বিপাকে পড়েছেন গোলাপগঞ্জ উপজেলার বয়স্ক, বিধবা, প্রতিবন্ধী ভাতা প্রত্যাশীরা

আপডেট: জুন ৬, ২০২১
0
file photo

গোলাপগঞ্জ প্রতিনিধি: সরকারি নির্দেশনা মতে সারা দেশের ন্যায় গোলাপগঞ্জ উপজেলার সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচির আওতায় বয়স্ক-বিধবা ও প্রতিবন্ধী ভাতাসহ অন্যান্য ভাতা প্রাপ্ত সব সুবিধাভোগীর মধ্যে মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে গভর্নমেন্ট টু পাবলিক (জিটুপি) পদ্ধতিতে সরাসরি টাকা পাঠানোর জন্য ভাতাভোগীদের অনলাইন (এমআইএস) কার্যক্রম পরিচালনা করা হচ্ছে। কিন্তু এতে বিপাকে পড়েছেন গোলাপগঞ্জ উপজেলার অনেকে।

গোলাপগঞ্জ উপজেলার বয়স্ক, বিধবা, প্রতিবন্ধী ভাতা প্রত্যাশীরা আছেন তাদের অনেকে রকেটের মাধ্যমে টাকা পেলেও অনেকে পাননি। যারা পাননি তারা প্রতিদিন ব্যালেন্স চ্যাক করার জন্য ছুটছেন নগদ এজেন্টের দোকানে। বার বার গিয়ে ব্যালেন্স চ্যাক করে নিরাশ হয়ে ফিরে আসছেন।

জানা যায় গত (২৭ মে) বৃহস্পতিবার উপজেলা বয়স্ক, বিধবা, প্রতিবন্ধী ভাতা নগদের মাধ্যমে নিজ নিজ নগদ একাউন্টে টাকা জমা হয়েছে। খবর পাওয়ার সাথে সাথে সুবিধা ভোগীরা ছুটেন নগদ এজেন্টের দোকানগুলোতে। অনেকের ব্যালেন্স চ্যাক কওে অনেকের একাউন্টে টাকা পাওয়া গেলেও কেউ কেউ পাননি। যারা পাননি তারা নিরাশ হয়ে ফিরে আসেন। এখনও তারা দুশ্চিন্তায় আছেন তারা কি টাকা পাবেন।

এ বিষয়ে ঢাকাদক্ষিণ ইউনিয়নের দক্ষিণ রায়গড় গ্রামের এক বয়োবৃদ্ধ নিলু বেগম, ফয়াজ আলী, জবা বেগম এদের কথা হলে তিনি বলেন, অনেকে টাকা পাইছে। তবে আমরা অনেকে পাইনি। বড়ই দুশ্চিন্তায় আছি। জনপ্রতিনিধিসহ অনেকের কাছে গিয়েও তারা কোন আশ্বাস পাচ্ছেন না। তারা কি টাকা পাবেন এ চিন্তা মাথা থেকে যাচ্ছে না। কোথাও কোন আশ্বাস পাওয়া যাচ্ছেনা।

জাহানারা বেগম নামের আরও একজন বলেন, এই টাকা পেলে চিকিৎসা করাই। চিকিৎসা করিয়ে ঔষধ কিনে খাই। ডাক্তার দেখাব হাতে টাকা নাই। টাকাগুলো যদি পাই তাহলে ডাক্তার দেখিয়ে ঔষধ কিনে খেতে পারব।

এবিষয়ে বক্তব্য জানতে উপজেলা সমাজ সেবা অফিসারের মুঠোফোনে একাধিকবার কল করার পর মোবাইল রিসিভ করে বলেন, বই গুলো নিয়ে কাল অফিসে আসে।