বোমা আতঙ্ক, বিএনপির বর্জনসহ অনিয়ম অভিযোগে ৫৫ পৌরসভায় ভোট চলছে

আপডেট: ফেব্রুয়ারি ১৪, ২০২১
0
চাঁদপুর জেলার ফরিদগঞ্জ ও চুয়াডাঙ্গায় বিএনপির বর্জন

ডেস্ক রিপোর্ট:
কোথাও বোমা বিস্ফোরণ , কোথাও ভোট দিতে না পারার অভিযোগ , আবার অনেক জায়গায় সকালেই আওয়ামীলীগ প্রার্থীদের কেন্দ্র দখল করার অভিযোগে বিএনপি পা্রর্তীদের ভোট বর্জনের খেবর পাওয়া গেছে।
ঠাঁকুরগায়ে বোমা বিস্ফোরণ ,চাঁদপুর জেলার ফরিদগঞ্জ ও চুয়াডাঙ্গায় বিএনপির বর্জনসহ ৫৫ পৌরসভায় অভিযোগ-অনিয়মের ভোট চলছে।

দপুরের ফরিদগঞ্জে বিএনপির মেয়র প্রার্থী ইমাম হোসেন পাটোয়ারী শহরের বাসস্ট্যান্ড এলাকায় সকাল ১০টার দিকে সংবাদ সম্মেলন করে ভোট বর্জনের ঘোষণা দেন।

তিনি অভিযোগ করেন, নির্বাচনে ভোট দেওয়ার পরিবেশ নেই। লোকজন ভোট দিতে পারছেন না। নানা ধরনের অনিয়ম হচ্ছে। এসবের প্রতিবাদে তিনি ভোট বর্জন করেছেন।

চুয়াডাঙ্গার জীবননগরে বিএনপির মেয়র প্রার্থী শাহজাহান কবির অভিযোগ করেছেন, ৪৪টি কেন্দ্রের মধ্যে ৪৩টিতে তাঁর এজেন্টদের ঢুকতে দেওয়া হয়নি।

৫ নম্বর ওয়ার্ডের লক্ষ্মীপুর কেন্দ্রে শুধু এজেন্টকে ঢুকতে দেওয়া হয়। তবে ১০ মিনিট পর তাঁকে কেন্দ্র থেকে বের করে দেওয়া হয়। রিটার্নিং কর্মকর্তা ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এস এম মুনিম লিংকনের কাছে অভিযোগ করা হলেও তিনি কোনো ব্যবস্থা নেননি বলে তাঁর দাবি।

অপরদিকে ঠাকরগাঁয়ে সকাল সাড়ে ৮টার পর সরকারি মহিলা কলেজ ভোট কেন্দ্রে হাতবোমা বিস্ফোরণে ঘটায় দুর্বৃত্তরা। এতে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে এলাকায়। পরে অতিরিক্ত পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে পরিদর্শন করেন।

এবার প্রথমবারের মতো জেলা সদর পৌরসভায় ইভিএম পদ্ধতিতে ভোট গ্রহণের ব্যবস্থা হলেও রাণীশংকৈল উপজেলা পৌরসভায় ব্যালটের মাধ্যমেই ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হচ্ছে।

এছাড়াও নোয়াখালীর চাটখিল ও সোনাইমুড়ি পৌরসভা নির্বাচন আজ রবিবার সকাল ৮টা থেকে শুরু হয়েছে। চলবে বিকাল ৪টা পর্যন্ত। ভোট গ্রহণের শুরু থেকে কেন্দ্রগুলোতে ভোটারের উপস্থিতি চোখে পড়ার মতো। নারী ও পুরুষ ভোটারের দীর্ঘ লাইন লক্ষ্য করা গেছে।

তবে বেশিরভাগ কেন্দ্রের বুথের বাহিরে লাইনে দাঁড়ানো ভোটাররা বলছেন, ভোট ধীর গতীতে হওয়ায় তারা দীর্ঘ সময় লাইনে দাঁড়িয়ে অপেক্ষায় থাকতে হচ্ছে। অনেকে ভিতরে গিয়ে ভোট না দিতে পারারও শঙ্কা প্রকাশও করেন। আবার যারা ভোট দিয়ে এসেছে তাদের দাবি, কাউন্সিলরের ভোট দিতে পারলেও দলীয় প্রতীকের ভোট দিতে পারছেন না ভোটাররা।

যদি এ বিষয়ে কোনো বক্তব্য দিতে রাজি হয়নি রিটার্ণিং কর্মকর্তা ও জেলা সিনিয়র নির্বাচন কর্মকর্তা মো. রবিউল আলম।