নরেন্দ্র মোদির ঢাকায় আগমনের বিরুদ্ধে ঢাবির ৯ ছাত্র সংগঠনের প্রতিবাদ

আপডেট: মার্চ ১৮, ২০২১
0

স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীর অনুষ্ঠানে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির আগমনের প্রতিবাদ জানিয়েছে প্রগতিশীল ৯টি ছাত্র সংগঠনের নেতারা।

আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মধুর ক্যান্টিনের বাইরে ‘প্রগতিশীল ছাত্র সংগঠনসমূহ’র ব্যানারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এই প্রতিবাদ জানান তারা।

একই সঙ্গে ১৭-২৬ মার্চ পর্যন্ত রাজনৈতিক দলগুলোকে কর্মসূচি না করার জন্য ডিএমপি কমিশনারের বক্তব্যেরও নিন্দা জানান নেতৃবৃন্দ।

গণতান্ত্রিক ছাত্র কাউন্সিলের সভাপতি আরিফ মঈনুদ্দিনের সঞ্চালনায় সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়নের সভাপতি ফয়েজ উল্লাহ।

তিনি বলেন, একটি ভয়াবহ সময়ের মধ্যে আমরা আছি। শুধুমাত্র সরকারের সমালোচনা করে লেখার কারণে লেখক মুশতাককে কারাগারে মৃত্যুবরণ করতে হয়েছে। কার্টুন আঁকার কারণে ভয়াবহ নির্যাতন করা হয়েছে কার্টুনিস্ট কিশোরকে। শ্রমিক নেতা রুহুল আমিনসহ এখনও অনেকে কারাবন্দি। মানুষের সব ধরনের কথা বলার অধিকার কেড়ে নেওয়া হয়েছে।

ছাত্র ইউনিয়নের সভাপতি ফয়েজ উল্লাহ বলেন, স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী ও মুজিব শতবর্ষ উপলক্ষে বাংলাদেশে আসছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। নরেন্দ্র মোদির আগমনের প্রতিবাদ জানাচ্ছে বিবেকবান মানুষ ও রাজনৈতিক দলগুলো। প্রতিবাদ ঠেকাতে ডিএমপির ভারপ্রাপ্ত পুলিশ কমিশনার ১৭-২৬ মার্চ পর্যন্ত রাজনৈতিক দলগুলোকে কর্মসূচি না করার আহ্বান জানিয়েছেন। আমরা প্রশাসনের এই কর্মকাণ্ডের নিন্দা জানাই।

সংবাদ সম্মেলনে দুই দফা কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়। ১৯ মার্চ বিকেল তিনটায় রাজু ভাস্কর্যে মোদিবিরোধী সমাবেশ ও মিছিল এবং ২৫ মার্চ সন্ধ্যায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে মশাল মিছিল।

সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন-প্রগতিশীল ছাত্র জোটের সমন্বয়ক ও সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্টের (বাসদ) সভাপতি আল কাদেরী জয়, সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্টের (বাসদ-মার্কসবাদী) সভাপতি মাসুদ রানা, ছাত্র ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক জাহিদ সুজন, ছাত্র ফেডারেশনের একাংশের সভাপতি মিতু সরকার, বিপ্লবী ছাত্র মৈত্রীর সভাপতি ইকবাল কবীর, বিপ্লবী ছাত্র যুব আন্দোলনের সভাপতি আতিফ অনিক ও পাহাড়ি ছাত্র পরিষদের সভাপতি বিপুল চাকমাসহ সংগঠনগুলোর নেতাকর্মীরা।