র দফতর তাদের ‘country reports on human rights practice’ বার্ষিক মানবাধিকার পরিস্থিতির রিপোর্ট প্রকাশ করেছে। আর এতে কেবল বাংলাদেশ নিয়েই লেখা হয়েছে ৭৪ পৃষ্ঠার প্রতিবেদন। সে প্রতিবেদনের কি নোটস গুলো দেখি –

১. ক্ষমতার অপব্যবহার করে বাংলাদেশের নিরাপত্তা বাহিনী দুর্নীতিতে জড়িত।

২. কিছু কিছু ক্ষেত্রে নিরাপত্তা বাহিনীর দুর্নীতি, নিপিড়ন এবং হত্যার তদন্ত ও অপরাধীদের বিচারের সম্মুখীন করা হলেও অধিকাংশ ক্ষেত্রে তাদেরকে সরকারের পক্ষ হতে দায়মুক্তি দেয়া হচ্ছে।

৩. বিগত জাতীয় নির্বাচনে ব্যাপক কারচুপি, বাক্সভর্তি জাল ভোট, বিরোধী পোলিং এজেন্ট এবং ভোটারদের ভয় দেখানো সহ নানা অনিয়মের কথা বলা হয়েছে।

৪। ২০২১ সনের ঘটনাবলীর উপর ভিত্তি করে প্রনীত রিপোর্টে আওয়ামী সরকারের বিরুদ্ধে মানবাধিকার লংঘন সহ বিচারবহির্ভূত হত্যা, খুন, গুম কিংবা কারাগারে জীবন নাশের বিরাজমান হুমকি, নির্বিচারে গ্রেফতার, বিচার বিভাগের স্বাধীবতায় হস্তক্ষেপ, ব্যাক্তিগত গোপনীয়তায় নজরদারি, শিশু নির্যাতন, সংখ্যালঘু গোষ্ঠীকে লক্ষ করে সহিংসতার হুমকি, একজনের অপরাধে পরিবারের অন্য সদস্যদের হয়রানি করা ইত্যাদি।

৫। সর্বমোট ১৯০ টি দেশের উপর নিয়মিত বার্ষিক প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়। যাদের কাছ থেকে তথ্য উপাত্ত নিয়ে রিপোর্ট করা হয়েছে তাদের রাজনৈতিক এজেন্ডা আছে বলে এসব অভিযোগ অস্বীকার করেছে বর্তমান সরকার ও আওয়ামীলীগ। কিন্তু সিরকারের এমন যুক্তি বিশ্বাসযোগ্য হবে না। কারন তথ্য উপাত্তের উৎসের চেয়ে ঘটনার সত্যতা আমেরিকার কাছে বেশি গুরুত্বপূর্ণ।

উৎসঃ সংবাদ, ৭ ই মে শনিবার, ২০২২ ইং

তারপর ২১ শে মে ২০২২ আরটিভি’র অনলাইন ভার্সনে লেখা হয় – বাংলাদেশের মানবাধিকার পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বিগ্ন ই ইউ

বাংলাদেশের নিরাপত্তা পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন। বৈঠকে যেসব বিষয় নিয়ে আলোচনা হয় তা হলো, গনতন্ত্র, আইনের শাসন, মানবাধিকার, রোহিঙ্গা সংকট, অর্থনৈতিক ও বানিজ্যিক সহযোগীতা, জলবায়ু পরিবর্তন, শিক্ষা ইত্যাদি।

২৩ শে মার্চ, ২০২২ প্রথম আলো লেখে ইউরোপীয় কমিশনের ভাইস প্রেসিডেন্ট এবং পররাষ্ট্র ও নিরাপত্তা বিষয়ক জেষ্ঠ্য প্রতিনিধি জোসেফ বোরেল বলেন – মানবাধিকার পরিস্থিতি বিশেষ করে নাগরিক ও রাজনৈতিক অধিকার চর্চার ক্ষেত্র সংকুচিত হওয়ায় উদ্বেগ বেড়েই চলেছে। এছাড়া বিচার বহির্ভূত হত্যাকান্ড ও গুম বড় ধরনের উদ্বেগের কারন হয়ে রয়েছে। এক্ষেত্রে পুর্নাঙ্গ ও চুড়ান্ত তদন্তের পাশাপাশি দায়ীদের বিরুদ্ধে ব্যাবস্থা নেওয়া জরুরী। ডিজিটাল মাধ্যমে মত প্রকাশের স্বাধীনতার ক্ষেত্রে প্রতিবন্ধকতা তৈরি করছে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন।

দেখতেই পাচ্ছেন এগুলো গড়ে মাস তিনেক আগের কথা। সরকার প্রথম অর্থনীতিতে পোড়ামাটি নীতি গ্রহন করে দেশের অর্থনীতি ধ্বংস করেছে। তারপর একে একে সকল সেক্টর ধ্বংস করেছে। এখন ধ্বংস করছে তাদের যারা সরকারের এ নীতিকে পোড়ামাটি নীতি বলে বিশ্বাস করত। বাংলাদেশের কোনো মিডিয়ায় জাতিসংঘ দুতের বাংলাদেশ সফর শেষে সাংবাদিক সম্মেলনে দেয়া বক্তব্য পরিস্কার করেনি। করলেও জিস্ট অংশ বাদ দিয়েছে। এদেশে কেউ এলে যা হয় এখানেও তাই হয়েছে, মিশেলকে কেরানী/ক্লার্ক বলে টিটকারি করেছে কেউ কেউ । মিশেল, পেরুর সাবেক দুই দুইবারের নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট এবং বর্তমানে ইউ এন হিউম্যান রাইটস এর প্রধান হিসেবে কর্মরত আছেন।

ভারতীয় গনমাধ্যম ( UNI – United News of India ) বোল্ড অক্ষরে শিরোনাম করেছে মিশেলের বক্তব্যকে। তারা লিখেছে ”UN wants impartial investigation of extrajudicial killings in police custody in Bangladesh”.

Dhaka, August 17 (UNI ) The UN wants an impartial investigation into the disappearance, extrajudicial killing and torture in police custody in Bangladesh – said Michel Bachelet, head of the organisations human rights affairs.

On Wednesday afternoon, the last day of his four day visit to Bangladesh. He spoke at a press conference in Dhaka on various issues related to human rights in Bangladesh.

Bachelet said, Bangladesh is moving towards the next election. Going in an exciting and polarizing direction. In this situation, although the activists of civil society are very important. The field of work of the civil society and various rights activists has been narrowed said Michelle Bachelet the head of human rights affairs of the United Nations.
লেখক : নির্বাহী সম্পাদক . দেশ জনতা ডটকম