ভূরুঙ্গামারীতে করোনা সংক্রমণ গত দুইদিনে ৬০%শতাংশ

আপডেট: জুন ১৯, ২০২১
0

ভূরুঙ্গামারী (কুড়িগ্রাম) প্রতিনিধি :
সীমান্ত জেলা কুড়িগ্রামের ভূরুঙ্গামারীতে ক্রমশ বাড়ছে করোনা সংক্রমন। উপজেলায় গত দুই দিনের ব্যবধানে করোনা সংক্রমণের হার বেড়ে পৌছেছে ৬৫ শতাংশে। এছাড়া করোনা উপসর্গ নিয়ে জ্বরে ভুগছে উপজেলার প্রায় ৬০শতাংশ মানুষ। করোনা উপসর্গ নিয়ে মারা গেছে ৫ জন। উপজেলা স্বাস্হ‍্য বিভাগের দাবি করোনার নমুনা দিতে মানুষের মাঝে অনীহা থাকায় উপজেলায় করোনা রোগির প্রকৃত সংখ্যা আরো কয়েকগুণ বেশি হবে।
উপজেলা স্বাস্থ্য বিভাগ জানিয়েছে, গত ১৫ জুন রংপুর মেডিকেল কলেজের পিসিআর ল্যাবে ১৫ জনের জনের নমুনা পাঠানো হয়। বৃহস্পতিবার প্রাপ্ত ফলাফলে এদের ১০ জনের করোনা পজেটিভ আসে। ওই দিন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে রেপিড এন্টিজেন করোনা টেস্টে ৫ জনের মধ্যে আরো ৩ জন করোনা পজিটিভ হয়।
আক্রান্ত ১৩ জনের মধ্যে সদর ইউনিয়নের কামাত আঙ্গারীয়া গ্রামের ৩ জন, দেওয়ানের খামার গ্রামের ৩ জন, গোপালপুর গ্রামের ১ জন,জয়মনির হাট ইউনিয়নের ছোট খাটামারীতে ২ জন (স্বামী-স্ত্রী), পাথরডুবি ইউনায়নের বাশজানিতে ১ জন, পাইকের ছড়া ইউনিয়নে ১ জন, তিলাই ইউনিয়নের পশ্চিম ছাট গোপালপুরে ১ জন। ভূরুঙ্গামারী থানার এসআই ১ জন। আক্রান্তদের ৪ জন মহিলা ও ১ জন শিশু। আক্রান্তদের গড় বয়স প্রায় ৪৫ বছর। এই নিয়ে উপজেলায় মোট করোনা রোগীর সংখ্যা ১০১ জন। এর মধ‍্যে সূস্হ‍্য হয়েছে ৮৩ জন।মোট নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষা করা হয়েছে ৫৮৫ জনের।
উপজেলায় হঠাৎ করে করোনা প্রকোপ বেড়ে যাওয়ার কারণ হিসেবে এই এলাকার মানুষ স্বাস্হ‍্য বিধি মানতে অনীহা ও সোনাহাট স্থল বন্দর দিয়ে ভারতীয় পণ্যবাহী ট্রাকের চালক,সহকারিদের অবাধ চলাচলকে দায়ী করছেন অনেকে।
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা আবু সাজ্জাদ মোহাম্মদ সায়েম বলেন, আক্রান্ত ব্যক্তিদের বাড়িগুলো লক ডাউন করা হয়েছে। সংক্রমনের ভয়াবহতা ঠেকাতে উপজেলা প্রসাশন, পুলিশ ও স্বাস্থ্য বিভাগ কাজ করছে। করোনা সংক্রমনের এই উচ্চহার উদ্বেগজনক। কিন্তু মানুষকে কোন মতেই সচেতন করা যাচ্ছে না। সচেতন না হলে সংক্রমণ আরো ভয়াবহ হয়ে উঠতে পারে। তিনি স্বাস্থ্য বিধি মেনে মাস্ক ব্যবহার করার জন্য সকলকে অনুরোধ করেছেন।আর সোনাহাট স্থল বন্দরে স্বাস্থ্য বিধি নিয়ন্ত্রণে তাদের মেডিকেল টিম সজাগ আছে।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার দীপক কুমার দেব শর্মা জানান, জনসচেতনতা বৃদ্ধির জন্য আমাদের প্রচার প্রচারণা ও মাস্ক বিতরণ কর্মসূচী অব্যাহত আছে। উদ্ভুত পরিস্থিতিতে এলাকা লক ডাউনের মতো কঠোর সিদ্ধান্ত আসতে পারে। সীমান্তে কড়াকড়ি বাড়ানোর জন্য বিজিবিকে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। সোনাহাট স্থল বন্দরের কার্যক্রম এখন অনেকটাই সীমিত । তারপরও যে কয়েকটি মালবাহী ট্রাক বাংলাদেশে প্রবেশ করছে সেগুলোর চালক ও সহকারিদের স্বাস্হ‍্য বিধি নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে মেডিকেল টিম।
###/
আমিনুর রহমান বাবু
০১৭১৬২৫৬৫৩২