কুড়িগ্রাম জেলা প্রতিনিধি :
কুড়িগ্রামের ভূরুঙ্গামারীতে পিকনিক খাওয়া নিয়ে মামাতো ফুফাতো বোনের ঝগড়াঝাটিকে কেন্দ্র করে ভাগ্নির শরীরে গরম পানি ঢেলে ঝলসে দেয়ার অভিযোগ উঠেছে পাষন্ড মামীর বিরুদ্ধে। ঘটনাটি ঘটেছে গত শুক্রবর বিকেলে (১০ মার্চ) উপজেলার বঙ্গ সোনাহাট ইউনিয়নের মাহিগন্জ চৌধুরী বাজার এলাকায়। গরম পানিতে দগ্ধ শিশু মাওয়া ওই এলাকার মজিবর রহমানের কন্যা।
শিশুটিকে আজ সোমবার দূপুরে (১৩ মার্চ) উপজেলা স্বাস্হ্য কমপ্লেক্সে ভতি করানো হয়। গরম পানিতে ঝলসে যাওয়া ওই শিশুটির চিকিৎসার দায়িত্ব নিয়েছেন ভূরুঙ্গামারী থানার ওসি (তদন্ত) আজাহার আলী।
এই ঘটনায় দগ্ধ শিশুটির বাবা মজিবর রহমান বাদী হয়ে সোমবার দূপুরে (১৩ মার্চ) থানায় অভিযোগ করলে পুলিশ বিকেলেই অভিযুক্ত শাহনাজ বেগমকে আটক করে থানায় নিয়ে আসে।
এজাহার সূত্রে জানা যায়,গত শুক্রবার বিকেলে মাওয়া ও সীমা খাতুনসহ ওই এলাকার কয়েকজন শিশু মিলে তাদের বাড়ির পাশেই পিকনিক খেতে যায়। মাওয়া ও সীমা দুজন আপন মামাতো ফুফাতো বোন। সেখানে মাওয়া ও সীমা এই দুই বোনের মধ্যে ঝগড়াঝাটি হয়। এসময় সীমার মা শাহনাজ বেগম ঘটনাটি জানতে এসে ক্ষিপ্ত হয়ে ডিম সিদ্ধ করার গরম পানি মাওয়ার শরীরে ঢেলে দেয়। এতে শিশুটির বুক,হাত পাসহ শরীরের বিভিন্ন অংশ ঝলসে যায়।
দগ্ধ শিশুটির বাবা মজিবর রহমান বলেন,আমার জায়গা জমি না থাকায় শ্বশুর বাড়িতে থাকি। এজন্য তাদের সাথে আমার প্রায়ই ঝগড়া লাগত। এর জেরেই আমার সমন্ধির বউ শাহনাজ বেগম আমায়ে মেয়ে মাওয়াকে গরম পানি ঢেলে ঝলসে দিয়েছে।আমি ঘটনার দিন বাড়িতে না থাকায় পরে খবর পেয়ে আজ সোমবার (১৩ মার্চ) থানায় এজাহার দায়ের করি এবং পুলিশ আমার মেয়ে মাওয়াকে হাসপাতালে ভর্তি করে দিয়েছে।
এ বিষয়ে ভূরুঙ্গামারী থানার ওসি (তদন্ত) আজাহার আলী বলেন,আমি ঘটনাটি জানতে পের তাৎক্ষনিক পুলিশ পাঠিয়ে শাহনাজ বেগমকে আটক করা হয় এবং শিশুটির পরিবার অত্যন্ত গরীব হওয়ায় আমার পক্ষ থেকে প্রয়োজনীয় চিকিৎসার ব্যাবস্হা করেছি।আটক শাহনাজ বেগমের বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে মামলার প্রস্তুতি চলছে।